নাগরিকত্বের প্রমাণ ভোটাধিকার
একমাত্র জালি সরকার হলেই বলতে পারে ভোটাধিকারও নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। এমন কোন গণতান্ত্রিক দেশ রয়েছে যার সংবিধান ভোটাধিকারকেও নাগরিকত্বের প্রমাণ বলে স্বীকার করে না? গণতন্ত্রের প্রথম শর্তই হলো রাষ্ট্রের সরকার নির্বাচন এবং গঠন করার অধিকার। যারা সেই অধিকার ভোগ করবে। একমাত্র তারাই সেই রাষ্ট্রের নাগরিক। বা, একটি রাষ্ট্রে, একমাত্র নাগরিকরাই সেই রাষ্ট্রের সরকার নির্বাচন এবং গঠন করার অধিকারী। ফলে যেদিক দিকেই দেখা যাক না কেন, ভোটাধিকার প্রাপ্ত সকল প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিই একটি রাষ্ট্রের নাগরিক। নাগরিকের কাছে যদি সচিত্র ভোটার কার্ড নাও থাকে। নানান কারণেই সেই কার্ড হারিয়ে যেতে পারে। নষ্ট হয়ে যেতেও পারে। কিন্তু রাষ্ট্রের কাছে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত ভোটার লিস্টে নাম থাকাই একজন ব্যক্তির সেই দেশের নাগরিকত্বের প্রধানতম প্রমাণ।
একজন ব্যক্তি যদি একটিও বিধানসভা কিংবা লোকসভা নির্বাচনে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কোন না কোন একটি সরকার গঠন করায় অংশ নিয়ে থাকেন, তবে সেটাই তাঁর নাগরিকত্বের সর্বোত্তম প্রমাণ। কেননা আইনসভায় বেনাগরিকদের ভোটাধিকার স্বীকৃত নয়। যদি কোন নির্বাচিত সরকার সেই প্রমাণ অস্বীকার করে। তবে সেই সরকারের এক শতাংশও সাংবিধানিক বৈধতা থাকার কথাই নয়। দেখতে হবে, রাষ্ট্র যেন কোন অসৎ উপায়েই জীবিত একজন নাগরিকের নামও ভোটার লিস্ট থেকে বাদ না দেয়।
এখন জাল ভোটার কার্ডের যে কথাটা বাজারে ছড়ানো হচ্ছে। প্রযুক্তির এই যুগে সরকার কেন কিউআর কোডযুক্ত সচিত্র ভোটার কার্ড বাড়ি বাড়ি পাঠাচ্ছে না? সরকার চাইলেই এই কিউআর কোডযুক্ত সচিত্র ভোটার কার্ড তৈরী করে প্রতিটি নাগরিকের হাতে তুলে দিতে পারে। যে কিউআর কোডযুক্ত সচিত্র ভোটার কার্ড স্ক্যান করলেই ধরা যাবে কার ভোটার কার্ড আসল। আর কারটা নকল। এত সহজ একটা উপায় হাতের কাছে রয়েছে। তথাপি জাল ভোটার কার্ডের অজুহাতে ভোটার কার্ডকে নাগরিকত্বের প্রমাণ বলে না মানা, সোজা কথায় শয়তানি। সংবিধানকে অস্বীকার করা।
আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানো এবং দেশের নাগরিকদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা। যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাজকোষের দখল নিতে সরকার গঠন করা গেল, সরকার গঠন করে প্রথমেই তাদের নাগরিকত্বকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেওয়ার মতো ভয়াবহ রকমের বিশ্বাসঘাতকতা সভ্যতার ইতিহাসে আর নেই।
শ্রীশুভ্র / নাগরিকত্বের প্রমাণ ভোটাধিকার
Reviewed by শব্দের মিছিল
on
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫
Rating:
Reviewed by শব্দের মিছিল
on
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫
Rating:

সোমা দত্তের "মণী-মুক্তো" পড়লাম। নির্যাস, 'সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে'
উত্তরমুছুন