অরণ্য। নামটি শুনলেই একটি বুনো গন্ধ ভেসে আসে দূর থেকে। অতল স্পর্শের নেশায় উন্মত্ত হয় পৃথিবী। চোখে লেগে থাকে এক জীবন্ত প্রকৃতির ঝলসানো মায়াবীরূপ।
এক আরণ্যক জীবন খুঁজে পেতে আমি ছুটে চলি গভীর অরণ্যে। কুয়াশা চাদর সরিয়ে আলতো সোনালী হাসিতে জেগে ওঠে এক অন্য পৃথিবী। শিশির ভেজা সকাল দাগ কেটে চলে শিরায় শিরায়। সবুজের গাল বেয়ে ঝরে পরে সোনালী রুপোলী স্পর্শ। বাতাসের আলতো ছোঁয়ায় নেচে ওঠে প্রাণ। হিল্লোল বয়ে যায় কণায় কণায়। আহ্লাদে আটখানা শাখা - প্রশাখার দল। ঢেউ খেলে যায় পাতাদের শরীর জুড়ে। নিস্তব্ধ নির্জনতা ছড়িয়ে মাটির গভীরে খুঁজে বেড়ায় শিকড়, স্রোতের কোলাহল। সমস্ত অরণ্য মেতে ওঠে এক নাটুকে মহড়ায়।
ঝুড়ি বেয়ে নেমে আসে সন্ধ্যা। গভীর আলিঙ্গনে আকঁড়ে ধরে মাটি। সন্ধ্যে আরতিতে মেতে ওঠে জোনাকি। বসন্ত ফিরে গেলে জ্বর আসে গাছের শুকনো পাতায়। দাবানলের মত ছড়িয়ে পরে হলুদ। আমি সেই হলুদের নেশায় অহর্নিশ ডুবে যাচ্ছি এক নিদারুণ উন্মত্তায়। এ পথ ও পথ ধরে ছুটছি কেবল ছুটছি অতল স্পর্শের গভীরতায়।
অনু সঞ্জনা সোম ঘোষ
Reviewed by Pd
on
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন