চিরন্তন ব্যানার্জ্জী

চিরন্তন ব্যানার্জ্জী

কুরুক্ষেত্র

দুপাশে লাশের ঢের যুদ্ধের রথ চলে যায়,
আমার উঠোন আজো ঢেকে আছে হাস্নুহানায়।
আমার চাওয়া তো অতি সামান্য, ভাত রোদ ঘুম;
তবু জেনো মুখ বুজে সইবো না সকল জুলুম
আমার না থাক ছুরি, বন্দুক, বারুদের ধোঁয়া
আমার দুহাত মুঠো, বুক পেতে থামাব সাঁজোয়া।
আমার মতন কত, একে একে দুই, দুয়ে চার
শহর বা গ্রাম ছুঁয়ে প্রতিরোধ গড়ে বারবার।
যে মানুষ মরে গেছে সবাই কি শত্রু অচেনা?
বন্ধুর চিতা জ্বলে সস্তায় কাঠকুঠো কেনা।
আগুনের উত্তাপে পুড়ে ছাই পলাশের সাজ,
বাঁশি নয়, সুদর্শন তুলে নেব আজ।


খেলাঘর

নাভির জোৎস্নাদাগ ঢেকে দেয় আকাশের তারা,
আমার সস্তা ঘুম, চরাচর দিচ্ছে পাহারা।
চোখের জলের দামে কিনে আনা চাল ডাল নুন,
আমি তো একাই জ্বালি বিশ্বের প্রথম আগুন।
তার থাক বারবার ইশারার ভালোবাসা ভাষা
আমার পাহাড় দেখা, আলো মেঘ চাদর কুয়াশা।

ছুঁচ সুতো সুর বোনে ভুলে যাওয়া নক্সী কাঁথায়,
সব গান একদিন শেষ হয় পৃথিবীর গায়।
বাউন্ডুলের পায়ে লেগে থাকে রাজ্যের ধুলো
কথার আগল নেই, ছাই ফেলবার ভাঙ্গা কুলো।
খোলা মাঠে তিরকাঠি, ঘিরে রাখা অচেনা খেয়াল,
রাইকিশোরীর সাথে বাঁচা মরা আজন্মকাল।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ