![]() |
| পরিচিতি |
যাতনার বিজয়
জয়ের মুকুটে গর্বের পালক পরানো শিরে;
অহমে ফুলেফেঁপে স্ফীত বুক জাত বলে দেয়
আমি সনদ বিজয়ী বীর |
বিজয়ের নিশানা জড়ানো দেহে
নিথর প্রাণ এক ফেলানির স্বাধীনতা
সূর্যাস্তের অপেক্ষায় ঝুলে ভিনদেশী আব্রুর পর্দায়;
এমন বিজয় চাই নি কস্মিনকালে।
ডাষ্টবিন লুটেরা উচ্ছিষ্ট লোভী
ছিন্ন বসনা অবাঞ্চিত শিশুটি-
লাল সবুজের জমিন যেন ছিড়ে ছিড়ে খায়।
নিজেকে কুলাঙ্গার বিজয়ী বলি কিভাবে !
এক সিকি চেপ্টা আধুলির দরিদ্র তিলক
ললাটে পরতে যে পথকলিটির
সম্ভ্রমের আঁচল ছিড়ে দৈন্য সভ্যতার পতাকা তলে;
নির্লজ্জ পশু বিজয়ী ঘোষনা করে নিজেকে।
যে তরুনের শোনিতের লোনা স্বেদে অর্জিত সনদ
শুকনো পাতার মত ঘুসের অনলে পুড়ে ছাই হয়;
মেধাপোড়া আয়েশী গন্ধ গায়ে মেখে
নিজেকে বিজয়ী ভাবতে বড়ো ঘেন্না হয়।
বন্ধকীর হাতকড়া ঝুলে থাকা ভাগ্য তাড়িত
বাবার আত্মজা; মা'র নাড়ী ছেড়া বন্ধন যখন আহেলিয়াম যৌতুকের বলি হয়;
বিজয়ের গান তখন তালহীন বেসুরো তন্ত্রীতে।
বিজয়ের উপহাস উলঙ্গ নৃত্য করে আজ-
নিরন্ন পোষাক শ্রমিকের ঘামে;
বেকার যুবকের সনদের লিপিকায়;
লাঙ্গলের ফলায়- কৃষির পণ্যমূল্যে;
শিক্ষাঙ্গনে- শিক্ষায়; আমার স্বাধীনতায়।
এমন বিজয় চাই নি আমি কোনকালে।
আনিস খান
Reviewed by Pd
on
ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪
Rating:
Reviewed by Pd
on
ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪
Rating:


কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন