সমাপ্তি ঘোষণা হল ৩৪ তম উত্তরবঙ্গ বইমেলার।

সমাপ্তি ঘোষণা হল ৩৪ তম উত্তরবঙ্গ বইমেলার।


২৪ শে নভেম্বর কবি, সুরকার শ্রীজাত –এর হাত ধরে শুভ উদ্ভোদন ৩৪ তম উত্তরবঙ্গ বইমেলার। অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হলেও মেলায় প্রথমদিন থেকেই উল্লেখযোগ্য নয় সাধারণ বইপ্রেমী পাঠকের উপস্থিতি। মেলায় আগত বিভিন্ন প্রকাশনীর কর্মকর্তাদের নিকট জানা গেলো, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রকাশনীর বই বিক্রির হার ছিল কম।   

নোট বদল ( টাকা ) বিষয়ক সমস্যাটি মানুষের কাছে দুর্বিষহ হলেও কিছু পাঠকের কথায় - শিলিগুড়িতে বইমেলায় কখনই তেমন ক্রেতাদের প্রভাব দেখা যায়না, যা কিনা বৈশাখী মেলা অথবা খাদ্যমেলায় দেখা যায়। 

পূর্ববর্তী সিধান্তের আমুল পরিবর্তনে এবার বইমেলা আগের সময়ে, অর্থাৎ প্রথাগত নভেম্বর।  বই মেলায় এবারের সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের বিষয় হল ছোট কাগজের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা।
সমাপ্তি ঘোষণা হল ৩৪ তম উত্তরবঙ্গ বইমেলার।
প্রায় দীর্ঘ তিন বছরের লড়াইয়ের পর এবার প্রথম, ছোট কাগজের সংগঠকরা বসার জায়গা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি পেয়েছে্ন।

শিলিগুড়িতে - মল্লার, পদ্য এই দুটি কাগজ ( পত্রিকা ) হল সবচেয়ে পুরনো ছোট কাগজ। নতুন কাগজ প্রকাশে যারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, উত্তরের কবিমন, কবিতার লাইট হাউস, ঋ ৯,  সাহিত্য অঙ্গন, ফুলেশ্বরী নন্দিনী প্রমুখ।

ছোট কাগজের সংগঠকরা জানিয়েছেন, বইমেলায়  নতুন জায়গায় খুশি হলেও পাঠকের অভাব বোধ করে, ছোট পত্রিকা এবং সমগ্র শিলিগুড়ি বইমেলা। 

গত ৪ঠা ডিসেম্বর, রবিবার  সাতদিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের বিজেতাদের পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা হল ৩৪ তম উত্তরবঙ্গ বইমেলার। 




প্রতিবেদক  -
দে ব জি ৎ




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ