অমলেন্দু বিশ্বাস

অমলেন্দু বিশ্বাস
 অসুখ (প্রিমিথিউস -১৫)

আমাদের দূরত্ব বেড়েছে ক্রমশ,
একটা চেনামুখ জলছাপ একেঁ দিতে দিতে তপ্ত বালির মরীচিকা,
তবুও একটা ভাঙনের বলিরেখা ধরে হেঁটে চলা পথিকের বিষণ্ণ মন
এখনও এই পাথর পৃথিবীর বুকে রেখে যায় একটা জন্ম দাগ,
দীর্ঘ মেয়াদী একটা জটিল সমীকরণ অমিমাংসিত কিছু প্রস্তাব।

ইচ্ছে ছিল দুজনে একসাথে চৈত্রের ধূল গুলো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেব আকাশের গায়,
ভেবেছিলাম আমাদের পরিচিত পাহাড়ের গাঁ বেয়ে একটা সূর্য উঠবে ভোরের কুঁয়াশা ঠেলে,
বসন্তের সব রঙ ফুরিয়ে গেলে শিমূল-পলাশ আঁচল পেতে এসে দাঁড়াবে আমাদের বারান্দায়,
আমাদের আজীবনের কৃষ্ণচূড়ার তলায়,
স্বপ্ন ছিল আমাদের সখের প্রিয় নদীটি দীর্ঘ জীবন পাড়ি দিয়ে শ্লথ হয়ে মোহনায় মিশে গেলে -
গোধূলী বেলায় আমরা ছায়া হয়ে একটা বালিয়াড়ির বুকে দাঁড়িয়ে সূর্য ডোবা দেখব পরস্পরের ঘনিষ্ঠ আঙ্গুল ছুঁয়ে।

আজ বললেই তো বলা হয় না সব কিছু
স্মৃতি বা বিস্মৃতি সে যাই হোক!
কিছু কথা না হয় থাক আমাদের অসুখের ভাঁজে!
শুধু জেনো তোমার নামে এই শহরের বুক জুড়ে রোজ রাতে বৃষ্টি নামে
স্বপ্ন গুলো কাগজের ডিঙি করে ভেসে যায় একটা দারুচিনি দ্বীপের খোঁজে।




অমলেন্দু বিশ্বাস অমলেন্দু বিশ্বাস Reviewed by Pd on মার্চ ২৯, ২০১৭ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.