মানুষ বড়ই বিচিত্র প্রাণী , বাহ্যিক জীবনযাত্রা,চলাফেরার ভেতর একজন মানুষের জীবনকে বোঝা কখনই সম্ভব না । এমন এক জটিল ইন্দ্রজালের বিন্যাস সে করে রেখেছে তার মননে যে সেই জটিল তানপুরার একেকটি তার কিসের সাথে যে বাঁধা এবং কোন রাগ যে কখন তাতে বেজে ওঠে সত্যিই তা বোঝা দেবতার পক্ষেও মনে হয় সম্ভব নয় । যেখানে একটি তানপুরাকে বোঝা অসাধ্য সেখানে আজ এরকমই তিনটি কে নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করব বলে বসেছি ।
কিন্তু সেই তার গুলি যদি একটি দীর্ঘ তারের অংশ হয় তা হলে নিশ্চয় তা এক রকম ভাবে বাজতে বাধ্য । কখনও কখনও একই রাগে সেই সবকটি তার এক রকম ভাবেই বেজে ওঠে ।
মধূমন্তির সাথে অনিরুদ্ধের পরিচয় হয় মধুর দাদার ব্যাচে , লেখাপড়ায় ভালো মেয়ে মধুমন্তির প্রথম দেখায় লেখাপড়ায় ভালো ছেলে অনিকে ভালো লাগল । দুজনেই অসাধারণ কিছু, দুজনে সবার চেয়ে আলাদা এই মনোভাব দুজনেই একে অপরের জন্য পোষণ করত । মার্কেজ থেকে নবারুণ,শেক্সপিয়র থেকে জর্জ অরওয়েল সব বিষয়ে তাদের আলোচনা চলত দীর্ঘক্ষণ । তাদের পাণ্ডিত্যের আস্ফালনের প্রকাশে আর পাঁচজনের চোখ ঝলসে যেত । পকেটে কাফকা নিয়ে ঘুরে বেরান ছেলে
অনি আর ফটোগ্রাফির নেশায় উন্মাদ মধুমন্তি মাঝে মাঝে হানা দিত একাডেমী চত্বরে। বিশ্ব আতেলদের সমাবেশে দু চারটে কবিতা আওড়ে আর রাস্তা ঘাট নর্দমার ধারে শুয়ে পরে দু চারটে পতঙ্গজীবিদের ছবি তুলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের জানান দিয়ে ফিরে আসত নিজ নিজ পকেটে । রাতে শোবার আগে মধু অনিকে এস এম এস করত, “তুই আমার মধ্যে এক মহামানবকে দেখে ছিলি, তুই চেয়েছিলি সেই মহা মানব পূর্ণতা পেয়ে বিশ্বের কাছে উপস্থিত হোক জ্যোতির্ময়ী রূপে, আমি সেই পূর্ণতার দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছি ।“ অনি ভাবে সে সত্যিই ভাগ্যবান এমন মেয়ে কয়েক হাজার বছরে একবারই জন্মায় । সেদিন বাংলাদেশ বই মেলায় এক মহিলার ছবি তাকে না বলে তুলে নিয়েছিল মধু । অসাধারণ মানুষরা তো একটু এরকমই হয়, একটু খামখেয়ালি লাগামছাড়া গোচের । কিন্তু মহিলা কি অপমানই না করল মধুকে, ওর ক্যামেরা কেড়ে ছবি পর্যন্ত ডিলিট করলো !!!! মধুর সুন্দর মুখটা শুঁকিয়ে গেছিল । সেদিন আমি নিরুপায় হয়ে চেয়ে ছিলাম, করার কিছুই ছিল না ।
ইংরাজি সাহিত্যে স্নাতক হবার পর অনি আর মধু ঠিক করল অনেক পড়াশুনা হয়েছে,এবার চাকরি বকরির চেষ্টা চালাতে হবে । কিন্তু যেকোনো চাকরি তাদের পক্ষে করা কখনই সম্ভব না,এমন চাকরি খুঁজতে হবে যেখানে কিছু মানুষের ওপর কর্তৃত্ব চালাতে পারে তারা । সেই মত তারা সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল । এই প্রস্তুতি চলাকালীন দুজনে একে অপরের আরও কাছাকাছি আসলেও মধুর সব সময়ই যেন মনে হত অনি আর আর পাঁচটা প্রেমিকের মত একটুকু ছোঁয়াতে কিংবা একটু অন্যরকম দৃষ্টির কাছে ধরা দিতে কোথাও একটা গভীর সমস্যা আছে। কিন্তু অনি তো আর পাঁচজনের মত না,সে সকলের চেয়ে আলাদা,তাই তো প্রেমিক হিসেবেও তাঁর আবেগের প্রকাশটাও অন্য দের মত না হওয়াটাই স্বাভাবিক। আদি রসের ছিটে ফোঁটা অস্তিত্ব না রেখে ঘটনাকে নির্মম বাস্তবের ভূমিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাক ।
প্রথমবার দুজনে যা পরীক্ষা দিলো তাতে তারা ধরেই নিলো যে এবার এ গ্রুপ দুজনেই পাবে এবং সিভিল সার্ভিসের ইতিহাসে যৌথভাবে তাদের প্রথম হওয়াটাও কেউই আটকাতে পারবে না । অনিকে মধু বলল, চল এই ফাঁকে বিয়েটা করেই নি, তা হলে কাছাকাছি পোস্টিংটাও পাওয়া যাবে । অনি সাত পাঁচ না ভেবে প্রস্তাবটা লুফে নিলো । মধুকে পাওয়া কি আর মুখের কথা । এতো কোটি টাকার লটারি পাওয়ার মতন ব্যাপার । ভাগ্যবানের কপালেই জোটে । পাঠকরা এরই মধ্য আমার গল্পের নায়ক নায়িকার চরিত্র নিশ্চয় বুঝে গেছেন । এরকম আজব দুটো ছেলেমেয়ের ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার মাঝে যে অদ্ভুত পরিবেশ এবং বিচিত্র সব চরিত্রের প্রয়োজন হয় তা তারা পর্যাপ্ত ভাবে পেয়েছে বলে তা সম্ভব হয়েছে । দুই পরিবারে প্রত্যেকে এই ছেলে মেয়ে দুটিকে নিজেদের মহৎ ভাবার প্রশ্রয় দিয়ে এসেছেন । দুজনের বাড়ীর যৌথ উদ্যোগে অনিদের বাড়ীতে একটি ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয় । দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্টার এবং বিয়ের উপকরণ বলতে ছিল দুটো মালা,একটা খাতা,কয়েকটা কাগজ পত্র এবং একটা কলম । শাঁখা,সিন্দূর,নোয়া এরা কেউই উপস্থিত ছিল না । কারণ আর পাঁচটা দাম্পত্যের মতন এখানে বাধ্যবাধকতার কোন স্থান ছিল না । অনি আর মধু মুক্তি পেল এক ঝাঁক ভালোবাসার রজনীগন্ধার উদ্যানে । ওঁদের ভালোবাসা বড় বেশি আলাদা সবার চেয়ে, ফুলসজ্জার রাতে সে কথা বললে কি হবে ? মধুর বুকের ভেতরের হাজার প্রজাপতি বেরিয়ে আসতে চায় রজনীগন্ধার বাগানে । অনি তাঁর রুদ্ধ দ্বারে তালা দেয়, এখনও সময় আছে, রেজাল্টটা বেরোক আগে ।
বিধাতার পরিহাস অনিরুদ্ধের এ গ্রুপ পাওয়া হল না সি গ্রুপে রেভেনিউ অফিসার পেলো সে , মধু কিছুই পেলো না সে বছরে । মাঝখানে তিন বছর কেটে গেল । মধু সারাদিন ব্যস্ত থাকে ক্যামেরার লেন্সের ধুলো ঝারা কিংবা ফটোশপে ফোটো এডিটিং এর কাজে । তারপর যেটুকু সময় হাতে বাচে মধুমন্তি মনোযোগ দেয় তার পড়ায় । এইভাবেই বেশ চলছিল দিন গুলো । মনে প্রানে ভালোমেয়ে সেজে থাকার খেলায় পারদর্শী হয়ে উঠেছিল সে ।মধুর প্রেমের গল্পের চেয়ে ধর্ষিতার উপাখ্যান পড়তে সে বেশি উৎসাহ পায় আজকাল । মনে প্রানে অনুভব করে সেই ধর্ষিতা মেয়েটির ভয়ঙ্কর অনুভূতিকে । তারপর মনেমনে খুশি হয় নিজের কুমারিত্বকে অনুভব করে । পুলক পুরের আর পাঁচটা মানুষের কাছেও অনি আর মধু পরিচিত ইন্টেলেকচুয়াল বইখোড় দম্পতি হিসেবে । মানুষজনের সামনে তাঁদের দ্বৈত উপস্থিতি ছিল চোখ ধাঁদিয়ে দেওয়ার মতন ।
যা বলছিলাম সব কিছু ভালোই চলছিল,এরই মধ্যে দেখতে দেখতে চৈত্রের শেষে এসে চরিত্র দুটি দাঁড়াল।তাঁরা দাঁড়াল বৈশাখের প্রতীক্ষায় । পুলক পুর সরকারি হাসপাতালে এক ডাক্তার বাবু এলেন । সবাই তাকে নতুন ডাক্তার বলেই ডাকে । পুলক পুরের মতন অজ পাড়াগাঁয়ে ডাক্তারদের থাকার জন্য আলাদা কোন কোয়াটারের ব্যবস্থা নেই , তাই নিরুপায় হয়ে ডাক্তার বাবু আশ্রয় নিলেন অনিরুদ্ধদের মেস বাড়ীর একতলার ঘরে । ঠিক তার ওপরের ঘরে মধুমন্তি বসে থাকে দ্বার দিয়ে নিজের স্ব রচিত এক কল্প জগত এ । আজকাল বিকেল হলেই আকাশ অন্ধকার করে আসে , একটা গুমোট ভাব চারপাশে ঝড় উঠেও উঠতে চায় না । মধুর মনে হয় এই গুমোট পরিবেশে নিজে থেকে যদি একটা ঝড় তোলা যেতো। দরজায় টোকা পড়ল। অনি বোধ হয় এলো । দরজা খুলতে একটা ঝড় বাতাস এসে ধাক্কা দিলো মধুর বুকে।
আগন্তুক বলল, এককাপ চা হবে ? মধুর চোখ দুটো স্থির আগন্তুকের দিকে, মনে মনে ভাবল ঝড় হচ্ছে তা হলে । কথা গুলো কখন যেন মনের অগোচরে মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো । আগন্তুক বলল, দরজা জানালা দিয়ে বসে থাকলে বুঝবে কি ভাবে । আমি নিচের ঘরটায় এসেছি,এখনও সংসার গুছিয়ে ওঠা হয়নি। তাই। মধু দরজার থেকে সরে যেতেই আগন্তুক এসে ঢুকলো ঘরে । এককথা দুকথায় কথা বেড়েই চলে । এখানেও একে অপরের অসামান্যতার প্রমাণ দিয়েই চলে । এখন রোজ বিকেল হলেই অন্ধকার করে ওঠে,এখন বিকেল হলেই ঝড় ওঠে ।মধু জানালা দরজা খুলে বসে থাকে ।ঠাণ্ডা হাওয়া ধুলোবালি,গাছের ঝরা পাতা নিয়ে প্রবেশ করে ঘরে । প্রকৃতির সাথে এইভাবে মিলেমিশে যাবার কি যে আনন্দ তা এতদিন পর বুঝতে পেরেছে সে । ইন্টেলেকচুয়াল মেকি লোক দেখান জীবনের বাইরেও যে এক জীবন আছে এবং তা এই মাটি ধুলোকনার খুব কাছাকাছি তা ও বুঝতে পারছে । দমবন্ধ হয়ে আসে আজকাল । নিজেকে শোকেসে সাজান পুতুলের মতন মনে হয় । এই কি সেই জীবন যে স্বপ্নময় জীবনের কল্পনা করে সে অনির হাত ধরেছিল। এ কোন স্বাধীনতা না এক সাজান গোছান জেলখানা। অনির কাজের চাপ বেশি থাকায় সে রাতকরে বাড়ী ফেরে। যত রাত করে ফেরে ততই ভালো,না হলে সেই সাজানো গোছান এক মেকি পরিবেশের মধ্যে সেজে গুজে বসে থাকতে হবে ।
আজকাল রোজ বিকেল হলে মধুর দরজায় ঝড়ের টোকা পরে । বুকের ভেতরে জমে থাকা হাজার হাজার রঙ্গিন প্রজাপতি মুক্তি পায়, তাঁরা প্রাণভরে মাটির গন্ধ নিতে থাকে । কাল বৈশাখীর প্রথম ঝড়ের পর ভয়ঙ্কর বর্ষণ হয় । মাটি থেকে উঠতে থাকে গরম ধোয়া ।বৃষ্টি স্নাতা নদীর সোঁদা সোঁদা গন্ধে প্রকৃতি মেতে ওঠে সৃষ্টির বিচিত্র এক লীলায় । এক কাপ চায়ের জল কখন বহুদিনের ক্ষরা বন্ধ্যা জমিতে বান ডাকে । নতুন বীজের অঙ্কুরোদ্গম হয় । ঘরের চার দেওয়াল প্রহরীর মতন দাঁড়িয়ে থাকে, রাত বারার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ দেওয়ালের ছায়া এসে পরে মধুমন্তির বুকে । আবার শুরু হয় সেই গুমোট,পরিবেশ থমথমে । গরমটাও বেশ পরেছে । শরীরে নতুন কিছু উপসর্গ নিয়ে মধু পথ চলে । কচি ঘাসে মোড়া এ পথ ।
দেখতে দেখতে পয়লা বৈশাখ এসে পরে । বৈশাখের পথম দিন যার প্রতীক্ষায় বসে থাকা শেষ হল চৈত্রের তপ্ত দিন । আবার দরজায় টোকা পড়ল মধুমন্তির । দরজা খুলে দেখে এক গোছা রজনীগন্ধা প্রতীক্ষায় তার , সেই গন্ধ ঘরময় ছেয়ে গেল । অনি রজনীগন্ধার তোড়াটা দিলো মধুর হাতে তারপর ঘরে ঢুকে দোর দিয়ে দাঁড়াল মুখোমুখি । তার হাতে দুটো খাম । একটা প্যাথলজি ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট আরেকটাতে কি আছে মধু বুঝতে পারল না । দরজায় টোকা পড়ল । অনি দরজা খুলতেই নতুন ডাক্তার ঘরে এসে ঢুকলো । মধুর মনে হল কচি ঘাসের ওপর দিয়ে হাওয়া বয়ে গেল । ঝড় ঘরে ঢুকলো ঠিকই কিন্তু তার কোন প্রভাব প্রকৃতির ওপর পরল না । আজ আর চা খেতে আসিনি । নতুন ডাক্তার খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল আমার বিয়ে ১৬ই বৈশাখ কার্ডটা দিতে এলাম , বৌদিকে নিয়ে অবশ্যই যাবেন । লোকটা খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল বৌদি যাবেন কিন্তু । কিছুক্ষণ পর নতুন ডাক্তারের গাড়ির আলো এসে পরে দোতলার কাঁচের জানালায় ।
কি অদ্ভুত তাই না, এমন সব অদ্ভুত ঘটনা সচারচর সাধারণ মানুষের সাথে তো ঘটে না । অসাধারণ যারা, যারা বাস্তবের মাটি থেকে একটু ওপরের দিকে থাকে তাদের সাথেই এরকম ঘটনা ঘটে । যাকে এককথায় ম্যাজিক রিয়ালিজিম বলে । পাঠকদের মনে হতেই পারে আমি লেখিকা হয়ে মধুর সাথে ভীষণ অবিচার করলাম । যেমন অবিচার বাল্মিকী রামায়ণে সিতার সাথে করেছিল । কিন্তু বিশ্বাস হারাবার মতন এখনই কিছু হয় নি । চলুন একটু সামনের দিকে এগুনো যাক । গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরত,হেমন্ত,শীত ও বসন্তের ঋতু চক্রের শেষ কাঁটায় যখন সময় এসে দাঁড়ায় আবার বৈশাখের এক তারিখ এলো । ত্রিপুরার পাহারে বেজে উঠল বর্ষবরণের পাহাড়ি সুর । ত্রিপুরার জাম্পুই পাহাড়ের ছোট্ট গ্রামীণ ব্যাঙ্কের স্টাফরা আজ মিলিত হয়েছে এক স্টাফের বাড়ীতে বর্ষ বরনের অনুষ্ঠানে।একটা ছোট্ট বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে সবাই মেতে আছে। মেয়েটির মা গত এক বছর এখানে চাকরি করতে এসেছে । মা আর মেয়েই থাকে । মেয়েটির জন্মও জাম্পুই হিলে । স্থানীয় লোকেরা ওর নাম দিয়েছে জিম্মি ।এই এক বছরে মেয়েটির মা এবং গত তিন মাসে মেয়েটি মানুষের মনে বেশ জায়গা গরে নিয়েছে । কিন্তু মেয়েটির বাবাকে কেউ দেখে নি । আজ তার আসার কথা,তাই তারা সবাই মিলিত হয়েছে এখানে। যখন সবাই ব্যস্ত উৎসবের মেজাজে তখন একজন আগন্তুক এসে ঢুকল ঘরে । সবাই যাবার আগে এক বাক্যে স্বীকার করল যে এমন ঝলমলে জুটি তারা আগে কখনও দেখেনি । চোখ ঝলসে গেছে তাদের । রাত বারার সাথে সাথে পাহাড়ি গ্রাম ডুব দিলো গভীর নিদ্রায় ।
আগন্তুক এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ঘুমন্ত শিশুটির দিকে । শিশুটির মা পাশে বসে। কিভাবে যে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারি নি । কথাটা শেষ করতে দিল না আগন্তুক । সে বলল, আমি ভাগ্যবান মধু না হলে বন্ধ্যা জমিতে কখনও এত সুন্দর ফুল ফটে !!!! মধুমন্তি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে । অনির চোখ থেকে দু ফোঁটা জল ঝড়ে পরে বর্ষবরণের রাতে ।
আগন্তুক এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ঘুমন্ত শিশুটির দিকে । শিশুটির মা পাশে বসে। কিভাবে যে কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারি নি । কথাটা শেষ করতে দিল না আগন্তুক । সে বলল, আমি ভাগ্যবান মধু না হলে বন্ধ্যা জমিতে কখনও এত সুন্দর ফুল ফটে !!!! মধুমন্তি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে । অনির চোখ থেকে দু ফোঁটা জল ঝড়ে পরে বর্ষবরণের রাতে ।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন