রত্নদীপা দে ঘোষ | দুটি কবিতা

sobdermichil.blogspot.com

মাখন মাখামাখি যাপনপাখি

■ রত্নদীপা দে ঘোষ

আনন্দাশ্রুতে ভিজিয়ে রাখুন নিজস্ব ডগাশিশির।

পরিমাণ মতো সূর্যমুখীর উপবন। রাজমাচূর্ণে মেতে উঠুক সুপর্ণ বনস্পতি।

সম্ভাবনার আবহে পূর্ণ রূপশালীর গোলার্ধ, কমপক্ষে বারোঘণ্টা নিশপিশের সাথে নিউট্রেলা।

মউমাছির জমিদারি, উড়ুক একটু। টুকটুকে কয়েকটি লালমরিচ ভাসিয়ে দিন তামার কৃষকে।

দেখুন, কেমন স্পষ্ট হয়ে উঠছে পারাপারের ঘুঙ্ঘুর। আয়নাকে কখনোই দর্পণের মিলিমিটারে মেশাবেন না। জানবেন, প্রত্যেকটি রান্নাই আলাদা রকমের পাল-তোলা আবাহন।

দর্পণের রাঙাপত্রিকাটির চরম আবাদি। মনে রাখবেন, এক নির্মাণ দিয়ে সব কথাশিল্পীকে যেমন সেলাই করা যায় না। ঠিক তেমনি, এক কলমে সকল কাব্যগ্রন্থকে আঁকাও উচিত নয়।

কচুচিংড়ির পাতুরি

ভবঘুরের আত্মকাহিনী রাঁধবেন, ভাবছেন? সোজা রান্না। 

আলোচাল আর প্রাকৃতঘূর্ণি । পাখিসব আর কলরব। কলাবৃত্তের শস্যরোদ। বৃত্তকলার রোদহীনতা।  দীনভিখারির প্রথম ঝুলিতে একাকার করুন একপাতা নিরালা।

দ্বিতীয় কাঙাল। তৃতীয় ফকির। 

একে একে সকলকে মিশিয়ে দিন, মিলিয়ে দিন তড়িঘড়ির ভেদরেখা মুছে। 

বনসৃজনের নাও দিয়ে ঢেকে রাখুন মায়াবিনী বিন্ধ্যসমুদ্র। ব্যাস। আর কিছুই করতে হবে না আপনাকে। কান্নার আঁচেই আপনমনে রান্না হতে থাকবে ভবঘুরের রচনাকাল। 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ