ডানা মেলে দিচ্ছে সমস্ত জগত। উপলক্ষ্য মিলনতীর্থের সমাবেশ। কালো কালো ছোপ যা ছিল নিভৃতের কোষে কোষের,আজ সমস্ত আবীরের রঙে রঙে ছেয়ে যাচ্ছে। মেঘ উড়ছে সাদা নীলের আবেগ ভাসিয়ে। কাঁটা তারের বেড়ায় যত রক্তের ধারালো মজবুত শিথিল হচ্ছে আর গলে গলে পরছে নতুন সংযমে। আর বাধা নাই দু’ধারের দুটো পাখির সংগমের। কতকাল আর কতকাল বন্দীত্বের সীমানা ঘেষে রুহূগুলো কাঁদছিল। আজ পরেছে তারা নতুন পোশাক পালকের।
উচ্ছ্বাস সেকি উচ্ছ্বাস আবার ঢেঁকি ছাটা চাউল হবে, পিঠা পায়েসের মেহমান পরশের। ঐ তো ফেলে রাখা উনুন যেখানে শিশুটির দুধ জ্বাল দেবার প্রাক্কালে প্রহরী নদী চুপ চাপ ছিল, আজ হাসছে। ফিরে এসেছে সেই দুধের শিশু খোঁপাতে চাপিয়ে চাঁপা ফুল। দুলনা তো সেই থেকে দুলছে ঝুলনো খেলায়। আজকের উৎসব মোটেও বানোয়াট নয়, ভাষার আকাশ জুড়ে কবুতর উড়ছে – ও পাড়াটির সেই বুড়ো ছেলেটি যুবক বনে হাত টেনে ধরছে মনের প্রহরের, আরে কি লজ্জা এক হাত লম্বা ঘোমটা টেনে মরে বয়স্ক আজকের নারী।
তবু মৃদু হাসি বাঁশীর সুর ধরে মাধবীরে খুঁজছে। পাহাড় নদী কিংবা মরুভূমি সব দাঁড়িয়ে স্যালুট দিচ্ছে, প্রিয়তমা শহর সাগরের কিংবা চাঁদের সহচরী হাতে হাত রেখে আরতি দিচ্ছে সূর্যোদয়কে। এক প্রাণ এক আকাশের ধ্বনি তুলছে- নজরুল সাঁতার কাটছে আজ নির্ভয়ের। রবিঠাকুর চুমুর ফোয়ারাতে চোখ মুদে আছে –সুনীল এই মাত্র বলে গেল আকাশটা আজ বড় ঘন নীল, শুনেই ঝম ঝম বৃষ্টির মল পরে নিল পূবাকাশের। মহাদেব সাহার প্রেমের কবিতা ভিজে গেল সেই ক্ষণে- নির্মলেন্দু হেসে গলে গেল, সে গান তুলে নিল রবির কন্ঠের। শামসুর রহমানের আবৃত্তি স্বাধীনতা রব তুলে এলো, আকাশ চুপ হয়ে হয়ে আশীর্বাদের নাম করল –কান পেতে গন্ধ নিল মাটির সোদার –মাটিকে কিছু বলল –মাটি লাল হয় পাহাড়ির রঙে, আবার বালু-বালু বর্ণে হরিদ্রার, কত আঁকিঝুঁকি তুলল আতস বাতির নমুনা হয়ে।
ভাবছি বসে কত শ্বাস-প্রশ্বাস-নিশ্বাসের নাচনগুলোকে নিয়ে,সজনার ডালপালা দিগন্তে মুখ তুলে চাইল –হেলে দুলে রাখালের গরু শিং বাগিয়ে হাম্বা বলাতে কচি মেয়ে খেলা ফেলে মায়ের আঁচলে মুখ ঘষে নিল। নৌকা ঐ ছেড়ে দিল নায়রীদেরকে নিয়ে, কার বিয়ে কার বিয়ে ঢোলের আওয়াজ দ্রিম দ্রিম বাজছে সজোরেই- কেবল ফিস ফিস আওয়াজে শোনা হল না।
উচ্ছ্বাস সেকি উচ্ছ্বাস আবার ঢেঁকি ছাটা চাউল হবে, পিঠা পায়েসের মেহমান পরশের। ঐ তো ফেলে রাখা উনুন যেখানে শিশুটির দুধ জ্বাল দেবার প্রাক্কালে প্রহরী নদী চুপ চাপ ছিল, আজ হাসছে। ফিরে এসেছে সেই দুধের শিশু খোঁপাতে চাপিয়ে চাঁপা ফুল। দুলনা তো সেই থেকে দুলছে ঝুলনো খেলায়। আজকের উৎসব মোটেও বানোয়াট নয়, ভাষার আকাশ জুড়ে কবুতর উড়ছে – ও পাড়াটির সেই বুড়ো ছেলেটি যুবক বনে হাত টেনে ধরছে মনের প্রহরের, আরে কি লজ্জা এক হাত লম্বা ঘোমটা টেনে মরে বয়স্ক আজকের নারী।
তবু মৃদু হাসি বাঁশীর সুর ধরে মাধবীরে খুঁজছে। পাহাড় নদী কিংবা মরুভূমি সব দাঁড়িয়ে স্যালুট দিচ্ছে, প্রিয়তমা শহর সাগরের কিংবা চাঁদের সহচরী হাতে হাত রেখে আরতি দিচ্ছে সূর্যোদয়কে। এক প্রাণ এক আকাশের ধ্বনি তুলছে- নজরুল সাঁতার কাটছে আজ নির্ভয়ের। রবিঠাকুর চুমুর ফোয়ারাতে চোখ মুদে আছে –সুনীল এই মাত্র বলে গেল আকাশটা আজ বড় ঘন নীল, শুনেই ঝম ঝম বৃষ্টির মল পরে নিল পূবাকাশের। মহাদেব সাহার প্রেমের কবিতা ভিজে গেল সেই ক্ষণে- নির্মলেন্দু হেসে গলে গেল, সে গান তুলে নিল রবির কন্ঠের। শামসুর রহমানের আবৃত্তি স্বাধীনতা রব তুলে এলো, আকাশ চুপ হয়ে হয়ে আশীর্বাদের নাম করল –কান পেতে গন্ধ নিল মাটির সোদার –মাটিকে কিছু বলল –মাটি লাল হয় পাহাড়ির রঙে, আবার বালু-বালু বর্ণে হরিদ্রার, কত আঁকিঝুঁকি তুলল আতস বাতির নমুনা হয়ে।
ভাবছি বসে কত শ্বাস-প্রশ্বাস-নিশ্বাসের নাচনগুলোকে নিয়ে,সজনার ডালপালা দিগন্তে মুখ তুলে চাইল –হেলে দুলে রাখালের গরু শিং বাগিয়ে হাম্বা বলাতে কচি মেয়ে খেলা ফেলে মায়ের আঁচলে মুখ ঘষে নিল। নৌকা ঐ ছেড়ে দিল নায়রীদেরকে নিয়ে, কার বিয়ে কার বিয়ে ঢোলের আওয়াজ দ্রিম দ্রিম বাজছে সজোরেই- কেবল ফিস ফিস আওয়াজে শোনা হল না।
যাক ওসব, নতুনের কথা শুনে নাও—আসলে নতুন কিছু নাই,পুরাতন করছে ঘর নতুনের ভেতর। বড় অদ্ভুত, দেখ বিদ্যুৎ, যৌবনের খেলা ফুরিয়ে যায় প্রায় মধ্য রাতে—নিবু নিবু বাতি তবু দপ করে জ্বলে সলতের গায়ে। আহা ঝড় যেন বৈশাখীর তাণ্ডবের – চাল উড়িয়ে নেয় ঐভাবে যৌবনের তটরেখা ধরে। সবই বাস্তব, শাস্ত্র ধরে দেও টান –উঁহু বেহুঁশে আছে মন্ত্র অচল সেখানের। তবে লক্ষ্মীপূজা স্বতন্ত্রের –ভাড়ার ঘর অপুর্ণের রবে না কখনও।
এখানে রিমঝিম- রিমঝিম বৃষ্টির তালে দুই বাংলা গান গাইছে নাওয়া খাওয়া রেখে—মুজিব এক ফাঁকে বলে দিল ভুলটা ঐ একদিনের সার কথাতে ছিল- ভুল যদি সাত চল্লিশে না হত, সব কথা তার মনে পড়ে গেল। ভুলে গেছে কি বারান্দাটা! পাখিটার শিষ ঢুকে চৌবাচ্চা ফোটা হয়ে যেত সরস রঙ টসটস করে। আর রাহমান বলে চলছে -অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? গুরু গম্ভীর তানে মেঘমল্লার গায় আকবর তানসেন, সানাই আজও বাজিয়ে দিল বিসমিল্লাহ্ খান- বললে উৎসবের মাঝে যে বিষাদ লুকিয়ে থাকে তাকেও কোলে তোলা চাই, আঁচলে গিট দিয়ে রাখুক সবাই সুরের প্রান্ত ধরে। বাজুক আজই বিয়ে বাড়ীর সানাই – দুই বাংলার প্রাচীর উধাও, হারিয়ে পাওয়ার ব্যাথা থাকুক শিরায়-শিরায়, আবার একই ভুল না করার প্রয়াসে।
এখানে রিমঝিম- রিমঝিম বৃষ্টির তালে দুই বাংলা গান গাইছে নাওয়া খাওয়া রেখে—মুজিব এক ফাঁকে বলে দিল ভুলটা ঐ একদিনের সার কথাতে ছিল- ভুল যদি সাত চল্লিশে না হত, সব কথা তার মনে পড়ে গেল। ভুলে গেছে কি বারান্দাটা! পাখিটার শিষ ঢুকে চৌবাচ্চা ফোটা হয়ে যেত সরস রঙ টসটস করে। আর রাহমান বলে চলছে -অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? গুরু গম্ভীর তানে মেঘমল্লার গায় আকবর তানসেন, সানাই আজও বাজিয়ে দিল বিসমিল্লাহ্ খান- বললে উৎসবের মাঝে যে বিষাদ লুকিয়ে থাকে তাকেও কোলে তোলা চাই, আঁচলে গিট দিয়ে রাখুক সবাই সুরের প্রান্ত ধরে। বাজুক আজই বিয়ে বাড়ীর সানাই – দুই বাংলার প্রাচীর উধাও, হারিয়ে পাওয়ার ব্যাথা থাকুক শিরায়-শিরায়, আবার একই ভুল না করার প্রয়াসে।
![]() |
| ~ কবি পরিচিতি ~ |
ঝিলিমিলি
Reviewed by Pd
on
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪
Rating:
Reviewed by Pd
on
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪
Rating:


কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন