দৈনন্দিন জীবনে আমাদের মধ্যে হারিয়ে গেছে সময়৷ আমরা দূরে সরে গেছি কাছের মানুষগুলোর থেকে ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং দুনিয়াতে বেড়ে গেছে দূরত্ব ৷ দূরের সম্পর্কগুলি আমাদের জীবনে এসেছে দমকা হাওয়ার মত I জটিলতা যে বেড়েছে তাতে এমনটা নয় ৷ কমেছে একাকিত্ব ৷ বৃদ্ধ ,বৃদ্ধার জীবনে এখন অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং দুনিয়া ৷ অবসর যাপনের সঙ্গী হয়েছে ৷ আবার উল্টে করে ভাবলে দেখা যাবে দূরে সরে গেছে অনুভূতিগুলি ৷ আমরা আমাদের বিছানার পাশের মানুষটিকে কিংবা পাশের ঘরের মানুষটিকে গুড মর্নিং ,গুড নাইট জানাতে ভুলে গেছি ৷কিন্তু ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপ যুগে দূরের মানুষটির সাথে চলছে শুভেচছা বার্তা ,সুখ দুঃখের কথোপকথোন ৷ প্রতিদিন সকালে ব্যাগ হাতে বেরানোর সময় বাড়ির মানুষটির অভাব , অভিযোগ ,অভিমান ,হতাশার কথা জানতেই পারি না ।তাদেরও যে কিছু বলার থাকতে পারে তা ভুলতে বসেছি ৷আমরা সারিদিনের ব্যস্ততার মাঝে জানতেই পারি না প্রিয়তম মানুষগুলি খাওয়া হল কিনা কিংবা তাদের শরীর ঠিক আছে কিনা ৷ বাড়িতে গৃহবন্দী মানুষগুলোর অবসর যাপনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে হয় টিভি না হয় বাড়ির পরিচালিকা ৷ বাড়ির বয়ষ্ক মানুষগুলি কিংবা ছোট্ট শিশুটি নিয়মিত চোখ রাখে জানলার খড়খড়িতে ৷ কখন আসবে মা ,বাবা কিংবা ছেলে , বউমা কিংবা স্বামী । এই সম্পর্কগুলোর রঙ কেমন যেন ফিকে হতে বসেসে ৷সকাল থেকে রাত অবধি আমরা ছুটছি৷ এমনকী ঘুমের মধ্যেও ছুটছি ৷ছোটার শেষ জানা নেই !
রাস্তার মোড়ে , রকে ,চায়ের দোকানে জমাটি আড্ডার দিন চলে গেছে ৷ একত্র হয়ত হয় কিছু মানুষ কিন্তু সেই আড্ডাটাও নির্ভেজাল নেই ৷ সেখানে জুড়ে থাকে সবাই হাতের মোবাইলটার সাথে ৷
প্রাণ খোলা আড্ডা ,পাশের বাড়ির মেয়েটা কখন জানলায় দাঁড়ায় এই সব আলোচনার দিন চলে গেছে ৷ আড্ডা মানে এখন গড়ে মাত্র ১ টা দিন Iআবার সেই দিনগুলো খেয়ে নেয় অফিস পার্টি, ক্লাব ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ একান্ত হওয়ার সময় কোথায় ৷
এই ঘটনাগুলি শুধুমাত্র আমার বাড়ির নয় গোটা বিশ্ব ব্যাপি ! বাড়ি ,নিদেনপক্ষে নিজের ঘরটা যেন শুধু রাত যাপনের ঠিকানা হয়ে উঠেছ ৷ লিগাল অ্যাডড্রেস যাকে বলে ৷ যাতে সনাক্ত করা যায় এই বাড়িতে গেলে এনাকে পাওয়া যাবে ৷ রাতটুকুও এখন আর নিজস্ব নয় ৷ কত সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে স্পর্শ পাচ্ছে না বলে ৷ কত সম্পর্ক বেরঙিন হয়ে যাচ্ছে চুম্বন খাওয়া হয় না বলে ৷ কত খাম খোলা হল না বলে অভিমান কলের জলের মিশে ড্রেনে চলে গেছে ৷সেই সময়টুকু স্থান কেড়ে নিয়েছে হাতের চারচৌকো বাক্সটি ৷ পার্ক , সিনেমাহল ভিড় হলেও নেই সেই আগের মত উষ্ণতা ৷ হাতটা ধরে বলার কেউ নেই -
তোমার বুকের মাঝে গভীর ফাঁক, ঘন তিলটা
আমার জন্য তুলে রেখো ...
সবাই যেন প্রেম করতেই ভুলে গেছে ৷ ফেসবুক ,হোয়াটস অ্যাপ আসায় প্রেম যেন সস্তা হয়ে গেছে৷ স্কুলের সামনে, কলেজের গেটের উল্টোদিকে দাঁড়ানো তরুণের সংখ্যাও হাতে গোনা ৷বেড়েছে আত্মহত্যা ৷ জীবনের দাম যেন কয়েকটা মুহূর্ত ৷ যে কোন সময় মূল্য দিতে প্রস্তুত যে কেউ ৷ যাপনটা যেন অর্থহীন ৷
গবেষণায় বলছে ঘুমানোর সময় আশেপাশে মোবাইল , ল্যাপটপ রাখবেন না ৷ কিন্তু শোনার মানুষ কই !সেই তো প্রিয় সঙ্গী ৷ ছোট্ট শিশুকে খাওয়ানোর জন্য মা কিংবা পরিচালিকা বেছে নিচ্ছে সহজ পন্থা ৷ ছেড়ে দিচ্ছে টিভি , গেম ,মোবাইল ইত্যাদি ৷ ছোট থেকে বেড়ে উঠছে গোপন দূরত্ব ৷ কেউ বুঝলোই না মা'র ভাত মাখা ডালের সাথে কিংবা মা'র গায়ের গন্ধ ৷একটা প্রজন্ম যেন বঞ্চিত সব কিছু থেকে ৷ কে কার খবর রাখে ৷ মুহূর্ত মানে তো পরিশোধ ৷ সব কিছুর পিছনে উদ্দেশ্য ৷সেই উদ্দেশ্যর কোন সংজ্ঞা নেই ৷ নেই প্রয়োজন কারোর কাউকে ৷ সংলাপ এখন সংক্ষিপ্ত ৷ কথা বলতে ভুলে গেছে মানুষl শুনবে কে ? লোক বলতে হাতে গোনা ৷ বৃদ্ধাশ্রম কিংবা শ্মশানে গেলে পাওয়া যায় ৷
কোথাও যেন কেউ অপেক্ষা করার নেই ৷ লেখা হয় না চিঠি ৷ গোলাপী খামে ভরা সুগন্ধ চিঠি লেখে না কেউ ৷ ভ্যালেন্টাইন দিবস পালন করছি আমরা কিন্তু ভাবতে ভুলে গেছি আপন মানুষটা কী চায় ! তার পছন্দের রঙ কী !এমনই বিপর্যস্ত সময়ে ঢুকে পড়েছে ভাইরাস আমাদের জীবনে ৷ রাখতে বলছে দূরত্ব অন্য মানুষটির সাথে ১ মিটার ৷ গৃহবন্দী থাকতে বলছে সবাইকে ৷ মানুষ কিছুটা জোর করে হলেও কাছে এসেছে একে অপরের ৷ এই সময় খোঁজ নিলে দেখা যাবে কন্ডোম বিক্রির সংখ্যাও বেড়ে গেছে ৷ ইন্টারনেট থাকলেও বাড়ির ,ঘরের মানুষটার সাথে ২৪ ঘন্টা কিংবা ৩৬oo সেকেন্ড কাটানোর অনুভূতি পেতে শুরু করেছে ৷ বৃদ্ধ মা , বাবা কাছে এসে পৌছেছে সন্তান উৎকণ্ঠায় I বাড়ির পরিচালিকাটিও অবাঞ্ছিত ভাবে ঢুকে পড়তে পারছে না সম্পর্কের মধ্যে৷ নিজের কাজ নিজেকে করতে হবে এই বিশ্বাস নিয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছে কেউ পাশে থাকছে ভরসার দুটি হাত I যাকে কখনও রান্নাঘরের দরজায় দেখা যেত না সে এখন কড়াই মাজজে কিংবা রান্না করছে ৷ এই দৃশ্য কিন্তু উপভোগ করছে আমজনতা ৷
বিদেশে নির্দিষ্ট বয়সের পর একা থাকা প্রচলন হলেও ১০০ কোটির ভারতবর্ষে তা সর্বতভাবে চালু হয় নি ৷ একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে চূর্ণ হলেও শিকড়ের টান একটা রয়ে গেছে l ভালোবাসতে ভুলে গেছে জাতি একথা বলা সঠিক হবে না ৷বরং ভালোবাসার পূর্ণতা বুঝতে শুরু করেছে ভাইরাসের ফলে ৷ বেশী ভিড় এড়িয়ে বাড়িতে থাকতে বলছে ৷ রেঁস্তোরার , বার ,ডিস্কো সবই বন্ধ ৷ মানুষ যাবে কোথায় ! ফলত আবার ফিরে এসেছে পুরানো ঠিকানায় ৷ বাড়ি বসে কাজ কতক্ষণ আর করা যায় ৷ কাজ করতে গেলেও তো চা পান করতে হয় ৷ আর সেই চা যদি নিয়ে আসে প্রিয়তম মানুষটি তবে হাতের ছোঁয়া তো লাগবেই ৷ হাত বার বার করে ধুতে বলছে এই সংক্রমণ এড়াতে ৷কিন্তু তাতে তো আরও প্রবণতা বাড়ছে হাতে হাত দেবার ,ছুঁয়ে ,ছুঁয়ে থাকার ৷ পাশের বাড়ির মাসিমার দিকে তাকাতে ইচ্ছা না হলেও দিনে ১বার অন্তত দেখা হচ্ছে জামাকাপড় মেলা,চা খাবার,ব্যালকনিতে দাঁড়ানোর সময় ৷অদ্ভুত মায়া বিরাজ করছে সর্বত্র ৷
এক মারণ ভাইরাস মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে দিতে পারে তা কখনও ভেবেছে বিশ্ব ৷দেশে দেশে মৃত হচ্ছে কত মানুষ ৷চোখের জল পড়ছে ৷ সময় অফুরান এখন মানুষের ৷তাই ভাবনাও বেশী ৷আগে পাশের ফ্ল্যাটের মানুষ মারা গেলেও জানতে পারত না ৷এখন প্রতিনিয়ত চোখ খবরের পাতায় , টেলিভিশনে । পাড়া প্রতিবেশী জ্বরে আক্রান্ত হলে খবর দিয়ে আসছে প্রশাসনের কাছে৷ সারা বিশ্বের মানুষ বহু বছর পর একটা বিষয় নিয়ে ভাবছে ৷ একমত হয়েছে ৷আমরা ভালোবাসতে শুরু করেছি নিজেকে ৷ যা ভুলে গেছিলাম ৷ভাবতে শুরু করেছি সংক্রমণ থেকে সবাই বাঁচব কী করে !
" এই জীবন এমনি করে যায় যাক না ...
সবাই মিলে হাতে হাত দিয়ে লড়ব । মৃত্যু যদি সামনে আসে এত হাত পাশাপাশি দেখে যেন পিছিয়ে যায় ৷ এই ভাবে যেন আমরা ভালোবাসতে পারি নিজেদের কাছের মানুষগুলোকে ৷তবেই ভালোবাসতে পারব কঠিন সময়কে ৷ কেটে যাবে বাধা ৷ মুছে যাবে ভাইরাস ৷ এইভাবে যেন জুড়ে থাকি সবাই ৷
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় ফিরে আসি
বোঝাপড়া
মন রে আজ কহো?
ভালো মন্দ যাহাই আসুক
সত্যরে লও সহজে ৷৷
যাহার লাগি চক্ষু বুজি
তাহারে বাদ দিয়াও দেখি
বিশ্বভুবন মস্ত ডাঙ্গর৷৷
খুব খানিকটা কেঁদে কেটে
অশ্রু ঢেলে ঘড়া ঘড়া
মনের সাথে কোনরকম
করে নে ভাই বোঝাপড়া ৷৷
তবে আজ আর কোন বোঝাপড়া নেই । সারা দেশ , সারা বিশ্ব একসাথে লড়ছে এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৷ আরো জুড়ে থাকি হৃদয়ে শরীরে নয় এই স্লোগান উঠুক সর্বত্র ৷
আমার জন্য তুলে রেখো ...
সবাই যেন প্রেম করতেই ভুলে গেছে ৷ ফেসবুক ,হোয়াটস অ্যাপ আসায় প্রেম যেন সস্তা হয়ে গেছে৷ স্কুলের সামনে, কলেজের গেটের উল্টোদিকে দাঁড়ানো তরুণের সংখ্যাও হাতে গোনা ৷বেড়েছে আত্মহত্যা ৷ জীবনের দাম যেন কয়েকটা মুহূর্ত ৷ যে কোন সময় মূল্য দিতে প্রস্তুত যে কেউ ৷ যাপনটা যেন অর্থহীন ৷
গবেষণায় বলছে ঘুমানোর সময় আশেপাশে মোবাইল , ল্যাপটপ রাখবেন না ৷ কিন্তু শোনার মানুষ কই !সেই তো প্রিয় সঙ্গী ৷ ছোট্ট শিশুকে খাওয়ানোর জন্য মা কিংবা পরিচালিকা বেছে নিচ্ছে সহজ পন্থা ৷ ছেড়ে দিচ্ছে টিভি , গেম ,মোবাইল ইত্যাদি ৷ ছোট থেকে বেড়ে উঠছে গোপন দূরত্ব ৷ কেউ বুঝলোই না মা'র ভাত মাখা ডালের সাথে কিংবা মা'র গায়ের গন্ধ ৷একটা প্রজন্ম যেন বঞ্চিত সব কিছু থেকে ৷ কে কার খবর রাখে ৷ মুহূর্ত মানে তো পরিশোধ ৷ সব কিছুর পিছনে উদ্দেশ্য ৷সেই উদ্দেশ্যর কোন সংজ্ঞা নেই ৷ নেই প্রয়োজন কারোর কাউকে ৷ সংলাপ এখন সংক্ষিপ্ত ৷ কথা বলতে ভুলে গেছে মানুষl শুনবে কে ? লোক বলতে হাতে গোনা ৷ বৃদ্ধাশ্রম কিংবা শ্মশানে গেলে পাওয়া যায় ৷
কোথাও যেন কেউ অপেক্ষা করার নেই ৷ লেখা হয় না চিঠি ৷ গোলাপী খামে ভরা সুগন্ধ চিঠি লেখে না কেউ ৷ ভ্যালেন্টাইন দিবস পালন করছি আমরা কিন্তু ভাবতে ভুলে গেছি আপন মানুষটা কী চায় ! তার পছন্দের রঙ কী !এমনই বিপর্যস্ত সময়ে ঢুকে পড়েছে ভাইরাস আমাদের জীবনে ৷ রাখতে বলছে দূরত্ব অন্য মানুষটির সাথে ১ মিটার ৷ গৃহবন্দী থাকতে বলছে সবাইকে ৷ মানুষ কিছুটা জোর করে হলেও কাছে এসেছে একে অপরের ৷ এই সময় খোঁজ নিলে দেখা যাবে কন্ডোম বিক্রির সংখ্যাও বেড়ে গেছে ৷ ইন্টারনেট থাকলেও বাড়ির ,ঘরের মানুষটার সাথে ২৪ ঘন্টা কিংবা ৩৬oo সেকেন্ড কাটানোর অনুভূতি পেতে শুরু করেছে ৷ বৃদ্ধ মা , বাবা কাছে এসে পৌছেছে সন্তান উৎকণ্ঠায় I বাড়ির পরিচালিকাটিও অবাঞ্ছিত ভাবে ঢুকে পড়তে পারছে না সম্পর্কের মধ্যে৷ নিজের কাজ নিজেকে করতে হবে এই বিশ্বাস নিয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছে কেউ পাশে থাকছে ভরসার দুটি হাত I যাকে কখনও রান্নাঘরের দরজায় দেখা যেত না সে এখন কড়াই মাজজে কিংবা রান্না করছে ৷ এই দৃশ্য কিন্তু উপভোগ করছে আমজনতা ৷
বিদেশে নির্দিষ্ট বয়সের পর একা থাকা প্রচলন হলেও ১০০ কোটির ভারতবর্ষে তা সর্বতভাবে চালু হয় নি ৷ একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে চূর্ণ হলেও শিকড়ের টান একটা রয়ে গেছে l ভালোবাসতে ভুলে গেছে জাতি একথা বলা সঠিক হবে না ৷বরং ভালোবাসার পূর্ণতা বুঝতে শুরু করেছে ভাইরাসের ফলে ৷ বেশী ভিড় এড়িয়ে বাড়িতে থাকতে বলছে ৷ রেঁস্তোরার , বার ,ডিস্কো সবই বন্ধ ৷ মানুষ যাবে কোথায় ! ফলত আবার ফিরে এসেছে পুরানো ঠিকানায় ৷ বাড়ি বসে কাজ কতক্ষণ আর করা যায় ৷ কাজ করতে গেলেও তো চা পান করতে হয় ৷ আর সেই চা যদি নিয়ে আসে প্রিয়তম মানুষটি তবে হাতের ছোঁয়া তো লাগবেই ৷ হাত বার বার করে ধুতে বলছে এই সংক্রমণ এড়াতে ৷কিন্তু তাতে তো আরও প্রবণতা বাড়ছে হাতে হাত দেবার ,ছুঁয়ে ,ছুঁয়ে থাকার ৷ পাশের বাড়ির মাসিমার দিকে তাকাতে ইচ্ছা না হলেও দিনে ১বার অন্তত দেখা হচ্ছে জামাকাপড় মেলা,চা খাবার,ব্যালকনিতে দাঁড়ানোর সময় ৷অদ্ভুত মায়া বিরাজ করছে সর্বত্র ৷
এক মারণ ভাইরাস মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে দিতে পারে তা কখনও ভেবেছে বিশ্ব ৷দেশে দেশে মৃত হচ্ছে কত মানুষ ৷চোখের জল পড়ছে ৷ সময় অফুরান এখন মানুষের ৷তাই ভাবনাও বেশী ৷আগে পাশের ফ্ল্যাটের মানুষ মারা গেলেও জানতে পারত না ৷এখন প্রতিনিয়ত চোখ খবরের পাতায় , টেলিভিশনে । পাড়া প্রতিবেশী জ্বরে আক্রান্ত হলে খবর দিয়ে আসছে প্রশাসনের কাছে৷ সারা বিশ্বের মানুষ বহু বছর পর একটা বিষয় নিয়ে ভাবছে ৷ একমত হয়েছে ৷আমরা ভালোবাসতে শুরু করেছি নিজেকে ৷ যা ভুলে গেছিলাম ৷ভাবতে শুরু করেছি সংক্রমণ থেকে সবাই বাঁচব কী করে !
" এই জীবন এমনি করে যায় যাক না ...
সবাই মিলে হাতে হাত দিয়ে লড়ব । মৃত্যু যদি সামনে আসে এত হাত পাশাপাশি দেখে যেন পিছিয়ে যায় ৷ এই ভাবে যেন আমরা ভালোবাসতে পারি নিজেদের কাছের মানুষগুলোকে ৷তবেই ভালোবাসতে পারব কঠিন সময়কে ৷ কেটে যাবে বাধা ৷ মুছে যাবে ভাইরাস ৷ এইভাবে যেন জুড়ে থাকি সবাই ৷
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় ফিরে আসি
বোঝাপড়া
মন রে আজ কহো?
ভালো মন্দ যাহাই আসুক
সত্যরে লও সহজে ৷৷
যাহার লাগি চক্ষু বুজি
তাহারে বাদ দিয়াও দেখি
বিশ্বভুবন মস্ত ডাঙ্গর৷৷
খুব খানিকটা কেঁদে কেটে
অশ্রু ঢেলে ঘড়া ঘড়া
মনের সাথে কোনরকম
করে নে ভাই বোঝাপড়া ৷৷
তবে আজ আর কোন বোঝাপড়া নেই । সারা দেশ , সারা বিশ্ব একসাথে লড়ছে এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৷ আরো জুড়ে থাকি হৃদয়ে শরীরে নয় এই স্লোগান উঠুক সর্বত্র ৷
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন