শান্তি বৈঠক
শান্তি মেহেফিলে আমি একাই অপরিচিত। বাকি সবাই বগলভর্তি পতাকা নিয়ে মোলাকাত করে গ্যাছে। ঘামমোছা গামছার সাথে আমি নিমকহারামি করতে পারবো না। দূরতম কোনে দাঁড়িয়েই আমি গর্ভবতী গরিবিনীর কথা বলবো, ধান শুকানো সড়কের কথা বলবো, নদীমনের দেহাতী বাউলের কথা বলবো, পাটগন্ধে মেহেরবানের কথা বলবো, এতসব নান্দীমুখ পেরিয়ে দূরবীণ থেকে ওদের টেবিলে ফেলে দেবো কিষানহত্যার লাশ।
জানি ওরা নাকে ট্যানা বেঁধে উঠে যাবে। শিট্, শিট্, বমি এখানে অভ্যাসগত প্রতিবর্তক্রিয়া। এরপরই ডিনারটেবিলে চিকেন, বিফ্, মটন সাজিয়ে এক মিনিট নিরবতা উল্লাস। হুজুর, আমাদের কিসমৎ-এ ডালভাত মাপবেন না?
হুজুর, ফিরে যাচ্ছি… নওল কিশোরকে কুমারী আলো দ্যাখাতে হবে। নিরাস্ত মানুষটির কাঁধে গামছা তুলে বোঝাতে হবে ‘কিছু শেষ পুনরায় অস্তিত্বে ফিরে এলে, শান্তিফল স্বামী বলে ডাকে’। এছাড়া শান্তির কোনো বৈঠক নেই, বৈঠকের কোনো শান্তি নেই।
সেখ সাদ্দাম হোসেন
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৫, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৫, ২০১৫
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন