আধখাওয়া আপেল
পৃষ্ঠায় খেলে বেড়ায় হরিণ যখন আর
অনুভবের মোহ নিয়ে
কাছে আসে যদি সম্মোহন
সেই আমার ঠিকানা
প্রথম বসন্ত। জেগে উঠছে মৃত ফুরুস
খুলে রাখা যায় আঁটোসাঁটো
যদিও শিথিল ফ্যাশনে ফুলে উঠতে পারে ছুঁইছুঁই
অথচ তাকেই না-পাওয়া
ব্রহ্মহীনতার এই খোঁজের ভেতর খোঁজ। তাছাড়া
ভিন্ন কিছু নয়
বাস্তবতার দাবি মেনে জোড়া শালিক ছায়
ছায়ায় মায়া এসে লাগে পাড়ে
খেজুর থেকে বটগাছ
রূপকে রূপকে এত বদল হলে
বর্তমান মনে হয় যেন আধখাওয়া আপেল
ব্যস্তবাগীশ ও তার পাণ্ডুলিপি
ব্যস্তবাগীশের আকাশে ওড়ে না কোনো গাংশালিক
নিজের কাঁধে ও পিঠে বয়ে নিয়ে যায় বৃত্তিজাত পরিচয়
বিষয়কে উলঙ্গ করাই যার নেশা
চকডাস্টারের বিনিময়ে সে জ্বেলে রাখে মশাল
মশাল বারবার হাতফেরি হয়
তার আঁচ থেকে বুঝি সমান্তরাল হয় মনোটোনাস ঘুম!
আয়ু ঠিকরে বেরিয়ে আসে
কঠিন সূর্যাস্ত
পিপাসা জড়ানো তবু একখন্ড পাণ্ডুলিপি
সাতপাকে যদিও পালকেরই অধোগামীত্ব
কিছুটা অন্ধকার
কিছুটা ঈশ্বর এখনও লেখেননি রসাতল
সেই তাকে আমি চিনি ---
কবিতার ব্যাখা টেনে যে নিজেই নিজের কাছে দ্রবীভূত
আর একটি গিটার
তুমুল করে রাখে আত্মতুষ্টি
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন