বিস্ময়বোধক
কোন কথার পরে কোন কথা টি লিখব হে পাঠক, যা পড়ে তুমি সুখী হবে, দুখী হবে! কোথায় কখন আঁকব যতি কমা ছেদ, যার পরের লাইনের শেষে বিস্ময়বোধক চিহ্ন বসিয়ে দেব? যা দেখে তুমি সুখী বা দুখী হবে। যদি উলটে পালটে দিই কথার পরের কথা, যত্রতত্র সর্বত্র ছেদ কমা যতি টানি, তুমি তথৈবচ। তুমি পড়ে নিও সাজিয়ে গুছিয়ে। যা কিনা আমি লিখে চলেছি, তোমারই কথা সমূহ। তুমি সুখী, দুঃখী।
ভালো
এরচেয়ে ঢের ভালো তুমি পাশে এসে বসলে, বাদামী খোলা দাঁত দিয়ে চেপে ছাড়িয়ে নিচ্ছ কোয়া। মাখিয়ে নিচ্ছনুন-ঝাল। সুবাতাস বইছে চারপাশে। আমি খোলা পা দুখানি রাখছি মাঠের ভিজে ঘাসে। কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে। আকাশ ফরসা। কিছুক্ষণ পরে সন্ধেবেলা। আমি তড়ঘড়ি উঠে এলাম ঘরে। সন্ধেবাতি,শাঁখে ফুঁ। এর চেয়ে ঢের ভালো হত, তুমি মাঠে বসে থাকলে, আমার বাঁ পায়ের নূপুর পড়ে রইল তোমার ঠিক পাশ-খানে।
আর্ত
দুঃখ লাগে। সুখলাগে। কোনো কিছুতে আর লাগেও না, তেমনও লাগে। চু পবসে আছি আমি, চুপ বসে আছো তুমি, পাঠকও তো চুপ। ঠিক সে সময় পাখি শিস দিয়ে গেল, ভরদুপুর মাথায় করে উড়ে গেল। অমনি সচকিত আমি-আমরা, তুমি-তোমরা। চুপ বসে আছি এই এখন। কবিতা লিখছি দুচার লাইন। তুমিও ধারে চুপ বসে আছো, কবিতা পড়ছ দুচার লাইন। রাত-পাখি উড়ে গেল, করুণ আর্তি নিয়ে নিশিরাত আর বাঁকাচাঁদে ডানার ঝাপট দিয়ে। সচকিত।
দুঃখ লাগে। সুখলাগে। কোনো কিছুতে আর লাগেও না, তেমনও লাগে। চু পবসে আছি আমি, চুপ বসে আছো তুমি, পাঠকও তো চুপ। ঠিক সে সময় পাখি শিস দিয়ে গেল, ভরদুপুর মাথায় করে উড়ে গেল। অমনি সচকিত আমি-আমরা, তুমি-তোমরা। চুপ বসে আছি এই এখন। কবিতা লিখছি দুচার লাইন। তুমিও ধারে চুপ বসে আছো, কবিতা পড়ছ দুচার লাইন। রাত-পাখি উড়ে গেল, করুণ আর্তি নিয়ে নিশিরাত আর বাঁকাচাঁদে ডানার ঝাপট দিয়ে। সচকিত।
লিপিকা ঘোষ
Reviewed by Pd
on
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
Rating:
Reviewed by Pd
on
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন