অলভ্য ঘোষ

Allabhya


মেঘকে-পত্র

প্রিয় মেঘ।
বৃষ্টি চেয়েছিলাম এই খরা দগ্ধ ভূমিতে।
ভাল বাসা চেয়েছিলাম মহাভারতের কুরুক্ষেত্রে।
শ্বেত শুভ্র মেঘ কুমারী ব্লক করেদিলে!
মেঘের আস্তরণে ঘনীভূত সম্ভ্রম ধুল কণা যেন ভুলনা।
বরফের  কঠিন বর্মে যেন লক্ষ্মীন্দরের বাসর ঘর।
ক্ষুদ্র ছিদ্রও কি নেই যেখান থেকে আমার অভিশাপ
প্রবেশ করতে পারে তথাকথিত লৌকিকতার
কঠিন দুর্গে ঢাকা তোমার অন্দরে।
ধুলোয় নেমে আসতে তোমায় হবেই  বৃষ্টি কণা
আমার উদম মাঠটার বুকে তোমার ওই মিথ্যে ভেসে থাকা
আকাশ ছেড়ে; কেবল একদিনের জন্যে নয়  জন্ম জন্মান্তর
ধরে; বার বার।তুমি গলে যাবে আমার চিতার ভস্মে।
বেহুলার মতো ভেলা ভাসাবে  মেঘের আস্তে কুড়ে।

ইতি-
ভুবন ডাঙ্গার মাঠ



বৃষ্টি নামার আগে

বৃষ্টি আর অগ্নির মধ্যে ফারাক যদি তুমি জানতে।
বৃষ্টি খরা দগ্ধ ভূমিকে উর্বর করে শ্যামল করে।
তোমার দুচোখ টাই পুড়ে গেছে এই শহুরে জঙ্গলের দাবা নলে।
শুধুই কি চোখ পুড়েছে নাকি মোন ও!
না হলে তুমি বুঝতে আগুন আর জল পরস্পর বিরোধী।
বৃষ্টির ফোটা গুলকে আগুনের ফুলকি বলে ভ্রম হতোনা।
পুড়ে যাবে ভেবে নিজেকে গুটিয়ে নিতেনা ছাতার আড়ালে।
তবুও এই নাগরিক সভ্যতার বুকে একা ধ্বংস স্তূপে
বৃষ্টি নামার আগে  যুগ যুগান্ত ধরে কবি দাঁড়িয়ে আছে
তৃষ্ণার্ত চাতক হয়ে।




বৃষ্টি ও খোকা

বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি ছেলে মানুষী করছিস ;\ভিজে হলি কাক ভেজা ।
আমি বলি তাকে থাম\আর বাড়াস নেক দাম ।\গ্রীষ্মে পুড়ে হয়ে গেছি ভাজা ভাজা ।

বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি ছেলে মানুষী করছিস ;\সর্দি হলে বুঝবি ।
আমি বলি তাকে থাম\আর বাড়াস নেক দাম ।\তুই কি আমার নাক মুছবি !

বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি ছেলে মানুষী করছিস ;\মায়ের কাছে খাবি তুই বকুনি ।
আমি বলি তাকে থাম\তুই বাড়াস নেক দাম ।\অনা-মুখ তুই লোকে খুঁজে নেয় ছাউনি ।

বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি আজেবাজে বকছিস ;\আমাকে পেতে ভিজছে শহর কতকি !
আমি বলি তাকে থাম ;\তোতে ভেজে যত অধম \পশু ,পাখি আর মাঠ ,ঘাট প্রকৃতি ।

বৃষ্টি বলল তাই\করছিস বড় বড়াই ।\বুঝবি বটে অনাবৃষ্টি হলে ।
আমি বলি তাকে থাম \তোর দেমাগের বদনাম\ফি বছর জলে ভাসি বর্ষা এলে ।

বৃষ্টি বলল ঈশ ;\কি আজেবাজে বকছিস ;\এতো অপমান তবে আমি যাই চলে ।
আমি বলি তাকে থাম \ভাল লাগেনা রোদ্দুর আর ঘাম ।\তুই এলে শুধু খেলার সাথি মেলে ।






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ