মৌ দাশগুপ্তা







একটি চাঁদ ও দুটি দৃশ্য




দৃশ্য: ১
জ্ঞানপ্রাপ্তি থেকে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আস্তিকের হৃদয়ে ,
যদিও ভক্তির প্রাবল্য ও উপাচারে ঢাকা পড়ে
ঈশ্বরের প্রতীক শেষে মন্দিরের পাথর হয়ে গেছিল।
অবশেষে পাথরের অবয়ব নিয়ে পাহাড় পড়েছিল ভেঙে ,
হড়কাবানে ভেসে গেছিল আস্তিক ভক্ত ও নাস্তিক পর্যটকের দল।
নির্জীব পাথরের চাঁইয়ের সাথে ঝরে পড়েছিল কেউ।
ধ্বংস স্তূপে চাপা পড়েছিল অনেক মানুষ,
রক্তমাখা মাংসপিন্ডগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মাটিতে,
অনন্ত সেকেন্ড; অনন্ত মিনিট ; অনন্ত সন্ধিক্ষণ জুড়ে যেন
শোকে, যন্ত্রণায়, আর্তনাদে কেঁদে উঠেছিল উত্তরাখন্ড।
প্রকৃতির মারনভূমিতে তবু আবছা হেসেছিল চাঁদ।

দৃশ্য: ২

জীবন্ত নরম ক্যানভাস পেয়েছিল কিছু নরকের কারিগর
গোটা শরীর জুড়ে রক্তাক্ত আঁচড় টেনেছিল
ত্লীক্ষ্ন দাঁত আর ধারালো নখ দিয়ে।
এঁকে দিয়েছিল নগ্ন পুরুষত্বের অহঙ্কারী অধিকার বার্তা,
না-মানুষের দল শুধু নারী চেনে,নারী তো শুধু দেহ ,
চামড়া আছে,হাড় আছে , মাংস আছে ;আর আছে বিনোদনের খনি।
অত্যাচারিতার আর্তনাদে গতি পেয়েছিল তাদের নারকীয় স্পৃহা।
জীবনকোষ থেকে প্রগাঢ় নিষ্পষণে ছিনিয়ে নিয়েছিল শ্বাসবায়ূ,
ক্ষতবিক্ষত উলঙ্গ দেহটা একাই ভিজছিল আবছা রূপালী জোছনায়,
খোলা চোখের বিস্ফারিত তারায় প্রতিবিম্ব হয়ে চাঁদটাও মলিন হাসছিল।

কলকাতা । 


মৌ দাশগুপ্তা মৌ দাশগুপ্তা Reviewed by Pd on জুলাই ৩০, ২০১৩ Rating: 5

২টি মন্তব্য:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.