জন্ম মুহূর্ত থেকেই কিছু সম্পর্ক ঈশ্বর প্রদত্ত । এই সম্পর্ক গুলোকে আমরা চাইলেও অস্বীকার করতে পারি না। আর কিছু সম্পর্ক আমরা নিজেরাই বানিয়ে নি , কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনের মিল থেকে সেই কোন সম্পর্কের সূত্রপাত হতে পারে । কিন্তু বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আবেগ মূল্যহীন । আজকাল সম্পর্ক তৈরি হবার আগে যার সাথে সেই সম্পর্ক গড়া হচ্ছে দেখা হয় কতখানি প্রফিট আসতে পারে সেখান থেকে , বা চেতনা কুট্টুস করে চিমটি কেটে দেখে নে বাপু লস কতটা থাকতে পারে , অর্থাৎ বলাই যায় সম্পর্ক ও আজকাল ব্যালেন্স শীটের উপর অনেকটা ডিপেন্ডেবল।
**
কোন একটি সম্পর্ককে আমরা যখন ধরে-বেঁধে নাম দিয়ে দিই সামনের জন তুমি আমার ভাই,দাদা হলে কিংবা বোন দিদি হলে এর মধ্যে দাবী থেকে গেল আগামীতে যে তুমি আপন কতটা হতে পারবে জানি না , তবে বাতচিত তোমার সাথে বিশেষ এগোবে না । ওই এগিয়ে চল সাথে আছি টাইপের আর কি । কিন্তু যখন কোন রিলেশনকে বন্ধু নামে স্থাপিত করলাম , আর সেই মুহূর্ত থেকেই আমি ধরে নিতে পারি বড় হোক ছোট হোক যায় আসে না বিশেষ , তবে তুমি লম্বা রেসের ঘোড়া হতেই পার , যদি চামড়া মোটা থাকে। আর সেই বন্ধু ডাক টুকুর মধ্যে প্রচ্ছন্ন ভাবে থেকে যেতে পারে ভবিষ্যতের নানা রঙের মেঘের ঘনঘটা ।তুমি যদি চাও আকাশে মেঘ জমুক , জমতেই পারে ,আমার ধর আশঙ্কা থেকেই যায় অকাল শ্রাবণের হঠাৎ করে বৃষ্টি নেমে তোমায় বিনা নোটিশে ভিজিয়ে দিতেই পারে শ্যাম্পু করা চুল ,মোমের মত গাল ,মিনে করা নূপুর পরা পা। আবার ধর ভিজলে তুমি , আসতে পারে ঝড় ,যদি নাও ভেজ তবুও আসবে ঝড়।
আসলে এটা ছেলে বন্ধুর ছেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় । কোন মহান ব্যক্তিত্বরা বলে থাকেন মেয়ের কখনও ছেলে বন্ধু শেষ পর্যন্ত বন্ধু হয়ে থাকতে পারে না । অবশ্যই এটা লিঙ্গের কারণে । যদি আমি বলি , তুমি কৃষ্ণ সখা হবে আমি নিষ্পাপ পাঞ্চালী ।সামনের জন্য ধনুক তুলে নেবে, বীরগর্বে মাছ চোখে তাক , আমি তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন -ভুল কর না সখী । কিংবা এ রকম হতে পারে -সখীরে আমার হাতে বাঁশি, আমি কদম তলায় আসি।সখা হয়ে রব প্রেম হয়ে রব ,রাধিকা ভালবাসি।।
অর্থাৎ তোমার পাঞ্চালী হওয়া হল না ,টেনে ধরে রাধা বানিয়েই ছাড়ল।
আর বেনামি কিছু সম্পর্ক তাতে আরো মারাত্মক এফেক্ট। কি নাম দেব কি নাম ঠিক ভাবতে ভাবতেই শরত পার হয় , শান্তিপুরি রাস এসে পড়ে।
**
আর কোন কোন সম্পর্ক কোন কিছু দেখে না , সে গুলো মন থেকেই ঘটে যায় নিয়ম ,নীতির লাভ ক্ষতির তোয়াক্কা না করেই । এই যথাযথ সম্পর্ক গুলোতে অবশ্যই বিশিষ্টদের মত অনুযায়ী বিশেষ মানের বোকারাই অবস্থান করে । আর নিন্দুকেরা মুখ টিপে হাসে এটা ভেবে এগোতে দে পরিণতি কি ভয়াবহ জাস্ট সি এন্ড ওয়াচ।
অতি বড় বোকারাও জানে পরিণতিতে এরা ধাক্কা খায় , আবার উঠে দাঁড়ায় , আবার খায় । মানে এদের জন্ম ই এই কারণে।এরা তৈরি থাকেই বুকে সাইন বোর্ড ঝুলিতে -
আমরা হলাম ঘাস । মাড়িয়ে যাও ,কীটনাশক দাও ,পোকা লাগুক বা যাই হোক না কেন রক্তবীজের বংশ জায়গা পেলেই আবার গজাবো।
![]() |
| পরিচিতি |
চন্দ্রা সোনালী
Reviewed by Pd
on
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
Rating:


কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন