দেবজিৎ সাহা


   

   
অনেকদিন ধরে মাথায় ঘুরছে কিছু এলোমেলো কথা, প্রাসঙ্গিক অথবা অপ্রাসঙ্গিক, সঠিক উত্তর জানা নেই। রুচিবোধের সংজ্ঞা নেই। মন আর হাত এক করে কিবোর্ড চালালাম রক্তচাপ কমানোর লগে। 

প্রসঙ্গ ধর্ষণ উৎ‘শব’
          এই উৎসবের নির্দিষ্ট স্থান, কালের বর্ণনা পাওয়া যায় না। কুকুরদের ভাদ্র সংরক্ষিত থাকলেও মাঘ পর্যন্ত এখন বিস্তার লাভ করেছে এর পর সারা বছর ধরে বিনে পয়সায় কুকুরদের ত্রিপল এক্স দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। উপভক্তা আমিকেও বাদ দি কেমনে? মনে সেখান থেকে একটা প্রশ্ন জাগে, গনধর্ষণ কি কুকুরদের থেকে মানুষ শিখেছে?? উত্তর নাই। জানি লজ্জায় এড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতা আছে প্রায় সকলের এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না। বেডরুমে বা কোমটে বসে হস্তমৈথুনের নায়ক বা নায়িকা এলো কোথা থেকে?। উত্তর ভাববার আগেই অভিভাবক ঠাটিয়ে দুই চর বসাবে। এই এড়িয়ে যাওয়া বা দুই চড় মেরে নিজেকে শান্ত করা, হিসাব কি মিলল?? বিপরীত লিঙ্গ বা সম লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ কিভাবে ধুয়ে দেওয়া যায়??  ধুয়ে যাওয়া বন্ধ করতেই হয়ত যত ‘তৈল’ ও ক্যাপসুলের আয়োজন। ছেলে বা মেয়ের কাছ থেকে লুকিয়ে প্রায় সব্বাই এমন বিজ্ঞাপন খুব মন দিয়ে পড়ে থাকেন যেখানে বক্ষ সৌন্দর্য বা পার্টনারকে সুখী কিভাবে করবেন লেখা থাকে। কিন্তু এই লজ্জার আয়োজন কেন?? লুকোনো বস্তুর প্রতি আগ্রহ জন্মানো কি অপরাধ? আপনার অনুপস্থিতে সে দিব্যি পড়ে নেয় এবং একটু দেখতে পাওয়া স্তন বা চাঁদরের নীচে অবস্থিত নগ্ন শরীর কল্পনায় এঁকে নেয় অনায়াসে। রক্তচাপ কি তাদের বেড়ে যায় না?? সেক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কি সে নিয়ে আমার ভাবনায় যা যা আসে তা বলে কোন লাভ নেই। সেটা প্রসঙ্গের সাথে খাটে না। শরীরে মাংস ধরলেই মেয়েরা প্রতি দৃষ্টিতে নগ্ন হতে থাকে। কি করে ঢাকবেন? যারা ৬ মাস বয়সে বা ৬ বছর বয়সে ধর্ষিতা উপাধি পেয়ে থাকেন সেই প্রসঙ্গ একটু পরেই পরিস্কার হয়ে যাবে।

শিলিগুড়িতে থাকি বলে সেই সুবাদে অনেক নেপালি ভাষা বন্ধু বান্ধবীর সাথে পরিচয় এবং রাস্তায় বেড়লেই দেখতে পাই অনেক কিছু তাদের। তাদের সাথে কথা বলে বুঝেছি যে তাঁরা পাশ্চাত্য দেশের ‘মানসিকতা’ বহন করে, যৌবন অতিক্রম করেও দিদি বা বোন, দাদা বা ভাইয়ের সাথে এক বিছানায় রাতে থাকে। সহবাস করেছে এটা স্বীকার করতেও একবার দ্বিধা বোধ করে নি। তাঁরা সম্পর্কে বিশ্বাস করে না, মানে ভাইয়ের বা দাদার সাথে সহবাস করব না বা বোন বা দিদির সাথে সহবাস করব না, তাদের ভাবায় না, কাম জাগলেই তা পুরন করে নেয়। পশুর সাথের মিলন এ তো খোদাই করা আছে, কত ধরনে সঙ্গম করা যায় তা প্রাচীরের গাত্রে শৈল্পিক ভাবনায় আঁকা, সেখানে বুঝি -১৮ দের এন্ট্রি নেই?? নোটিস আছে?? নেই।

 এভাবে কল্পনায় আর কতদিন শরীর ঠান্ডা করা যায়, পাশের বাড়ীর স্নান ঘরের ভেন্টিলেটার ওপেন করা, চোখ চেখে নেয়, শাড়ি বা সালোয়ার একটু আলগা হলেই, কি মজা। পাশবালিশের কথা বলার ক্ষমতা থাকলে জিজ্ঞাসা করে দেখতেন কতবার ধর্ষিত হয় রোজ। গোঙ্গানির আওয়াজ মোবাইলে বাজতে থাকে। চাহিদা বাড়ে, ওরিজিনাল মাল চাই এবার বস।

প্রেম পর্বে যতটা মনের কারনে তার চেয়েও বেশী শরীর মোহে। আবদার আর আবদার, ঠোট চুইয়ে কবে যে বুকে এসে ঠেকেছে সময় খুব ভালো জানে। আরো নীচে নিয়ে যাওয়ার আবদার যেভাবে নুতুন দৃশ্য দেখেছে কাল ফিল্মে। ব্যাস সম্মতি থাকলে তো কোন কথাই নেই, হিরো বনে গেল বন্ধুদের কাছে। না হলে ঘুমের ওষুধ হ্য না মেরে ইয়ার।

এই ইয়ারি কিতনা মেহেঙ্গা পড়তে হ্যাঁয় অহ তো পেট মে আনে সে পাতা চালতা হ্যাঁ। কন্ডমের বিক্রি বাড়ছে সেই ক্ষেত্রে একটু ভয় কম তবে কিভাবে জানবে যে মেয়েটার সম্মতি আজ পাবে? থোরাই পকেটে রেখে বাড়িতে ফাঁসবে? না দোকানে গিয়ে সময় ও মুড দুটাই নস্ট করবে। যো হোগা দেখা যায়েগা মারি জান, ম্যা হু না, ডোন্ট টেক চাপ।

বাঁধায় বাঁধায় যে বন্ধুদের হাসির খোরাক ওর ফাটবে না কেন? প্রতিদিন শোনে ধুর বাল তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না, যা সেক্স টয় কিনে নিয়ে যা বা হাত কে সেলাম বল। রাগ তো প্রকৃতি প্রদত্ত মাল, ঘোরে ঘোরে দিল ঠুকে। ব্যাস আর যাবে কই পুলিশ তুলে নিয়ে দিল ডান্ডায় বাড়ি। বাসে ট্রেনের কথা বলতে বসলে হয়ে গেছে, পুরাই মাথা নস্ট, দুলতে থাকা পেন্ডুলাম আর ঘাম চুইয়ে পড়লেই হল, আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘষা, জ্বলে তো উঠবেই, বারুদের অভাব তো নেই।

কাল রাতে হতাশায় আর ক্লান্তিতে ডগায় আটকে ছিল, চুদুরবুদুর শুরু করে দেয়, কাম শক্তি মহাশক্তি। মহাশক্তির ব্যাপার কসমিক সেক্স নামে একটি বাংলা বইয়ে খুব ভালো করে দেখানো। চাইলে দেখতে পারেন, মানসিকতা ভালো করে যদি দেখেন তবে উপকার আর যদি শুধু সঙ্গম দেখতে হয় তবে ওটা দেখে সময় নষ্ট করতে যায়েন না।

এবার আরো ছোটো হই, ওই শিশুর কোন দোষ ছিল না, খুব ভালো করে ঢেকে রাখার দরকার ছিল না, মাংস তো গায়ে আসেনি, শুধু জন্ম সূত্রে একটা কারখানা নিয়ে জন্মেছিল। লজ্জা?? ওটা বিমারি আছে তোর, কোন লজ্জার প্রশ্ন নেই। ভুল ভুল প্রসঙ্গ থেকে বাইরে বেড়িয়ে যাচ্ছি। তাবড় তবড় আইনবিদ বসে আছেন, বেকার মাথা নষ্ট কিইরা আমার কাজ কি?

এই উৎশবে কামের পূজা হয়, ভোগে ওঠে মেয়েরা, ( ছেলেদের ধর্ষণ খুব কম তাই সেই প্রসঙ্গে এখনই যাচ্ছি না, দেখি এটি কবে মোচ্ছব আকারে শুরু হয়) পুরোহিত ছেলে ******** ( গালিটা বড্ড বাজে দিচ্ছি এই প্রসঙ্গে, মুখের সাথে এক্ষেত্রে চুক্তি বন্ধ করলাম)। দর্শক আমারাই, এই মোচ্ছবের তালিকা সকাল হলেই পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকটা বাড়তি মোমবাতি পুড়ছে, আহা! বলে খবরটা মগজে চালান করে দিয়ে মেয়ের উদ্দেশ্যে- ‘এই মোবাইলে চার্জ ফুল করে নে, জি পি এস ওন রাখবি। উফফ গলাটা পুরো ঢেকে নে, ছেলেদের সাথে মিশবি না’। বাবার চোখও সেই জায়গায় পউছে গেল অনায়াসে। শরীরে মাংস বাড়তি লাগলেই মায়ের দুশ্চিন্তা আগে বাড়ে, প্রশ্ন সরাসরি হয়ে যায়, উপদেশ আহা!, ছেলে বন্ধুর সাথে কম মেশ, আমি সব বুঝি।

পোষাকের সাথে ধর্ষণের সম্পর্ক কোথায়? পাড়ায় আড্ডা দিতে দিতে এক বন্ধুর সাথে কিছু ছেলে এসেছিল আড্ডায় যোগ দেবার জন্য, বয়সে ৫-৬ বছরের ছোট, কলেজে উঠেছে সবে। কিছুক্ষণ আমাদের সাথে আলাপ করার পর নিজেদের মত কথা বলা শুরু করল। শুরুটা এমনই ছিল “মালটা কে দেখলি? বাল, নীচু হলে সব দেখা যাচ্ছে রে” আরেকজন বলল “ ধুস ওটার ওত বড় না, পাশের বেঞ্চে যে মালটা বসেছিল শালা কি বড় রে, ঢেকে গিয়েছে বেঞ্চ”।  তার মধ্যে একজন বলে উঠেছিল “ ভাই ওইসব ছাড় না”, এর জন্য ওকে কত যে খিস্তি খেতে হল তা পড়লে রাতে ঘুম নাও আসতে পারে।

 যাই হোক, পোষাকের সাথে ধর্ষণের সম্পর্ক আছে কি নেই তা অনেক বিতর্কিত ব্যাপার। আমি মনে করি পোষাকের দোহাইটা হল আসলে নিজের মস্তিষ্কের ত্রুটি আড়াল করার চেস্টা মাত্র। ধর্ষকরাই বা কি করতে পারে? কাম মাথায় চেপে বসলে তা নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা নেই, তাদের কি দোষ, চিকিৎসা হচ্ছে না তাদের। জেলে পাঠালে বা ডাণ্ডায় মেরে কি লাভ বলুন তো? তাতে কি সে সুস্থ স্বাভাবিক আচরন করবে? মনে হয় না তা জোর দিয়ে বলতে পারি একটাই কারনে যদি শাস্তি দিয়ে ধর্ষণ বন্ধ করা যেত ধনঞ্জয়ের ফাঁসির পর এত বাড় বাড়ন্ত হত না।

কিছুটা পোষাক নিয়ে বলি, আমি মনে করি ওয়েস্টার্ন কালচার ফলো করলে মানসিকতাও সে যায়গায় নিয়ে যেতে হবে নিজের। কারন আপনি ফলো করলে যে বাকি সবাই করবে তার কোন মানে নেই। যে বেশীরভাগ সময় ঢাকা পোষাক দেখে অভ্যস্ত সেখানে আপনি প্রায় সবই দেখতে পাওয়া যায় এমন পোষাক পড়লে সবাই না হলে বেশীরভাগ চোখে স্ক্যান করে নেবেই। যা এতদিন ফিল্মে দেখত এখন তা সামনে, ডান্ডা খাড়া হলে কার দোষ বলুন।

আদতে সবই মায়া, সবই লীলা খেলা। রাস্তার অবরোধ মোমের খেলা।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ! মেয়েটিও ভালো করে জানত শরীর না দিলে অন্য কারোর কাছে চলে যাবে। তাই আর কি......  পরে ধর্ষণের মামলা,  কিভাবে হয় ম্যডাম, সহবাসের সময় তৃপ্তি ভালোই ভাগ করে নিয়েছিলেন।

পোষাক ও বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ নিয়ে পরবর্তীতে আরো রক্তচাপ কমানোর ইচ্ছা থাকলো। দেখা যাক প্রিয় দা কি বলেন।





দেবজিৎ সাহা দেবজিৎ  সাহা Reviewed by Pd on মে ০৯, ২০১৫ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.