![]() |
| পরিচিতি |
একটু সাহস
হাঁটার অভিমুখ বদল করে
হতাশার
কানে মঙ্গলসংগীত গেয়ে
কথা বলবো ফাঁক রেখে
তবে ফাঁকা কথা নয় ।
এক পা দু পা করে হাঁটবো
মাটি
জল
আগুন
এর কাছাকাছি বসে
চিত্কার করে বলবো-
ক্ষমতা নির্মম
ক্ষমতা দাম্ভিক
চেয়ে দেখো তোমরা কতটা অসহায় !
একবার পিছন দিকেও হাঁটবো
মায়ের স্তন ধরে দুধ তুলে
শাদার গভীরে শাদা খেয়ে
শিশুর জন্মকে ভালোবাসবো ।
ঐ পথেও যেতে হবে আমার
যে পথে অসহায় শত্রু
বাতাসে মুখ ঢেকে বসে আছে
রাগ
বিরক্তি
অহংকার
এর সাথে আমাকে মিশিয়ে ।
এইগুলো আজ আমার হাঁটার
শীর্ষ খবর
পারলে তুমিও প্রচার করো
গণতন্ত্র
মানবতা
বেবাক ফর্সা করে দেবো আমি !
তুমি বলতে বলতেই সবাই বলবে
যা হয় হোক তবে,
বর্ণের বিশ্বাস
শব্দের বিশ্বাস
বাক্যের বিশ্বাস
আমাকে ঠিক টান মারবে, টেনেও ধরবে ।
তবুও আমি হাঁটবো
এইসব ভাবতে ভাবতেই
রিনরিন
ঝিরঝির
কুলকুল
হাসিরা আমাকে ডাকছে নদীর কাছে,
অথচ আজকাল ঐখানেই আমার ভয় !
তাই সাহস চাই-
হাঁটার
বলার
শোনার
তুমি কি একটু আমাকে সাহস দিবে?
এই ধরো,
তোমার ঠোঁট ভিজিয়ে ভিজিয়ে আমার ঠোঁটে ।
চলে যাওয়ার পর
সব "তুমি"রা চলে যাওয়ার পর
যে মেয়েটি আবার বেঁচে ওঠলো
তাকে কখনো কেউ ডাকেনা
ডাকার জন্য কোন নামও নেই
নাম তো কুঁকড়ে আছে অধিকারে
ঐ অধিকার ভেঙে ভেঙেই
শত শত চোখ যে লেখা দেখে
সেখানেই নাম লুকিয়ে থাকে
সহজ পদ্ধতিতে
সব "তুমি"দের গুছোতে গুছোতে।
সব "তুমি"রা চলে যাওয়ার পর
যে মেয়েটি
মেয়েবেলার শব্দ খুঁজে জড়ো করেছে
তার শব্দ কেউ শোনেনা
শব্দের কোনো প্রতিধ্বনিও নেই
প্রতিধ্বনি তো খেলছে হাওয়ায়
ঐ হাওয়ায় ভেসে ভেসে
শত শত কান যে লেখার আওয়াজ জানে
সেখানেই প্রতিধ্বনি আড়াল হয়
আগুন জ্বালিয়ে
সব "তুমি"দের জলন্ত অভিবাদন জানিয়ে ।
সব "তুমি"রা চলে যাওয়ার পর
যে মেয়েটি
বলেছে আকাশে আছে মরা ঈশ্বর
তার মৃত্যুকামনা কেউ করেনা
করার মতো কোনো শক্তিও নেই
শক্তি তো পড়ে আছে অতৃপ্তিতে
ঐ অতৃপ্তি পেরিয়ে পেরিয়ে
শত শত মুখ যে লেখা পড়ে
সেখানেই
শক্তির জয়গান চলে
বোঝাপড়ার ভাবে
সব "তুমি"দের বাঁচার কৌশল জানিয়ে ।
সুখের গর্ভপাত
বারান্দার গ্রিলে ঝুলন্ত সুখের টব
অনন্ত উল্লাসে শ্লোগান করে,
চুপিচুপি কথা বলে
কথামত- কথাচ্ছলে,
দুর্বল হয় পাতাবাহারের ঘনিষ্ঠ্য সান্নিধ্যে ।
কথার ঝুল
জমতে থাকে
পড়তে থাকে
দুলতে থাকে
দেয়ালের নামভূমিকার
নামমাত্র সুখের নামাবলি পরে ।
যা হয় সুখের প্রাপ্তযৌবনে,
আকস্মিক আনন্দে
দিন পড়ে থাকে রাতে;
জন্মনিয়ন্ত্রণের অতৃপ্তিই যেন প্রেরণা,
ব্যঞ্জনাময় বিষণ্নতায় চারদিকে উচ্ছ্বসিত দর্শক;
ফুঁ থেকে ফুঁ দিচ্ছে,
পেট ফুলে এখন-
প্রশংসার আত্মবিশ্বাস !
যা হয় হবে,
তবুও সুখের গর্ভপাত চলুক
বনানীর ডিজিটাল ফুটওভার পার হয়ে,
যথাসময়ে
যথাস্থানে জন্ম হোক-
পাতাবাহারের নীচে সর্বজাতের সমন্বয়ে,
দীর্ঘ সুখের কারুকাজে ছোট বড় সুখের টব ।
ঐশী দত্ত
Reviewed by Pd
on
জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন