আজ মনে হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নক্ষত্রদের সমাগম হয়েছে । দুই বাংলার সাংস্কৃতিক এক অদ্ভুত মেলবন্ধন ঘটেছে আজ এই প্রাঙ্গণে ।আজাদ কুমারখালির কৃতি সন্তান, গত দশ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। অন্য বছরের মতন এই বছরেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবারার এক ঘণ্টা আগেই আজাদ পৌঁছে গেছে প্রাঙ্গণে, কুমারখালি থেকে ঢাকা আসার জন্য কাল রাতেই বাসে উঠেছিল সে, রাস্তার অবস্থা ভালো না, তাই ৮ ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। আজকাল শরীরটাও ভালো যায় না, মাঝে মাঝে কেমন যেন ঝিম ধরে। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর একটা চেনা মুখ আজাদের চোখে পড়ল, যে এই নক্ষত্রের সমাগমের মধ্যেও আজাদকে চিন্তে পেরে একটু এগিয়ে এলো । ছেলেটাকে আজাদ চেনে, কিন্তু এই সব ছেলে ছোকরাদের খুব একটা পছন্দ না ওর ।
আরে আজাদ ভাই যে, আদাব ।
আদাব ।
কখন এলেন ?
আজাদের মাথা ঝিম ঝিম করছিল, তাই একটু আসতে উত্তর দিলো , এই একটু আগে ।
কুমারখালির সব ভালো তো ?
জি, সব ভালোই চলছে ।
রফিকুল,তোমাকে তো আর দেখি না কুমারখালিতে ।
ভাই ঢাকাতে একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে গেছি, তাই ঘরে ফেরা হয় না আজকাল। আজাদ একটু বিরক্ত হলো কথাটা শুনে । কুমারখালির বহু লোক ঢাকাতে চাকরি করে, কিন্তু মাস দু মাসে একবার বাড়ি ফেরে, কিন্তু এ এমন কি দেশদ্ধার করছে যে ফিরতে পারে না সে। আজাদ ভাইয়ের মুখে বিরক্তির প্রকাশ দেখে রফিকুল আর কথা না বাড়িয়ে অনুষ্ঠান দেখতে লাগল । আজাদ ঘড়ি দেখল, এতক্ষনে তো ফ্লাইট এসে যাবার কথা, সইফুল একবার ফোনও করছে না। আর অপেক্ষা করতে না পেরে আজাদ পকেট থেকে মোবাইলটা বার করতে যাবে এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল । একেই বলে কাকতালীয় ব্যাপার ।
কিরে ফোন করস নাই কেন ?
ভাই এই আপুমনি এসে পুঁছেছে, প্লেন লেট ছিল ।
ওরে ফোনটা দে, কথা কই ।
সইফুল সাঁঝের হাতে ফোনটা দিলো ।
দাদা,
পাগলি তোরে দেখার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছি, তাড়াতাড়ি আয় ।
দাদা , এসেই তো পরেছি, আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো , আমি হোটেলে এখন যাচ্ছি না, সোজা তোমার কাছে যাচ্ছি ।
পাগলি, তোর শরীর ভালো আছে তো ।
দাদা, আমার গাড়ি এসে গেছে, এসে কথা বলছি ।
ফোনে কথা বলার সময় মঞ্চে কিছু ছেলে মেয়ে লাল সবুজ রঙ্গের পোশাক পরে জড় হচ্ছিল, কিছু একটা ঘোষণা হবার পর সবাই উঠে দাঁড়াল, কিন্তু কি ঘোষণা হলো আজাদ শুনতে পাই নি । কিছু ক্ষণের মধ্যে আমার সোনার বাংলা শুরু হতেই আজাদের ঘোর কাটল। আহা কি অসাধারণ গান, যতবার শুনি আমার দুই চোখে পদ্মা,মেঘনা বইয়ে দেয় । আজাদের দুই চোখ জলে ভরে গেলো । এই জলের মধ্যে রয়েছে বুক ভরা আবেগ, মায়ের প্রতি ভালোবাসা, রয়েছে বোনের প্রতি স্নেহ ।"কি শোভা কি ছায়া গো ,কি স্নেহ কি মায়া গো,কি আঁচল বিছায়েছ বটের মুলে, নদীর কূলে কূলে” - এই লাইনটা বুকের ভেতরটা কাঁপিয়ে দিলো ।
আজ বোন আসছে , বোনকে দেখতে পাবো চোখের সামনে। এই সেই বোন যে নয় মাসের গর্ভের সন্তানকে সঙ্গে করে শুধু দাদার এক ডাকে চলে আসছে এই দেশে। আজাদের দুই চোখ থেকে জলের ধারা বইতে থাকল। আজাদের কানে বাজল "মা তোর বদন খানি মলিন হলে আমি নয়ন ওমা আমি নয়ন জ্বলে ভাসি” । আজ কাল মায়ের মন আর শরীর কোনটাই ভালো না। সন্তান কু পথে গেলে মা কখনই ভালো থাকতে পারে কি ! আজাদের মনে হলো আজকাল ছেলেধরা ঢুকে পরেছে ঘরের মধ্যে, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ভুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চকলেটের লোভ দেখিয়ে, তারপর তাঁদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে ভাইয়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র । আজ আমের বনে কাল কেউটেরা ঘুরে বেরায় । আমরা কেউ আজ নিরাপদ নই জননী । উদ্বোধনি অনুষ্ঠান তখনো চলছে, রফিকুল পাশ থেকে আজাদ ভাইকে বলল, চলেন ভাই, স্টল গুলো দেখে আসি ।
আজাদের এখন মনে হলো ছেলেটা এখনও বসে আছে ।
আমার বোন আসছে কলকাতা থেকে । আমাকে এখন থাকতে হবে এখানে ।
আপনার সেই ফেসবুক বোন না ভাই ।
ওটা নিমিত্ত মাত্র, ও আমার নিজের বোন ।
রফিকুল কিরকম বিচ্ছিরি একটা হাসি দিয়ে বলল , আমি সাঁঝ বলছি । হা হা … ভাই আমি সাঁঝ…। আপনার বোনের লেখা কিন্তু বেশ ধারালো ।
আজাদের কথা গুলো ভালো লাগছিল না, কিন্তু ও সরাসরি ওকে কিছু বলতে চাইছিল না। দিন কাল তো ভালো না কারুকে বিশ্বাস করা দুরহ । আজাদ রফিকুলের দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকাতেই ও বলল, লেখেন ভালো আপনার বোন, কিন্তু মৌলবাদ বিরোধী লেখা লিখে কি উনি ঠিক করছেন ভাই ।
আমি জানি না , আমি জানতে চাইও না । আজাদের শরীর খারাপ লাগছিল, ও উঠে পরল চেয়ার থেকে । রফিকুলও উঠে পরল । ভাই, শোনেন, চললেন কোথায় ।
বনের হিংস্র হায়না টাটকা মাংসের সন্ধান পেলে যেমন ছাড়তে চায় না, রফিকুলও আজাদের পেছনে ধাওয়া করলো ।
ভাই , শোনেন , আল কুরআনের বানীটি পড়বার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনাকে, তারা আল্লাহর কোরআনের বানীকে মুখের ফুঁৎকারে নিভিয়ে ফেলতে চায় । কিন্তু আল্লাহ তা কখনও হতে দিবেন না । বরং তার দ্বীনের আলোকে আরো ছড়িয়ে দিবেন এবং আরো নিখুঁত করবেন । যদিও কাফের-মুশরিক-মুনাফিকরা তা মোটেও পছন্দ করবে না । সাঁঝ বাতি নিভল বলে । হাঁ… হা…। হা…।
আজাদ ভাই এতক্ষণ কোন পাত্তা দিচ্ছিল না ব্যাপারটা । এ বার আর সহ্য হল না, তিনি ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, তুমি কি আমাকে ইসলামের শিক্ষা দিতে এসেছ ? তুমি আর একটা কথা বললে আমি পুলিশ ডাকবো । বেরিয়ে যাও…।। যাও বলছি । আজাদ ভাইয়ের কথা শুনে এরই মধ্যে বেশ কিছু লোক জড় হয়ে গেছে । কুকুর কে যেমন তাড়ায় , রফিকুলকে সেই ভাবে আজাদ তাড়াল । রফিকুল ল্যাং খাওয়া কুকুরের মতন পিছন ঘুরে এক বার বলল এর উত্তর তোমাকে দেবো আজাদ ,সময় করে দেবো ।
আজাদ ভাইয়ের হাত পা কাঁপছিল, কিছু ভালো লাগছিল না । দেশের এই পরিস্থিতিতে সাঁঝকে আনা ঠিক হলো কি ! না একে বারেই ঠিক হল না। এখনই ওকে পাঠিয়ে দিলে ভালো হয়। আজাদ যখন মেলা থেকে বেরিয়ে যাবে বলে সামনের দিকে এগুচ্ছে, ঠিক সেই সময় আজাদ দেখল সাদা রঙ্গের ঢাকাই শাড়ি আর লাল ব্লাউজ পরে সাঁঝ এগিয়ে আসছে তাঁর কাছে। সাঁঝ যত সামনের দিকে এগিয়ে আসছে, আজাদের সব ভয় কথ্য যেন দূর হয়ে যেতে লাগল। ফেসবুকের ছবিতে অতো বোঝা যায় না, সাঁঝের মুখটা একেবারে সাবেরির মতন । আজাদের ছোট বোন সাবেরি । আজ বেঁচে থাকলে এরকমই তো বয়স হতো ।
আজাদ লক্ষ করলো, সাঁঝের পেটটা বিশাল আর হাঁটতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে । তাও ও এগিয়ে আসছে ।
এক মুখ হাসি নিয়ে বোন দাঁড়াল দাদার সামনে । দাদা ভালো আছো ?
বোনরে তোরে দেখে আমি সব দুঃখ ভুলে গেছি রে । আর কোন কষ্ট নাই আমার । দেখি তোরে একটু ভালো ভাবে দেখি ।
সাঁঝ দাদার মনের ভেতরের শিশুটাকে দেখতে পারছিল । দাদার চোখের জল দেখে বোনের চোখেও জল এসে গেলো ।
দেখা হয়েছে তোমার ?
হ্যাঁ রে , দেখেছি । চল তোর বইটার উদ্বোধন করিয়ে দি ।
সইফুল…।।
জি ভাই ।।
সব বঠিক আছে তো ?
জি ভাই, সাহিত্যিক বন্যা ইয়াসমিনের হাত থেকে উদ্বোধন হবে ।
সাঁঝের মনে হলো ও হাতে চাঁদ পেয়ে গেছে, বিশিষ্ট সাহিত্যিক বন্যার হাত থেকে বই উদ্বোধন ভাগ্যের ব্যাপার ।
সে দিন সন্ধ্যাতে ভাষা প্রকৃতির স্টল থেকে উদ্বোধন হলো সাঁঝের লেখা বিজ্ঞান ও ধর্ম । বই উদ্বোধনের সময় সাঁঝ অনুভব করল বাচ্চাটা নিচের দিকে নেমে আসছে, একটা মৃদু ব্যাথা হচ্ছে পেটে । বাংলাদেশে অমর একুশে বই মেলাতে ওর লেখা বই প্রকাশিত হচ্ছে, সাঁঝের মনে হলো ও স্বপ্ন দেখছে । সাঁঝের শরীরটা খারাপ লাগছিল।
দাদা, চলো কোথাও গিয়ে একটু বসি । বই উদ্বোধন শেষ হলে দুই ভাই বোন মিলে একটা চায়ের স্টলে গিয়ে বসে ।
কি রে শরীর খারাপ লাগছে ?
তা তো একটু লাগছেই । সাঁঝে ওর ডাক্তার স্বামীর কথা বারবার মনে পরছিল, অর্ক ওকে এই সময় আসতে না করেছিল । এখন কিছু হলে দাদাকে বিব্রত করা হবে । ও মনটা অন্য মনস্ক করতে চাইলো ।
দাদা তুমি আমাকে এত ভালোবাস কেন ?
কারণ তোকে সাবিরার মতন দেখতে ।
সাবিরা !!! ও কে হয় তোমার ?
আমার বোন ।
ও… কোথায় এখন ?
নেই … ।
ও… কোথায় এখন ?
নেই … ।
নেই মানে ?
আজাদ ভাইয়ের কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল । নেই মানে মারা গেছে । কত গুলো পাষণ্ড ওকে তুলে নিয়ে গেছিল, পরের দিন দ্বার ধারে লাশ পাওয়া যায় ।
রাত বাড়ার সাথে সাথে মেলাতে লোক বাড়তে থাকে, মাইকে জোড়ে জোড়ে গান চলছে । সাঁঝের শরীর খুব খারাপ লাগছিল । আজাদ দেখল সাঁঝের কপালের লাল টিপের পাশ দিয়ে ঘামের ফোঁটা জমেছে ।
কি রে উঠবি ?
চলো দাদা, আমি আর পারছি না ।
সাঁঝ উঠে দাঁড়াতেই আজাদ লক্ষ্য করলো সাঁঝের সাদা শাড়ি লাল রক্তে ভেসে যাচ্ছে । আজাদ দেশ,কাল,মানুষ ধর্ম সব ভুলে গিয়ে বোনকে কোলে তুলে নিয়ে দৌড়তে থাকল মাঠ দিয়ে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের হাজার হাজার মানুষ সেদিন অবাক হয়ে দেখছিল এক সাহিত্যিকের পাগলামি। সইফুল ভাইকে এই ভাবে ছুটতে দেখে সেও ভাই কে ডাকতে ডাকতে পিছু নিলো । কিন্তু আজাদ ভাইয়ের আজ কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ নেই, সে দিকভ্রষ্টের মতন ছুটতে থাকল । একটা কথাই একবার মুখ থেকে বের হলো, ওরে সইফুল গাড়ি নিয়ে আয়, আমার বোনটারে আর আমি হারাব না । সইফুল ছুটল গাড়ি আনতে, আজাদ ভাই বোনকে কোলে নিয়ে বেড়িয়ে এলো ময়দানের গেঁটের বাইরে । বোনের রক্তে ভাইয়ের সাদা পাঞ্জাবী আজ রক্তিম । সইফুলের গাড়ি আনতে দেড়ি হচ্ছে দেখে আজাদ সাঁঝকে রাস্তার পাশের একটা গাছের নিচে বসাল । আজাদের মাথা ঝিম ঝিম করছে, শরীর আর নিতে পারছে না । মাথা যখন ঘুরছে, চারদিক যখন অন্ধকার , সেই সময় ও শুনতে পেলো সেই মহান ধ্বনি, যা ওর সারা আস্ত্বিত্ব টাকে নাড়া দিলো । আজাদ পেছনে তাকিয়ে দেখল কিছু মুখ বাঁধা লোক আল্লা হু আকবর ধ্বনি দিতে দিতে হাতে অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসছে সাঁঝের দিকে । সন্ধ্যার নামাজের সময় হয়ে গেল, মসজিতে নামাজ পাঠ শুরু হয়ে গেছে, আজাদ ভাই হাসি মুখে বোনকে আগলে শুয়ে পরলেন গাছের তলায়।
কিছুক্ষণের মধ্যে বাংলা একাডেমী আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঝের রাস্তা এক ভাইয়ের রক্তে লাল হয়ে গেল । অমর একুশে বইমেলাতে যখন হাজার হাজার মানুষ বই কিনতে ব্যাস্ত, সেই সময় এক ভাইয়ের শরীর খণ্ডবিখণ্ড হয়ে গেলো বোনের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে । সে দিন সইফুলের চিৎকার আর পথ চলতি কিছু মানুষের সহায়তায় পুলিশ এসে উদ্ধার করে ছিল সাঁঝকে । হাসপাতালে পৌঁছে সে দিন সাঁঝ জন্ম দিয়েছিল এক পুত্র সন্তানের । সাঁঝ আর তাঁর ছেলে সুস্থ আছে জেনে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছিল সাঁঝের বাড়ির লোক । কিন্তু আজাদ ভাইকে আর বাঁচান যায় নি । নিজের প্রাণ দিয়ে সে বাঁচিয়ে গেছিল দুটি প্রাণ ।
কিছুক্ষণের মধ্যে বাংলা একাডেমী আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঝের রাস্তা এক ভাইয়ের রক্তে লাল হয়ে গেল । অমর একুশে বইমেলাতে যখন হাজার হাজার মানুষ বই কিনতে ব্যাস্ত, সেই সময় এক ভাইয়ের শরীর খণ্ডবিখণ্ড হয়ে গেলো বোনের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে । সে দিন সইফুলের চিৎকার আর পথ চলতি কিছু মানুষের সহায়তায় পুলিশ এসে উদ্ধার করে ছিল সাঁঝকে । হাসপাতালে পৌঁছে সে দিন সাঁঝ জন্ম দিয়েছিল এক পুত্র সন্তানের । সাঁঝ আর তাঁর ছেলে সুস্থ আছে জেনে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছিল সাঁঝের বাড়ির লোক । কিন্তু আজাদ ভাইকে আর বাঁচান যায় নি । নিজের প্রাণ দিয়ে সে বাঁচিয়ে গেছিল দুটি প্রাণ ।
মাঝে পাঁচ বছর কেটে গেছে । আজ সাঁঝ,স্বামী আর ছেলে কে নিয়ে আসছে ঢাকাতে অমর একুশে বইমেলাতে ওর লেখা বই উদ্বোধনে । সইফুল আজও দাঁড়িয়ে আছে বিমানবন্দরের বাইরে । অনেক বছর তাঁর আপুমনির সাথে দেখা হয় নি , আসার আগের দিন সাঁঝ ফোন করে জানিয়েছে যে সে আসছে । সইফুল দেখল বাবা মায়ের সাথে চার বছরের ফুটফুটে একটা ছেলে আসছে । সইফুল ওকে কোলে তুলে বলল, কি নাম সোনা তোমার ।
ছেলেটা সইফুলের চোখে চোখ রেখে বলল, আমার নাম আজাদ ।
সইফুলের দুচোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরল । ও আজাদকে বুকে জড়িয়ে ধরল ।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন