তিনি রাঁধেন আবার চুলও বাঁধেন । তিনি তুমুল প্রফেশনাল আবার এক্কেবারে ঘরের মানুষটি । তিনি সাহিত্য করেন, করেন সমাজসেবাও । তিনি ব্যস্ত চিকিৎসক, লেখিকা, নৃত্য শিল্পি, কন্যা, জায়া, জননী, স্বজন, সুজন একাধারে। তিনি ডাক্তার সোনালি পুপু বি মুখার্জি । আমাদের ‘একমুঠো প্রলাপে’ আজকের অতিথি ।
তুমি একজন ব্যস্ত চিকিৎসক , খুব ভালো মা ও স্ত্রী । তুমি একজন প্রতিষ্ঠিত ‘ভাষানগর’ সাহিত্য সম্মানপ্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক । বনফুলের উদাহরণ মনে হয় তোমার কথা ভাবলে । তোমার নিজের কাছে কোন স্বত্বাটা সবচেয়ে প্লিজিং ?
সবার আগে আমি মা। এইটেই প্রথম পরিচয়। সম্পূর্ণা আর সর্বজিৎ, এই দুটিই প্রথম দুই কাব্য গ্রন্থ । আর প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানো আবশ্যক, তাই প্রতিমার পিছনে চালচিত্র হয়ে থাকেন আমার স্বামী। সংসারধর্ম সহধর্মীকে বাদ দিয়ে তো এগোয় না। আমি যে সংসারী মানুষ, সেটি আমার প্রথম রূপরেখা। সেই জন্যেই চিকিৎসক হিসেবে ও কাজ করতে সুবিধে হয়।যিনি সংসারের ওঠা নামা বোঝেননি,তাঁর পক্ষে সংসারী প্রানীর কষ্ট বুঝে ওঠা কঠিন। সাহিত্য আমার নিশ্বাস নেবার আকাশ। একা পথ চলার হিসেব নিকেশ। একে যে সাহিত্য বলে এ জগতের মানুষ তোমরা প্রশংসা করছ,উৎসাহ দিচ্ছ,এইটা আমার চল্লিশ পেরোনো জীবনে এক আশ্চর্য পাওয়া।
তোমাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে শুধু সাহিত্যে আটকে থাকা যাচ্ছে না । তোমার সাহিত্য বড় জীবন সম্পৃক্ত । তোমার ‘স্টেথোস্কোপের ডায়েরি’ তোমার চিকিৎসক জীবনের মানবিক আবেদন সমৃদ্ধ দেখা শোনার ফসল । কখনো ফুল ফ্লেজেড সমাজসেবার কথা ভেবেছ কি ? বা রাজনীতি করে জনসেবা ? অনেককেই এমন দেখেছি...
হ্যাঁ। আমার লেখা শুধুই জীবনের ছবি। আমার দেখা জীবন এবং মৃত্যুকে স্বাভাবিক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে চাই বলেই কলম হাতে নেওয়া। আমি প্রায় ১৬ বছর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল আসোশিয়েশান এর সঙ্গে যুক্ত আছি। এর মধ্যে বেশ কিছু বছর ধরে পশ্চিম বংগের দ্বিতীয় বৃহৎ শাখা বেহালা-র যুগ্ম সম্পাদক। এই শাখা সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করে আছে নানা দিক দিয়ে। এর মধ্যে জনসেবা এবং সংস্কৃতি এর অন্যতম উজ্জ্বল দিক। যথাসাধ্য চেষ্টা করি উচ্চ নেতৃত্বে থাকা সভাপতি ডঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য, এবং সম্পাদক ডঃ সঞ্জয় ব্যানার্জী, যিনি সর্বভারতীয় স্তরেও যুগ্ম সম্পাদক, তাঁদের সারা বছর ব্যাপি কর্মকান্ডে সামিল থাকতে। এর জন্য রাজনীতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল’ মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসকের অভাবে । তোমার কাছে কোনো অফার ছিল বা আছে ?
না, প্রশ্রয় প্রাপ্ত বলা যাবে না বোধহয়। সাজগোজ বারণ ছিল । মানে সে ভাবে বারণ নয়। আমায় কখনো ছোট বলে আলাদা করা হয়নি। আমরা তিন জন আ্যাডাল্ট মানুষের মতই একটা হাতে হাত ধরে থাকা বৃত্ত ছিলাম। টিনএজ আসতেই মা জিগেস করেছিলেন কপালে টিপ কেন, কার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই? সেদিন থেকে আর কখনো টিপ বা কোন রূপটান ব্যাবহার করিনি। মা'ও করতেন না। কোন হিন্দি সিনেমা দেখিনি কলেজে ওঠার আগে। বাংলা শুধু সত্যজিৎ রায়। ইংরেজি তে সুপারম্যান, সাউন্ড অফ মিউজিক,বর্ন ফ্রি। বাবা ৪২,ভুলি নাই,মুক্তি, আলোর পিপাসা এই রকম দু চারটে ছবি মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বন্ধুদের সাথে দেখতে বলে দিয়েছিলেন। মা কখনো আমার সঙ্গে ছাড়া কোন সিনেমা দেখতেন না। বড়দের ছবি, তিনি আমি হবার পর থেকে আর দেখেননি। বাড়িতে টেলিভিশন ছিল না,আর কমিক্স পড়া বারণ ছিল।মায়ের কাছেই পড়তাম। মা বলতেন অডিওভিশুয়াল বিনোদন মনকে লঘু করে দেয়। ভাবনার ভার না থাকলে মানুষ কি মানুষ থাকে? ইংরিজি মাধ্যমে পড়তাম মায়েরি পছন্দে, কিন্তু সঙ্গে বাংলা স্কুলের বই এনে সব বিষয় ফের বাংলায়ও পড়িয়ে দিতেন। পড়া শেষ করতে বেশি সময় লাগত না, তাই এ নিয়ে কখনো ঝামেলা করিনি। তা ছাড়া নিয়ম ছিল,যখন বাংলা বলব,সবটুকুই বাংলা, কোন ইংরেজি শব্দ চলবে না।ইংরেজির ক্ষেত্রেও তাই। একে যদি প্রশ্রয় বল.....
তোমার কবিতায় স্পিরিচুয়ালিটি থাকবেই । ডাক্তারদের আমরা নাস্তিক ভাবতেই অভ্যস্ত । আমাদের কাছে তারাই দ্বিতীয় ঈশ্বর । অবশ্য আইডল ওরশিপ আর স্পিরিচুয়ালিটি আলাদা । তোমার বিশ্বাসের উৎস বা শক্তিকেন্দ্র কোথায় ? 
প্রথমে একটা ভুল ভাঙ্গাই। ডাক্তারি যাঁরা করেন তাঁরা সবচেয়ে বেশি জানেন জীবন এবং মৃত্যু কতটাই এক অদৃশ্য রাস্তায় হাঁটে। তাঁরা নাস্তিক হন না সাধারণত। আমার বাবামশাই বাইরের পুজোআচ্চা বিশেষ করতেন না। অজস্র গান সকালে কাজের ফাঁকে, অনেক রাতে বাড়ি ফিরে,ব্যাস,এই তাঁর পুজো। তাঁর পুজোর উপকরণ হিসেবে ঘরে মাথার কাছে রবীন্দ্র রচনাবলী শতবার্ষিকী সংস্করণ সমগ্র, আর কথামৃত ৫ খণ্ড। আমি যখন সতেরো, এই জয়েন্ট এন্ট্রান্স দেব ভাবছি, খুব ই ভয় ভয় লাগছে কারন এক বারের বেশি পরীক্ষায় বসে সময় নষ্ট করব না ঠিক করেছি,অথচ জ্ঞান হয়ে থেকে মা পাখির চোখ সামনে রেখেছেন, ডাক্তারি পড়তে হবে, মনে হয়েছিল বন্ধু কেউ নেই। খালি বাবার মাথার কাছে যে গেরুয়া পড়া মানুষটির ছবি,তাঁকেই ভারি সিমপ্যাথেটিক মনে হত। সেটি এক বিদেশী শিল্পীর আঁকা শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের ছবি। আমার মেশোমশাই আর্ট কলেজের অধ্যাপক, শ্রী মৃদুল বন্দোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ মিশনের সংগে নিবিড় ভাবে যুক্ত ছিলেন,তাঁকে গিয়ে বলতেই মহারাজের কাছে ইন্টারভিউ দিতে নিয়ে গেলেন। মা সঙ্গে গিয়ে বললেন, ‘মহারাজ, একে এর মধ্যে কেন ? ভারি বাঁদর, কোন নিয়ম কানুন কখনো মানেনি’। ভারি খুশি হয়ে শুনলাম মহারাজ বলেছেন, ‘সে তো ও বুঝবে আর ঠাকুর বুঝবেন’। সেই থেকে শুরু হল সত্যিকার প্রশ্রয় পাওয়া। সেই নিয়মহীন চাপমুক্ত অপার প্রশ্রয়ের নিরাপত্তায় জীবন কাটিয়ে প্রতিপদে টের পাই, অবোধ জনে কোল দিয়েছেন, তাই আমি তাঁর চেলা। আলোর কথা আজকের দিনে কত বেশি প্রয়োজন সেতো চারপাশে চোখ রেখেই বুঝি। বক্সার মহম্মদ আলির মত সব ধাক্কা রোপ এ ডোপে চালান করে দেবার সুযোগ পাই বলেই নিশ্চিন্তে কাজ করি।
সাহিত্যই তো আগে ছিল। বাবা মা দুজনেই সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনো করেছেন। দাদু দিদা,ঠাকুর্দা ঠাকুমা সবাই গান কবিতায় ডুবে থাকা মানুষ। লেখা, বা মুখে মুখে অন্তমিলে লম্বা গল্প বলে চলা বাড়িতে সবার অভ্যেস ছিল। আমার জন্মের আগের দিন জন্মে ছিল বাবা মার পত্রিকা " বিদ্যার্থী রঞ্জন ".দেশের মুখ্যমন্ত্রী, প্রধান মন্ত্রী, এমন কি বাংলাদেশ থেকে বংগবন্ধু মুজিবর রহমান ও স্বীকৃতি দিয়ে প্রশংসা করেছেন সে পত্রিকার। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মদিনে উদ্বোধন হয়েছিল এর। ১০ বছরের ও বেশি দিন প্রকাশিত এ পত্রিকা এখনো জাতীয় গ্রন্থাগার বা রামকৃষ্ণ মিশনের গ্রন্থাগারএ রাখা আছে। আমি বড় হয়েছিলাম সম্পাদকীয় লেখাতে ব্যস্ত বাবা, পাতা সাজাচ্ছেন, লেখকদের সঙ্গে বাবা মায়ের সাহিত্য রাজনীতি নাটক ধর্ম নাচ গান নিয়ে বিতর্ক আর আলোচনা এই দেখে শুনে। অভিমন্যুর মত এই পরিবেশ ছোট মনকে মননশীল হতে শিখিয়েছিল। ক্লাস ফোরে,ইংরেজি পরীক্ষার খাতায় রচনার বদলে একটা লম্বা কবিতা লিখে ফেলেছিলাম। নাম "মাই গার্ডেন "। খাতাটা সব টিচারদের হাতে ঘুরেছিল। হাইয়েস্ট পেয়েছিলাম,আর নব নালন্দা হাই স্কুল রেখে দিয়েছিল খাতাটি। সেই প্রথম লেখার জন্য ভারি আনন্দ হয়েছিল।
বাবা মা চলে যেতে ভারি ভয় হয়েছিল আমি যে পুপু, সে মেয়েটি ও বুঝি মরে গেল। গুরুগম্ভীর ডাক্তার মুখার্জি, বা শ্বশুরালয়ের ভব্বিযুক্ত সোনালির তলায় বুঝি চাপাই পড়ে গেল সে অস্তিত্ব টুকু। তাই প। আরও কেন "প", সে কেউ বইটি হাতে নিলেই তার প্রচ্ছদ টি দেখলে বুঝতে পারবেন। 
তুমি বোধহয় আমার জ্ঞানগম্যিতে একমাত্র মহিলা সাহিত্যিক যে তাঁর জীবনসঙ্গীকে জন্মদিনে পঞ্চাশটি প্রেমের কবিতার আস্ত একটি গ্রন্থ উপহার দেয় । আমরা সাধারণত সংসারে কত কষ্ট করে মেয়েরা সাহিত্যচর্চা করে সেসব গল্প অনেক শুনি । তো তুমি কোন ম্যাজিক জানো বলত ?

ভালবাসা। এর চাইতে বড় ম্যাজিক আর কিছু পৃথিবী কখনো দেখেছে কি? কুড়ি একুশে আলাপ হয়েছিল রূপদর্শী শ্রী গৌরকিশোর ঘোষের সঙ্গে। তিনি আমায় ডাকতেন, ডাক্তার বাবু সোনালি। বলেছিলেন, শোন ডাক্তারবাবু, প্রেম নেই। বললাম সে কি ,সবাই চার দিকে এত প্রেম করছে। গৌরদা, তাঁর সেই ইউনিক লেসার রের মত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে বলেছিলেন, ঠিক করে ভেবে দেখো দেখি একে কি প্রেম বলে? খুব ভাবিয়ে ছিল কথাটা। শেষে মনে হয়েছিল এই যে এত পদাবলী, সুফি সন্ত, ভজন গান সবই বুঝি এই রহস্যের দিকেই ইংগিত করছে। কত মধুযামিনী রভস গোঁয়াইলু না বুঝল কৈসন গেল..... সেই অমর হবার মন্ত্রটি খোঁজার সাথী সেই মানুষটি, যে আমার সন্তানদের পিতা,ঘর বাঁধার দোসর।তারো অজস্র দোষ,আমারো, তবু,সেই যে টুকরো টুকরো আলোর ছটা।সেই তো প্রেম। কষ্ট কেউ কাউকে দিতে পারে না,যদি তাকে হাত পেতে নিতে রাজি না হই। আমি কি কতটা মেনে নেবো, সেতো আমার সিদ্ধান্ত। তার জন্য অন্যকে দোষারোপ করে তিক্ততা তৈরী করায় বিশ্বাসী নই।
নারী কে বাদ দিতে চাইনা একে বারেই। নারী এক জন বিশেষ রকমের মানুষ। যদি সে মা হবে ঠিক করে তবেই। না হলে পুরুষ নারী একেবারেই সমতুল্য। বা পরিপূরক। মা হওয়া মানে শুধু বায়োলজিকাল গর্ভ ধারনের কথা বলিনি।একটি মেয়ে মা হয় মমত্বময় হলে। সেই যে সকলের জন্যে আহা বলে এগিয়ে আসা মানুষ, বাসা বাঁধার ইন্সটিংক্ট ওয়ালা মানুষ বেশি আদরযত্ন অধিকার হিসেবে চাইতেই পারে। প্রকৃতির দিকে তাকাও। যে বাসা বাঁধে ডিম পাড়ে, তাকে পুরুষ সঙ্গী রক্ষা করে, খাবার এনে দেয়। মানুষ ও এক প্রাকৃতিক প্রানী। তার ক্ষেত্রেও একি রকম হবে। যে ফেমনিন হব না ঠিক করবে, তাকে সমান লড়াই করতে হবে। নারী বলে বিশেষ আরাম চাইতে পারবে না।
তুমি একজন নৃত্য শিল্পীও বটে । মাঝেমাঝেই পারফর্ম কর । প্যাশানটা সিরিয়াসলি পারস্যু করছ তো ? ধর কোন নামী মঞ্চে শুধু তোমার নাচ দেখতে গেলাম টিকিট কেটে । কি , খুব অবাস্তব চাইছি ? 
আমার প্রথম স্টেজ পারফর্মেন্স চার বছর বয়েস।রবীন্দ্রসদন।তার পর সেই স্টেজ, কলামন্দির,অবনমহল,প্রত্যেক বছর শো থেকেছে। পাড়ার মঞ্চ, স্কুল তো ছিলই। প্রথম নিজের কোরিওগ্রাফি তে একলার দ্বায়িত্ব নিয়ে স্টেজ শো,রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ নিয়ে। ক্লাস এইট।শেষ প্রফেশনাল শো বাচ্চারা হবার আগে শিশির মঞ্চে। ডঃ মনশ্রী লাহিড়ীর গ্রুপ হংসধ্বনী তে লিড ডান্সার, ভানুসিংহের পদাবলী তে রাধা। সেটা ১৯৯৬। এখন নিজের নাচার থেকেও জরুরি আমার ইন্ডিয়ান মেডিকাল আসোশিয়েশান এর টিম সরগম এর সদস্যদের কোরিয়োগ্রাফী করিয়ে অনুষ্ঠান করানো। এই দলে এসেছেন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার এবং তাঁদের পরিবারের মানুষেরা। বয়েস ২০ থেকে ৬০ এর কোঠায়। এঁদের নাচ করে যে আনন্দ, রিহার্সাল করিয়ে যে আনন্দ, এবং যে মানের অনুষ্ঠান বছরে প্রায় চার বার,হচ্ছে, বেশ কিছু বছর ধরে, মনে হচ্ছে গুরু যা ভীষন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে শিখিয়েছেন, তার মান রক্ষা করতে পারছি। একক অনুষ্ঠান ইচ্ছে করলেই করা যায় যে কোন দিন। কিন্ত তার আর প্রয়োজন বোধ করিনা।

শর্মিষ্ঠা ঘোষ সোনালি মুখার্জি
সোনালি মুখার্জী
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৬, ২০১৬
Rating:
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৬, ২০১৬
Rating:

Boumoni ami joto tomar lekha porchi toto obhibhuto hoye porchi.. Ashadharon bhabey othocho ki shohoj kore tumi nije k express korte paro.. Darun
উত্তরমুছুনTina rani,tora sobai amar jiboner jhuri te eto rong add korechis.ami sei ador guloke niye egiye choli re.
মুছুনYou are very much a part and parcel of my creativity
খুব ভাল লাগল এই আলাপচারিতা।
উত্তরমুছুনDhonyobad bondhu
মুছুনখুব ভাল লাগল এই আলাপচারিতা।
উত্তরমুছুন