![]() |
| পরিচিতি |
একুশে ফেব্রুয়ারী
বছর ঘুরে এলো আবার একুশে ফেব্রুয়ারী,
প্রিয়জনদের বিয়োগ ব্যাথা কি সহজে ভুলতে পারি?
ফাঁসীর কাঠে প্রাণটা দিয়ে জীবন্ত হলো যাঁরা,
তাঁরাই মোদের প্রতিনিধি, নয়কো বদ্ধ কারা ।
প্রতিরোধের আগুন জ্জেলে ছিঁড়লো যাঁরা জাল,
জাগবে তাঁরা স্মৃতিপটে, রইবে চিরকাল।
শত্রু জালে বন্ধ হলেও দেয়নি নাকে খৎ,
আমাদের ভাই সালাম, জব্বার, রফিক, বরকত !
কি যাদু জানতো তাঁরা?
করলো মোদের পাগলপারা?
অগ্নিবানে ধেঁয়েছিনু, সব ভস্ম করি শোষন যন্ত্র,
ছিনিয়ে এনু মাতৃভাষা, শুনি নাই গো কুমন্ত্র!
অত্যাচারীর বাঁধটা ভেঙ্গে মিটলো অভিলাষ,
ফিরে পেলেম বাংলাভাষা ফেলি দীর্ঘশ্বাস !
মাতৃভাষার স্বাধীনতা আজ লাগায় মনে দোলা,
শহীদ জনের রাঙ্গা রক্ত থাকবে মাথায় তোলা !
নিঃস্বজন ও সর্বহারার ভাঙলো পাঁজর যারা,
প্রতিবাদের ঝঞ্ছাবানে কোথায় গেলো তারা?
রক্তশোষক ও পৃষ্ঠপোষক জনতার অবক্ষয়?
চঞ্চল-হিল্লোলে-কল্লোলময়?
বর্জানলে অত্যাচারীর অস্থি পেলো সাজা,
আমরা লভি রাষ্ট্রভাষা, সদ্যজাত রাজা।
ভাষার লাগি আজকে সঁপি লক্ষ-কোটি মন,
বাংলা মোদের রাষ্ট্রভাষা জ্বলবে অনুক্ষণ ।
দূর্বাদলে এগিয়ে চলি
সড়ক-সৌধ-কানাগলি,
গৃহ গোঠে মিলি আজ,
মুখ বুঁজে করি কাজ,
ভাষার তরে শপথ করি,
নিপীড়িতের শংকা হরি,
লড়বো মোরা মুক্ত মনে,
যুঝবো শোষক সংগোপনে,
শতশহীদের রক্তমালা,
হোক না মোদের বরণ ডালা,
কষ্টে পেনু মাতৃভাষা,
বাংলা মোদের রাষ্ট্রভাষা, বাঁচবে চিরদিন।
তোমরা শুধু মনে রেখো,
সময় পেলে ভেবেও দেখো,
পূব দিগন্তে রবির আলো,
ফেলবে ধুয়ে মনের কালো,
নির্যাতিতের রাঙা রক্ত হবে না কভু লীন ।
বছর ঘুরে আসবে আবার একুশে ফেব্রুয়ারী,
রফিক, বরকত ও সালাম, জব্বার থাকবে শিরোপরি।
হিল্লোল রায়
Reviewed by Pd
on
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
Rating:


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন