বিশ্বজিৎ দাস

বিশ্বজিৎ দাস

শেল্টারগুচ্ছ

১।
সব ঝেড়ে ফেলে দেখেছি, আনুষঙ্গিক চেতনে
দলা দলা রক্ত নির্বিকার হয়ে টয়লেট যাপন করে
খাওয়া মাংসের গড়নে যে খাঁজ ইলোরায় আশ্রয় নেয়
তাতে মুগ্ধ হয়ে মুসড়ে পড়ে চামড়াগুচ্ছ
এরও পর শেল্টার বৃত্তি হাজির করে ঘেয়ো কুকুরের নিমিত্তে রাখে সন্ধানী জবা...
শরীরের এই বেদী, তাকে আরও উঁচুতে তুলো ধরো না...
দোহাই

২।
লোকাল অভিভাবক হলে, খাদের দূরত্ব কমে আসে
সেই ফাঁকে লবনাক্ত খুশি বেড়ে যায় আঁচিলে
যা হোক তো
হাওয়া রূপ ধূয়ে যাবে সে অনেককাল পরে
তার আগে মেইল বক্সে রেখে যেও
রঙ আর লোহিত কণিকা
ক্লিক করলে যেনো এক মুচকি হাসি!

৩।
সুখীগৃহীকোণ! ক্রমশ ছোট হয়ে আসে চোখের পাতা
শেষবার জলের মধ্যে কেবলই উথাল-পাথাল...
তারপর উলটে গেল সিঁথির রকমারি স্টল
সিটি আর ইশারায় নখের মাতলামি স্বীকার...
পূর্ণাত্ম! হাঁটুর উপরে সব ধর্ম নিভে যায়
ধান ভাঙা মেশিন জীবিত হয়ে ওঠে কালো জলে
না হয় বুকের ভিতরে কিছু লটঘট রেখে গেলাম...

৪।
লাভ ও লালসা বরাবর হেঁটে গেলে একদিন
নির্বাচিত গন্তব্য শুকিয়ে যায়            জানি
জন্মের নীচ অগভীর গামলায় ভেসে ওঠে
তারে টানা কিছু অধ্যায়                 দৃষ্টি
আমায় একাকী করে দাও...যুক্তাক্ষরে

৫।
ভাব থেকে ইউটার্ণ নিলে সব আলাপে ঘূণ ধরে
পড়শি বাঁশি অপেক্ষা করে কাপড় সজ্জার
সমস্ত সুর বেজে উঠলে উধাও রোদ্দুর
আকাশের করাতে নদীর ফুলে ওঠা নেহাতই
পরিপক্ক ডালপালার এগিয়ে যাওয়া...
প্রকাশ্যে এরবেশি রেকর্ডিং নাই বা বাজালাম!






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ