দু'চার জন ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে এখানে ওখানে। দক্ষিণে অশ্বত্থ গাছটার নীচে কয়েকজন। পাঁচুকাকাকে দাহ করে যে গাছটা পুঁতেছিলাম আজ বেশ বড় হয়েছে,আশ্রয় দিতে শিখে গেছে। অন্যদিন এক ঝাঁক পাখি বসে থাকে। আজ হরিনামের খোল করতালের দাপটে ঘন্টা তিনেকের জন্য গৃহহারা, তবু অশ্বত্থের আশ্রয়ের ফাঁকি নেই।
কুড়ুলের তিন আঘাতে কিনে নিল মাটি। মুখাগ্নির সাথে সাথে গুমড়ে ওঠা কান্না ভেসে উঠেই নিভে গেল। এখন থেকে আশ্রয়হীন হয়ে আশ্রয়দাতা হতে হবে, এ সময় ভেঙে পড়ার নয়। কারা যেন কানের কাছে এসব বলতে বলতে ছেলেটাকে একরকম জোর করেই বসিয়ে দিল চাতালে।
চাতালের পিছনে একজন স্মার্টফোনে আঙুল সোয়াইপে দেখাচ্ছিল ব্যারাকপুরের যে মেয়েটির সাথে বকখালিতে দুটো রাত কিনেছিল তার ছবি, পাশের সঙ্গীগুলোর চটুল হাসি আর হতভাগ্য চোখ। ওই পাশে বটগাছটা কে কবে বসিয়েছিল জানি না, তার নীচে ফ্ল্যাটের গল্প, পাঁচ লাখ লোন, বাকিটা ক্যাশ।
চিতার ধোঁয়া পাক খেয়ে উঠে যাচ্ছে সদ্য পোড়া শরীরটাকে নিয়ে। আমি একটা চারাগাছ খুঁজছি, আগুন নেভার পর পুঁতে যাবো।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন