মৌমিতা চন্দ














একটি খুব স্বাভাবিক যাপন

তোমার বেশীর ভাগ কথাই তখন আমার উঠোনের জবাগাছ ছুঁয়ে যাচ্ছে,
পেছনের কিচেন গার্ডেন তার আভাস ও পায়নি
অথচ এ শহর এখনও বড় শান্ত..
সারা দিনের ঝক্কি সামলে তেমাথা র মোড় যখন ঘন ঘন সন্ধ্যে নামায়-
লাল বাউন্ডারি পেরিয়ে ক্লান্ত ধরিত্রী চাঁদ ধরতে বসে
পেশোয়ার তখন আমার পাখির চোখ,
কোনে জমা কাজলে একফোঁটা খেজুরে লাল...
শরীর জুড়ে অশান্ত বুলেট
নিভৃত সীমানা নামছে জ্বর বেয়ে
             তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে..
  "দার্জিলিং এ বহুদিন পর বরফ..
এবার শীতে যেতেই হবে। টিকিট কনফার্ম তাহলে..
শীতপোষাক বেশী নিও, গ্লাভস ও..ওখানেই সান্তা বানাবো এবার।
শোনো কাজের মেয়েকে মাথায় তুলো না বেশী, নতুন সোয়েটার টা তোমার না দিলেই পারতে..
টিভিতে এসব কি? জানোনা আমি ভায়োলেন্স নিতে পারি না। তাছাড়া........
আহা রে এতগুলো বাচ্ছা...."


 বিঃদ্র -এত সব কথাই কাল্পনিক,  বাস্তবের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক ই নেই..আমি এবং আমরা ভীষণ রকম স্বাভাবিক..

আরসি





১।

ফুটপাতে বহুদিন হাঁটতে ভুলে গেছে লোকটি
বাঁদিক ফিরে শোওয়াও হয় না আজকাল,
বিছানার ঘোরতর আরাম না পেতে পেতে নিত্যদিনে ঠুসে দিয়েছে আলসে-পিদিম
এমন অনেক কিছুই না করা রয়ে গেছে-
যা থেকে নাকি দৈনন্দিন বিচ্ছুরণ হওয়ার কথা ছিল..


২।

নিছকই একটা চৌকাঠ পেরোতে
আমার তেরো বছর লেগে গেছে,
অথচ সেখানে কোনো ঈশ্বর ছিলেন না
কোনো ঐশ্বরিক মহিমা আমায় পথ চিনতে সাহায্য করেনি
বরং বিরুদ্ধ ইমেজ নিয়ে রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক গুনছিল..
     
পুনশ্চ : আসলে কেউই কিছু দেয়না কাউকে-
এসব অভ্যাস মাত্র...




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ