অম্লান রায় চৌধূরী



বাক্য বা বাকীসব

এখানে শাশ্বত মদ পেয়ে আস্বস্ত হবে তুমি
হও যদি মযে যাওয়া নদী -
নিঃশব্দে পেরিয়ে এলে পরে পাবে জীবনমুখীর সুত্রটা।
বাক্য যত, বন্দি করে রাখি,আড়ষ্ট হয় তত,
বাক্যই তাই আসল আততায়ী।
অর্ধ-সরলতা থেকে–পাঠাই যেসব বার্তা, ওগো মদোত্তীর্ণ পাশের আকাশ
সেসব তোমার জন্যে নয়। পরখ করতে পারো – দেখবে
রুপান্তর সম্ভব নয়
না-লিখে লেখার কাজটুকু প্রকৃতি যেভাবে সারে, দেয়ালি পোকারা ঝাঁকে ঝাঁকে
যেভাবে মরতে আসে, সেইরূপ উন্মাদনা নিয়ে
কাছে চলেএসো বন্ধু।
আমাদের রুদ্রাক্ষ-মালায়. – গাঁথো লাল তিলকের নির্যাস।
বনসাই ছেড়ে বিস্তার নেবে নিঃশ্বাস।


(অ)সময়


সেই মেঠো পথ  ----পীচ বাঁধানো
সেই খোলা মাঠ -----পার্ক বানানো
সেই আটচালা  ---- অট্টালিকা
সেই ঠাকুমা  ------বৃদ্ধাশ্রমে
সেই দাদুর লাঠি ----আস্তাকুঁড়ে
সেই লাউ ডগা ---- প্যাকেট মোড়া
সেই চেনাজানা -  --হঠাৎ দেখা
সেই মন দেওয়া ----অনেক ভেবে
সেই জিলীপি ----- শালপাতা ছাড়া
সেই খোলা আকাশ - নানা রঙ্গে ভাঙ্গা
সেই আমি আজ  - লিখছি বসে  ---
        ভাবছিনা।


হারজিত 


জিততে চায়নি চেগুয়েবারারা ,
মিশতে চেয়েছে –  ,
মেলা  হয়নি কো  – পাশের বাড়ীর সাথে ,
পাশাপাশি থাকা , চলাফেরা ,  -------
একই বাজার হাট,  শাসক , শোষন --- একই কবিরাজ ,
একই উপাসনা ,  প্রার্থনা –
উপাচারে -  ভেদ আছে –  ভেদ নয় বিভেদের ছাইদানি –
মোমদানি  , জ্বালান থাকে –
শোসক স্তম্ভে –  যখন শিখাটা জ্বলে ,-
অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনে – ভেদ - বিভেদ হয়  ----
ওটাই দিশা – বা নেশা।
কেউ মানল বা মানলনা ,
কি যায় আসে।
কেউ চলে তাড়াহুড়ো, কেউ বা ধীরে –
লক্ষ্য এক , যাত্রাও এক -  এই  সময়ে ,
উপাচার ভেদ আছে -  তাই  ফল অজানা  –
খোলস ছাড়ে , বিভেদ তখন আঘাত করে ,
কেড়ে নেয় সব হাতিয়ার  --------
মনন – স্বাভাবিক রমন।
অদেখা তখনো - চক্ষু মেলিয়া,
গড়েছিলো যারা তিতুমীর।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ