শ্রেয়সী দত্ত


অলক্ষ্য রং 


(১)

ঘর মানে আসলে কিছু সহজাত চাহিদার
পালিত হয়ে ওঠা।
পর্দার যেটুকু আড়াল
তার নীচে দাঁড়িয়ে তোমার মনে হতেই পারে
এবার আমাদের দূরে সরে যাওয়া উচিত।
লবঙ্গ চিবাতে চিবাতে
এই যে সুবাস টুকু তুমি নাক ডুবিয়ে নাও
সেটুকু অব্দিই আমার প্রেম।
এরপর জানালা খুলে দাও..
খুলে দিও আলিঙ্গন
কিম্বা আলোর প্রয়োজনে পুড়িয়ে দিতে পারো আমাদের এই
সাময়িক কাছে আসাখানি।


(২)

তোফা মানে তুমি বুঝে নিয়েছ
দূরে থাকা আমাদের সে একান্ত বিছানাটুকু।
বুঝি শুধু সে জন্যই এ অন্য ভাষার দেশে এসেছি আমরা!
বসন্ত-বিকাল ভারী হয়ে উঠলে
আমরা ঘোরতর সংসারী হয়ে উঠি।
হাতে হাত রেখে পেরিয়ে যাই
আতস কাঁচ আর এই পাপ জনিত সংশয়।
সেই ফারাক থেকেই তুমি
বুঝে নিও আর কতখানি ইঁট গেঁথে তুললে
তাকে দেওয়াল বলতে পারো।


(৩)

গান এখন অযাচিত ঘুম হয়ে উঠছে।
তার সুর মুঠোয় ভরে
আমরা হেঁটে ফিরছি গাঢ় নেশার কাছে।
আমাদের সে পরিযায়ী সংসারের
দখলনামা চলে গেছে অন্য কোনো আস্তিনে।
এবার ফিরি তবে।
চেনা শহরে এসে তুমি বরং ফিরে যেও
রুমালদের ঘরে।
সমস্ত দলিলপত্র পুড়িয়ে দিয়ে আমিও
বরং মনে করে নেব
অসুখের রং ও লাল হয়।



শ্রেয়সী দত্ত শ্রেয়সী দত্ত Reviewed by Pd on মে ০৮, ২০১৬ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.