পলাশ কুমার পাল

মনময়ূরী,
"আজ বিকালের ডাকে তোমার চিঠি পেলাম..."

জানি কোনো চিঠি লিখিসনি। তবু চিঠি পেয়ে গেলাম। বিকালগুলো এমনই! কোনো নিঃশব্দ চিঠির মতো রঙীন খামে হাজির হয়। হয়তো বলতে চায়- চলো উল্টোপথে হাঁটি সেএএই সদ্যোজাত দিনটার দিকে...  ফেরা হয়ে ওঠে না তবু। নগণ্য মানুষের যে অত সাধ্যি নেই। যেমন না-বাঁধা চুল হাওয়ায় ওড়ে, উড়বেই... রাতও অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে।

আর কিছুক্ষণ অতিথি বেঁধে রাখার মতো মূহূর্তের ঘূর্ণনে ঘুরতে থাকি কথার বৃত্তে...  হস্তরেখাগুলোকে সবুজঘাসের আদরে ভুলিয়ে রাখি আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে। জানি ঘাস কখনো মহীরূঢ় হয় না। তবু...

পাখিদের দেখি, ঘর ফেরা পাখিদের... তারা ঘর ফেরে একই গাছে বা একই বাসায়, ভালোবাসার দীপ জ্বালে, কেউ জড়ায় ভালোবাসায়। অথচ মানুষেরা রক্ত আর মাংসের মধ্যে মাছির মতো হন্যে...  আমরা কেন পাখি হতে পারি না, পাখিইইই? পাখি হলে ওড়বার ধর্ম বর্মের মতো মর্মে এঁটে ঘুরতাম। হয়তো কখনো তোর উঠানে আমি, কখনো আমার দুয়ারে তুই। আরও মানুষেরা এভাবেই স্বপ্ন আঁকত- আমি ও তুমির মাঝ থেকে সরে যেত দুই।

দুই হাতের মাঝে চিবুকটুকু ঠিকিয়ে এভাবেই কেশদাম বুনি। অস্তরাগের ফুল ফুটে ওঠে খোঁপায়। অথচ দেখাশোনা শেষে আবার কুমারী মেয়ের কনে সাজার স্বপ্ন কনেদেখা আলোতেই ভেঙে যায়, কোনো এক পথে চেয়ে-

কোনো এক পথ চেয়ে এভাবেই চিঠি উড়ে আসে আজও, এভাবেই বেঁচে উঠি অপেক্ষায়...

ইতি -
অ-বন্ধু


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ