সুশান্ত কুমার রায়


বটবৃক্ষ



শৈশব-কৈশোর তারুণ্য, অতঃপর হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে,
তিলে তিলে গড়া সংসারে,
শিউলী বকুল কিংবা কদম্ব কেতকীর নয়-
মিশে আছে ঘামেরই উৎকট ঘ্রাণ-সোদা মাটির গন্ধ।

মায়ের শাড়ীর আঁচলে বাঁধা ছিলো মায়া মমতার
দীপ্ত জ্যোতির-অমীয় সুন্দরের বাণী।
আমাদের রক্তের শেকড়ে আছে
বার্ধক্যে মুহ্যমান- ক্ষীণ হয়ে আসা দৃষ্টির
নিথর দেহের বটবৃক্ষ,
ভালোবাসার বন্ধনে, সেই বটবৃক্ষের সুশীতল ছায়ায়
আমরা আজ যাঁরা- প্রাণ জুড়িয়ে চিরসবুজ- গর্বিত উত্তরসূরী।

তাঁদেরই বিষবাষ্প আর অবহেলায়
কঙ্কালসার ন্যূয়েপড়া নিথর দেহে- প্রিয় সন্তানের অপ্রিয় বাক্য-
ঢেউ তোলে উত্তাল তরঙ্গমালার-
খরাদগ্ধ বিরান মরুভূমি আর বজ্রপাতের দাহ নিঃশ্বাস।

নিয়তির বাস্তবতায় সত্যের উঠোনে আজ কাঁদে বেহুলা,
বটবৃক্ষের ঈষানকোণে অশ্রুসজল দিশেহারা মন।
চেনা মানুষের ভীড়ে আজ অচেনা হৃদয়,
আত্মসম্মান মান মযার্দা- সুনাম- খ্যাতি- যশ
স্বপ্নের মরা গাঙে ভাসে বৃদ্ধাশ্রম, ধূ-ধূ প্রান্তর-বালুচর।

এসো আমরাও সত্যপথ ধরি, তৃপ্ত মধুর জীবন গড়ি,
নয়তো ফলবে না আবাদ- ভরবে না আর মাঠ
ফুটবে না হাসি, উঠবে না সূর্য দিগন্তে- শান্তির প্রত্যাশায়।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* মন্তব্য করতে পেজটি রিফ্রেশ করুন .