কালের লিখন

পরিচিতি 










প্রহসন



একদিকে অবসাদ অন্যদিকে সীমাহীন দুরন্ত বিষাদ,
মাঝেখানে দিশেহারা অনাচারে স্ফীত প্রলুব্ধ বিবাদ।
একজন ক্ষমতায় অন্যজন ক্ষমতালোভে ফুঁসছে শুধু,
মরাকান্না কাঁদে আমার বঙ্গজননী, এক দুঃখিনী বধূ।

ক্ষমতার দন্ধে এ ওর কান্ধে বন্দুকের টিগার টিপে,
ঝরা ফুলের মধু খায় শতক ভ্রমরে বসে চুপে চুপে।
অনাদরে বেড়ে উঠা নীতির দাঁড়িপাল্লা প্রীতি নিয়ে,
পড়ে আছে এককোণে,কাঁদছে একাকী দুঃখিনী মেয়ে।

এখানে মায়া নেই এখানে ছায়া নেই হায়েনার বাস,
এখানে শ্বাস নেই এখানে আশ নেই জমাট দীর্ঘশ্বাস।
বেঘোরে প্রাণ যায় নিরীহ লোকজনই মরছে দেদার,
দিনদিন এখানে মরে যাচ্ছে ভবিতব্য শুধু অনাচার।

কুশিক্ষায় অশিক্ষায় ধুঁকেধুঁকে সমাজের বড় মাথাগুলো,
পায়ের সুরক্ষায় বোকার স্বর্গে বসে ঝাড়ছে নষ্ট ধূলো।
কালোকোর্ট লালটাই সার্টিফিকেট নামে মামুলী কাগজ,
ডিগ্রির ভারে অনাহারে মরে গেছে অমূল্য স্বচ্ছ মগজ।

সবখানে হরিলুট অযথা তন্ত্র-মন্ত্র গণতান্ত্রিক গণভোট,
ভোগ-দখলের পাঁয়তারা চোখেমুখে, অতৃপ্ত শুষ্ক ঠোঁট।
দলে চাই তলে চাই, এটা চাই ওটা চাই, সবটা ধরে,
রাজনীতির নামে প্রহসনের নাটক চলছে বাংলা জুড়ে।

গণতন্ত্রের নামে ফেনা উঠে সব্বার মুখে,মানুষের কথা
শুনিনা কোথাও! মানুষ মরছে মানুষ পুড়ছে দগ্ধ ব্যাথা।
জনতার চাওয়া পাওয়া,কিচ্ছু যায়-আসেনা ভেল্কিবাজি,
দেখি মাস্তুলে কেউ নেই দিকভ্রান্ত ছুটেছে ঘুমন্ত জাহাজি।

মরাকান্না কাঁদছে আমার বঙ্গজননী, এক দুঃখিনী বধূ।
বুড়ো শালিকের গাঁড়ে রো প্রহসন এখনো থামেনি মধু।


কালের লিখন কালের লিখন Reviewed by Pd on মার্চ ২৬, ২০১৫ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.