রুমা ঢ্যাং অধিকারী

রুমা

■ তন্বী সুখের বাবলস
রুমা ঢ্যাং অধিকারী


সিকিমের বনে হরেককিসিম মেঘ
নদী হয়ে বয়ে যায় শ্রম...

বাইরে চেয়ার পাতা। তার অদূরে গ্রাম্য কবিতারা
ঘাপটি মেরে থাকে। শুধু উইংস বদলে যায়, পাহাড়ও
গভীর রাতে হেসে চলে যায় রামের পুত্রবধূরা

এত লাশউৎসবের পরেও তারা কেমন যুগহীন এক তৃষ্ণা নিবারণ করে যায়
ধুপিপাতার ধোঁয়ায় তারা ঘরময় ছড়িয়ে রাখে পূর্বপুরুষের শিকড়

পাহাড়ে সন্ধের খাদগুলো তবু মনে হয় বড় অন্ধ​
কিন্তু ধমনীসুলভ সায়াহ্নের সুবাসে...
​টাটকা অনুভূতির সাথে আমার নিশ্চই দেখা হবে
তখনও রাংতার প্রয়োজন
যেমন প্রয়োজন ফুলের স্নেহের​

সমস্ত অভিঘাতের বিরুদ্ধে এইভাবে শিল্প গড়ে উঠলে
এইসকল তবকগুলোই হবে কবিতা​
​ ​যা তন্বী সুখের বাবলস


■ উৎসর্গ

১/

ঘন্টা চিনিয়ে দিচ্ছে ঘটিগরমের ঘাম​
শিস দিয়ে তখন খাঁচার মালিক বাসন তোলে ঘরে
আর জল দিয়ে লিখে রাখে
​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ প্রতিটা উৎসর্গের লিস্ট​

২/​

একটা এরোপ্লেন গোঙানি দিয়ে আরও ওপরে উঠল
অথবা মাটি ছুঁলো
হরেনবাবুর সংসারে এটুকুই আয় ব্যয়​

শুধু ঠোঁট চিপে চিপে একটা মশাল​
​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ ​ অনায়াসে নিভে যাচ্ছে​

তবে থেকে কোলাহলের স্বাদ নোনতা​
আর জাবরের রং স্তব্ধের সঙ্গে মিশে...

একটি ধুন অথবা ধুনো



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ