উদয় শংকর দুর্জয়








ভাসুক নিরবোধি  অপেক্ষার কাল 


আকাশ ঝরালে বৃষ্টি  কাব্য তুমি অন্তরাতে বাঁধো সুর, মায়ের বকুনিতে বেনী করা চুল ছাড়াতে বসো বেলকনিতে। অস্পষ্ট একটি দমকা বাতাস তখন প্রাণেশ্বর বিহীন সংসারে  দোল খায় এপার ওপার। আলতো হাতে ছুঁয়ে দিতেই ভ্যাজানো দুয়োর খুলে যায় -যে পৃথিবীর পথে মাত্র দু’টি ফুল,ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য হিরে আর জহরত। সৌরভ মোড়া এক  কল্পকাল আর শীতের শেষ তাজা দিন গুলো গভীর অপেক্ষায়। সকালের সোনা কুচি মাখা রোদ ভীষণ প্রিয় আর আমার সূর্য বাড়ি যাওয়ার পথে যখন আলো লেপে যায়-  ভীষণ ভলোলাগা। আমি ঈর্ষায় পুড়ি, পোড়ায় চোখের পাতা, কপোল ছাপিয়ে  জোছনা ঝরে পড়ে টুপটাপ  যেন জেগে ওঠা বাংলার অবারিত কাশফুল। আবসরে তোমার কফিতে দারুন উন্মাদনা আর আমার জল চায়ে চুমুক- কথার তুমুল  ঝড়ে  একাকার  আশন্ত সময় ডানা।  তোমার বাকা হাসির  আড্ডায় একশ’টা    পদ্মফুল দল  মেলে ফোটে; জংলিছাপার আলোছায়ায় আঁকা ঝু্ল বারন্দায় সুরের  পাখী  মেলায় ঠোঁট- তুমি গাও হে আমি শুনি, করি সুধা পান। এই  নিরন্তর   স্রোতধারায় ভেসে যাই, ভাসুক নিরবোধি  অপেক্ষার কাল। যাই, যেখানে  যাইনি, ছুঁইনি জল কখনও।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ