যে শব্দ মেঘ নেমেছে
হেমন্তের নির্জন দিঘির মিশুকে শ্যাওলায় কাঁচা রোদে ঝিলিক মাখা উন্মীলিত শালুক।
কবেকার স্বভাব,আকাঙ্ক্ষা মধ্যকার টলোমলো অনুভব, অবশেষ সম্পূর্ণ আমি এবং গুচ্ছ আমির বসতের রেণু রেণু অভিমুখ....
তোমার মন চুইয়ে রক্তমাংসের শরীরে শীতের সঙ্গীত।অনুভূতি নিষিদ্ধ এক উতল শিহরণ! অবশিষ্ট অন্তরপুর- উষ্ণতায় অধিকার অর্জনের সিদ্ধির প্রযোজনীয় সাধনার নিমগ্ন।অন্ধকার আর নোনাজলের রসায়ন!!!
আসলে এসব কোন জরুরী বিষয় নয়। প্রকৃতপক্ষে আয়ুর বোঁটা থেকে যৌবন ঝরার কান্না...
মনের মধ্যেই অদ্ভূত মায়া নিংড়ানো আর- একটি মন রান্না-বাটি খেলা করে; উষ্ণতা সঞ্চিত কবেকার সম্পর্ক...
নির্জন হেমন্তের হিমেল বাতাস, চাদরের পরশে স্বেদবিন্দুস্নাত অভিমানী বেহাগ জমায়.....
সম্পর্ক মানে ক্ষয়ের বিহ্বল প্রস্তাব:
একান্নবর্তি সংকল্প একক সহ্যের লালন বিষয়ক বিশ্বস্ত গ্লানি....এবং.....
তাঁকে আমি প্রলোভন বলতে পারি না !
কেননা এই দহন অভিজ্ঞতার আলোকে, ঘাতকতা আর ষড়যন্ত্রের দিনগুলি ভুলে যেতে চাই.....
ভুলে যাওয়া মাত্রই অমীমাংসাসূত্র,
ভবিষ্যতের সম্ভবনাময় শুকনো বীজপত্র...
এমনই ধুলোমেঘ থেকেই মনোভূমির উপাদান অঙ্কুরিত হয়.....
এই সামান্য জীবনচর্চায় এটুকুই আমার বিশ্বাস.....
হেমন্তের অক্ষরমালা
তোরই জন্যে সজীবতা হারায়না পূর্বপুরুষের নাক্ষত্রিক বেঞ্চিটা
নিভে যাওয়া তারাখসা কোথাকার অচেনা ছেলের বিষণ্ণতার অন্ধকার
ঘনকালো রাতের পিনপতন নিস্তব্ধ সংশয়ে ঝরা শিউলির পূর্ণ প্রাণো পারাপার
তোরই জন্যে এসময় অতিক্রম শান্ত নদীপথের নীরব ছুঁই ছুঁই ছিন্নমূল অধিকার
তুই আছিস বলেই বৃষ্টির মূল্যমানে ধুলোরঙে লেপে প্রগতি মুখোশ কংক্রিটে ঘাতকতা
তোরই জন্যে দীর্ঘ বসন্ত নির্জনতায় অবসাদ,বিচ্ছিন্ন ভাবনায় আজও নয় অসাড়তা
তুই আছিস বলেই অচেনার আলেয়া মনের কল্পলোকের চূড়ায় তন্নতন্ন নীল পদ্ম
ঝিলের ধারে উচ্ছলিত হয়ে অচেনা মেয়ের উথালপাথাল বন্ধুতা নদীরই স্বপ্ন
তুই আছিস বলেই ছুঁড়ে ফেলা চাঁপা ফুল মেপে রাখে মেয়েবেলার ষোলোআনা দুরত্বটা
তুই আছিস বলেই মহার্ঘ্য সুইজ পারফিউমের সুগন্ধ মলিনতা হারায়নি মোহ ফাঁদ পাতা কবেকার শার্টটা
তুই আছিস বলেই বেশ মানিয়েছে দেয়ালের ভেঞ্চির আঁকা হাসির সঙ্গে বিষাদ খচিত ছবিটা
তুই আছিস বলেই আলোলাগা পাখিগুলো ঘরে ফেরে আকাশ লিখে ধুলোমেঘ আর নবান্নের গানে
তোরই জন্যে ঝিল,বিল,নদী তীরে বনলতা সেনেরা হেঁটে চলে আজও রূপসী বাংলার পথপ্রান্তরে
ডাইরির ছেঁড়া পাতা ৯
ডাইরির ছেঁড়া পাতা ৯

আজকাল আমি রাত্রি লালন করি অন্ধকারে জোনাকির গতিবিধির প্যাঁচে,
দিনগুলোর পেশাদারিত্ব,কৃত্রিমতার উপর আমার ছোটছোট বোধগুলির ভেতরথেকে সেই কবেই ঘুণ ধরে মাটি হয়ে গেছে।
এই মাটির সৃজনশীল উপাদানে আমি মানবিকতার বীজ বপন করে-
তামাম দুনিয়ার সৌভাতৃত্বের চারাগাছ খুঁজে এনে বসিয়ে দিই মানববন্ধনের অনুভূতিতে চক্রাকারে নির্ধারিত লক্ষ্যে।
জলবায়ু কিংবা আবহাওয়া এখানে বৃদ্ধির কোন বিষয়বস্তু নয় কেননা এখানে সৃজনশীলতার মধ্যে নিহিত আছে নিমার্ণেশৈলীর অন্তর্নিহিত এক ভূগোল।
ইতিহাসই এখানে নিঃশর্তে মুক্তি দিয়েছেন এই হিংসা,অশান্তকাতর সভ্যতাকে।
কেননা ধ্বংসস্তূপের ছাই থেকে সভ্যতা গড়া কোন বিষয় হতে পারেনা,
এখানে বিষয় হল ধ্বংসের অনেক আগে
দূরদর্শিতার আবাহন।
সৃজনের উঠানামায় আগামীর উজ্জ্বল উদয়ন...
শব্দওখইহয়েযায় ১৯
আলোছায়ায় পুড়ে ও পুড়িয়ে অন্তঃপুরে স্নিগ্ধতা অন্তহীন
উপেক্ষা যেভাবে উদাসীনতায় জমায় বিষাদের কারুকার্য কাজল
প্রতি জন্মেই নাট্যমঞ্চ স্বপ্নময় সংকল্প আকাঙ্ক্ষায় সফল
আলোআঁধারি রাত্রির নাক্ষত্রিক চাঁদহীন এক চন্দ্রবিন্দু চাকা
খামখেয়ালি উথালপাতাল ভুলেযাওয়ার আবছায়া কৈশোরের আটচালা
প্রভাতী প্রার্থনার নির্জনতা হেমন্তের শিশির সিক্ত কাশবন দুর্লভ
আমিত্বের জীবন যাপনের স্খলন দূরত্বের মেঘ ছুঁয়ে অবাঞ্ছিত সংসব
আত্মার লেনদেনে ভোরের প্রথম আলোর কুসুম
আত্মার লেনদেনে ভোরের প্রথম আলোর কুসুম
পাহাড়ের বুকে নদীর ক্লান্তিকর নিশ্চিন্ত ঘুম
আশ্চর্য জন্মান্তর জন্মমৃত্যু মধ্যকার ভাস্কর্য ভালোবাসার কথামালা
ভোর থেকে ঘোরে পাখিদের ঘরে ফেরার গানে আকাশ আকসা তারা
হিংসার বাগানে অযত্ন তবুও বিস্তার ভালোবাসার বীজ
জন্মমৃত্যুর উষার পারে উত্তরাধিকারীর ভবিষ্যতের জন্যে সময়ের অমোঘ আশীষ
শত ক্ষত সামাল আগলে আলোআঁধারি আলোকের হুদিশ
খেয়ালি মন যখনতখন ভাবুন এক রোদেলা শিশির দিনের ছবি
অভাবের দুঃসহ তীরে ছেঁড়া কাঁথায় রাজকন্যার মন নয় মতি
চোখে তবুও ছেঁড়া সময়ের শস্যশ্যামলা গাঁথা অচেনার গাঁ কাশের ছায়া
শিউলির পরে শিশিরের শুভ্রতা হেমন্তের কাঁচা রঙের দাওয়া
স্যাডো ১০০
স্যাডো ১০০

তোমার জন্যে সামাজিক রীতিনীতি, অতিক্রম।
তন্নতন্ন আমার শ্রেষ্ঠ নির্জনতা সমূহ।
দিকচক্রহীন ভীষন বোধ।
এযাবত্ তীব্রতর প্রলোভন,প্ররোচনাতেও
আপ্রাণ শব্দে প্রকাশ হতে দিইনি।
অন্তর্গত অন্তরালেই রেখেছি।
কেননা সে অচেনায় ভীষন আগুন!
নিমেষে মন পোড়ায় নবীন যাত্রীর।
এতগুলো শীত বসন্ত আলগাচ্ছি,
জ্বলনে সহ্য নয় পোষ মানিয়েছি।
সময় পেলে সময় নষ্ট করবার,
সেইসব গলিত কল্পমন-
নেড়েচেড়ে দেখি তোমার নীরব।
মনে মন ভাসাভাসি,
হে প্রার্থনা নিবেদিত নির্জনতা:
অপচয় এতটুকুও যাপন রেখো না।
হয়তোবা জন্মান্তরেই দূরত্বে ঘনিষ্ঠ!
অদ্ভুত বাসন্তীচচিত সবুজ সাঁতার...
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন