অনন্যা / দেবজিৎ

anudebu





দেখতে দেখতে আরও কিছু পথ পেরিয়ে, বর্ষার রূপ রস গন্ধে ভরা ভালোবাসার আষাঢ় শ্রাবণ সংখ্যা নিয়ে  হাজির শব্দের মিছিলের ৪৮ তম সংকলন। সেই সূত্র ধরে আমরাও আমাদের গানঘর সাজিয়ে নিয়েছি সবুজ প্রকৃতির কৌমার্যে ভরা বর্ষার সুরে সুরে । হ্যাঁ ধীর পায়ে হাজির হয়ে গেছে আমাদের আঙিনায় প্রিয় বর্ষা । কিছু সময় নিয়েছে ,কিছুটা দহনবেলা কাটাতে হয়েছে আমাদের নিশ্চয়, তবুও সে হাজির হয়েছে আমাদের প্রাণ জুড়ানোর বার্তা নিয়ে। আসলে দহনবেলা না কাটালে আমরা জানবো কি করে স্বস্তির আনন্দবার্তা, দহনকাল না কাটালে ভিজবো কি করে প্রকৃতির শান্ত স্নিগ্ধ অপরূপ রূপে।

কবির সুরে কবির কথায় গাইবো কি করে "তৃষ্ণার শান্তি সুন্দর কান্তি "। বর্ষা বা প্রকৃতিকে নিয়ে কিছু লিখতে গেলে বা বলতে গেলে আমরা বাঙালীরা যেমন কবিগুরু কে বাদ দিতে পারি না ঠিক তেমনই সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে বর্ষা মানেই রাগ মল্লার ,রাগ দেশ ,রাগ মেঘ মল্লার । কথিত আছে তানসেন নাকি বাদশাহ্ আকবরের রাজসভায় মল্লার গেয়ে বৃষ্টি নামিয়েছিলেন। আসলে মল্লার এর রূপ রস সুরের ব্যঞ্জনা এমনই যে মনের মধ্যে বৃষ্টির এক অপরূপ ঝঙ্কার সৃষ্টি হয়। আবার আমরা যদি রাগ দেশের কথায় তাহলে আমরা দেখতে পাই তার সুরে ,স্বরের চলনে এমনই এক ভাব লুকিয়ে আছে যে শুনলেই মনে হয় যে চারিদিকে কালো মেঘ ছেয়ে আছে অঝোর ধারার বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে যাবে এখনই।

বর্ষা এলেই কিম্বা আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখলেই আমরা প্রত্যেক বাঙালী গুনগুনিয়ে উঠি - " এসো শ্যামল সুন্দর " অর্থাৎ আমরা ফিরে যাই সেই কবিগুরুর কাছেই, আসলে তিনি জুড়ে আছেন আমাদের জীবনে,আমাদের মননে। বাঙালীর কৃষ্টির সম্পূর্ণ প্রকাশ বোধহয় তাঁর স্পর্শে । কোথাও তিনি একফোঁটা ফাঁক রাখেননি আমাদের ভরিয়ে দিতে। বর্ষাও তাই তাঁর আহ্বানে আহুত হয় আমাদের দ্বারে। আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে কালিদাসের মেঘদূতের সঙ্গী হয়েই সুর ভেসে আসে -"আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে "। এই সুরে সুরেই বুঝি বর্ষনমুখর প্রকৃতি ও আমরা একাত্ম হয়ে যাই। প্রকৃতির নবরূপ নবরস ,স্নিগ্ধ গন্ধ ভিজিয়ে দিয়ে যায় আমদের প্রাণ। মাটির সোঁদা গন্ধে নব প্রাণের সঞ্চার হয় আর এতেই তো নবীনের আহ্বান। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খান ,স্বাগতালক্ষী দাশগুপ্ত ,হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ,দেবব্রত বিশ্বাস ,শ্রাবণী সেন,সুতপা বন্দোপাধ্যায় ,সুমিত্রা সেন এবং পন্ডিত রবিশঙ্কর কে নিয়ে যথারীতি নবীন এবং প্রবীণ, রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং ভারতীয় রাগ সঙ্গীত ,কন্ঠ সঙ্গীত এবংযন্ত্র সঙ্গীতের মিশেলে আমরা সাজিয়ে নিলাম এবারের গানঘর আষাঢ় শ্রাবণ সংখ্যা। আবার এক নতুন সঙ্কলন নিয়ে আসার প্রত্যাশায় ছেড়ে গেলাম বর্ষণগীত ।






রাগা মেঘ ...


বাদল বাউল...


আবার এসেছে আষাঢ়...


এসো শ্যামল সুন্দর ...


শ্যামল ছায়া নাই বা ...


পুব সাগরের পার হতে ...


কদম বেরি কানন ...


ছায়া ঘনিয়েছে বনে বনে ...


রাগা ...


অনন্যা ব্যানার্জি
দেবজিৎ সাহা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ