সমাধি
কি আশ্চর্য্য সমাধি! সমসাময়িকের নাও যাচ্ছে ভেসে মদ, কোকেনের নদী পেরিয়ে।
যেহেতু এটা একটা ট্রেডিশন তাই মননের অবকাশে পড়ে থাকে এলোমেলো পাতাদের
দীর্ঘ ছায়া। দুঃখ নিওনা হে আমার বেদনারা, ঝিরি ঝিরি বাতাসে দোল খাচ্ছে শুভ্র
তুষারফল। আমি তো একাই যাত্রী, মাঝিও নৌকার আজ, কতটুকু টেনে নিতে পারি
দাঁড়।আঙুলের ফাঁক গলে চুঁইয়ে পড়ছে কষ্ট নদীর পানি। তোমরা ভাবো, সলিল সমাধি
হলেই বুঝি সব শেষ। জন্মসূত্র না জেনেই অলস সময়কে বসিয়ে দেই উঠোনের মাঝখানে।
তারপর রাতভর কান্নার মিছিল, বিন্দুতে দেখা মেলে সিন্ধুর সমাধি। আসলে আর কিছুই
নয় কুহকী রাতে গভীর হতাশায় কেউ কেউ খুঁজে ফেরে সমাধির ফুল।
যদি রাজি থাকো
যদি রাজি থাকো বিনাশর্তে হেরে যাবো আমিও তোমার মত করে
ভেঙ্গেছি পাহাড়, বুকের চোরাগলি, নিয়ম-শৃঙ্খল, অহমের ডানা,
বুনো সময়ে নিজের মতো করে গড়ে নিয়েছি আঁধারের বসতি।
কোজাগরী পূর্ণিমায় বেড়ে ওঠা রাতে অমৃত নির্যাস ঢেলে দিও
ছায়াশরীর বেয়ে তরতর করে উপরে উঠে যাক তরল সুখ
তীব্র তৃষ্ণার্ত দিনে আমাকে নোনতা জলে ভাসিয়ে নিও
ঈর্ষায় পুড়ে যাওয়া অভিমানী মেঘ-দল বাক্সবন্দি থাকুক।
যদি রাজি থাকো গ্রীষ্মের উত্তাপে দহন জ্বালায় জ্বালিয়ে দেবো সব
চলিষ্ণু মেঘকে ডেকে নিয়ে হাজির হবো তোমার শীত শহরের দুয়ারে
অভিমানী মুক্ত বাতাসে উড়িয়ে দেবো লাটাইয়ের জীর্ণ সুতোয় বাঁধা ঘুড়ি
শ্রাবণ দিনে বর্ষার ভাঁজে লিখে দেবো একপ্রস্থ দুঃখগাঁথা।
পিপাসিত লুব্ধক রাতে সন্ন্যাসীর গোপন উষ্ণ নিঃশ্বাসে
জেনে নেবো আগামী শীতে মৌন ভাষার মানে।
যদি রাজি থাকো আমিও নিশ্চিত জিতে যাবো যুদ্ধে।
স্বপ্নের রং নেই
স্বপ্নের কোন রং নেই তবুও কেউ কেউ বেঁচে থাকে
এলোমেলো হেঁটে চলা জীবনে ঠাঁই নেয় ভয়ানক ভোর
মৃতরা রাতকে ভালোবাসে বলেই নিবিড় অন্ধকারেও কাছে আসে
হলুদ ভোরের প্রত্যাশায় যুগল চোখে টেনে আনে ঘুম।
দেহপাখি উড়ে গেলেই কেটে যায় বিনিদ্র রাত
স্মৃতির পালক জুড়ে বয় হিমেল বাতাস
চোখের অশ্রুতে লিখে দেই চলিষ্ণু প্রেমের কথা
ইথারে ভাসিয়েছি মেঘের বষর্ণে লেখা অভিমানী চিঠি।
আমি জানি, সবই জানি হলুদ পাতার কষ্ট গাঁথা
ভাটিতে পড়ে রয় আসমান ছোঁয়া ভালোবাসা।
মেঘের বাড়িঘর
বুকের ধানী জমিতে এবার বাম্পার ফলন হবে
নরম মাটির দেহে ফুটছে কৃষ্ণচূড়ার ফুল
চাঁদের বর্ষণে ভিজে যায় সোনালী শহর
অগণন বুদ্বুদের জল জমে স্বপ্নের মেঠোপথে।
বসে আছি একা জোছনা ধোয়া রাতে
বুকের খাঁচায় পুষে বড় করেছি প্রেম।
সময়ের ফ্রেমে যারা বন্দি তারা বুঝে না
জাগতিক জীবনের দৌড়ঝাঁপে কেন
ভাঙ্গনের ঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে মেঘের বাড়িঘর।
পৃথিবীর সন্তান
সংসার পাপে নষ্ট হয়েছে কুমারী যৌবন
আজ যে জন্ম নেবে সে হবে পৃথিবীর সন্তান
শূন্য পাকস্থলী আর লালায়িত জিহ্বা নিয়ে
আমরা কুকুর জীবন যাপন করি।
অথচ বিলাপচর্চা করে আমাদের আর লাভ নেই,
নরক রাতে বিচ্ছেদ হয়েছে ভরা চাঁদের
নিয়ন্ত্রিত স্বপ্ন হয়েছে কলঙ্কিত
ভাঙ্গা পাঁজরের জখম নিয়ে বেঁচে আছো তুমি।
কুকুর জীবন যাপনে ব্যস্ত থাকায়
আমরা তোমার জন্যে কিছুই করতে পারিনি।
মোকসেদুল ইসলাম
Reviewed by Pd
on
অক্টোবর ০৬, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
অক্টোবর ০৬, ২০১৫
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন