অনন্যা ব্যানার্জি

অনন্যা ব্যানার্জি


দেখতে দেখতে উৎসবের আঙিনা ছেড়ে আমরা হাজির হয়েছি হেমন্তের শেষ প্রান্তে। দুয়ারে দাঁড়িয়ে শীত, প্রকৃতিতে হিমের পরশ, কুয়াশার চাদর মেখে গাছ গুলি তাদের পাতা ঝরানোর খেলায় মত্ত। যদিও এই সময় গ্রাম বাঙলায় কৃষকদের আঙিনা ভরে ওঠে নতুন শষ্যে, ঘরে ওঠে সোনার ধান । শুরু হয় নবীন শষ্যকে বরণ করে নেবার উৎসব নবান্ন । ঠিক এমন সময়েই শব্দের মিছিল হাজির তার ৫৩তম সংকলন নিয়ে ।

কয়েকদিন আগেই আমরা পার করে এসেছি ১৪ই নভেম্বর অর্থাৎ শিশু দিবস । তাই এবারের গানঘর সংকলনে প্রাধান্য দিয়েছি ফুলের মত নিষ্পাপ শিশুদের । 

এই নভেম্বরে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল বিশিষ্ট সুরকার শ্রদ্ধেয় সলিল চৌধুরীর জন্মদিন। আমাদের শিশুকাল কেটেছে তাঁরই সুরারোপিত গান শুনে শুনে । তাই তাঁকে বাদ দিয়ে এবারের গানঘর ভাবাই যায় না । জন্মমাসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানায় গানঘর ।

শিশুদের নিয়ে সংকলন করতে গিয়ে সেইসব শিশুদের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে যারা শিশুকালেই হারিয়েছে তাদের শৈশব, অর্থ রোজগারের চেষ্টায় দিন মজুরী যাদের রোজনামচা । আমরা কি পারিনা ফিরিয়ে দিতে সেই সব উজ্বল দিন, আঁধার রাত মুছে দিয়ে। পারিনা কি ফোটাতে হাসি তাদের ক্লান্ত মুখে । 

আরও আমরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত দেখি কত শিশু অনাচারের বলি। দেখি শিশুদের নরম শরীরে রক্তের দাগ, হত্যালীলায় শিশু বলি । অথচ এই পৃথিবী কতই না সুন্দর । তবুও শিশুদের যথাযোগ্য বাসভূমি হয়ে উঠতে পারে না। 

আসুন আমরা সকলে মিলে প্রার্থনা করি এই পৃথিবী যেন অন্ততঃপক্ষে শিশুদের যথাযোগ্য বাসভূমি হয়ে ওঠে । প্রত্যেক শিশুর পবিত্র হাসিতে ভরে উঠুক এই ধরা এই কামনা করে আমি অনন্যা নিবেদন করছি এবারের গানঘর ।



বুলবুল পাখি ...  


আয়রে ছুটে আয় ...  


ও সোনা ব্যাঙ ...  


এক যে ছিল মাছি ...  


এক যে ছিল দুস্টু ছেলে ...  


পুতুল পুতুল খুকুমণির ...  


শোন ভাই ...  


একা নারে ...  


সন্ধ্যারানী ...  


অনন্যা ব্যানার্জি অনন্যা ব্যানার্জি Reviewed by Pd on নভেম্বর ২৫, ২০১৬ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.