পরিচিতি |
চড়কগাছ
কখনও কখনও বর্ষা হয়ে নামে স্মৃতির আনন্দ
অতীত বর্তমান ছাপিয়ে প্লাবিত হয় জীবনসমুদ্র!
ভেসে যায় নস্টালজিয়া
তবু সেখানে ‘বন্ধন’ নামের গাছ পল্লবিত হয়
ছায়াতলে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে আগামী প্রজন্ম!
ঘুণপোকায় আক্রান্ত সমাজে; এরই নাম ‘উৎসর্গ’!
প্রাপ্তির মরুচিন্তায় প্রশ্ন উঠতে পারে
নিজেকে স্বেচ্ছায় ঠকানোর নাম কি সুখ?
হয়তোবা হ্যাঁ, হয়তোবা না।
উভয় সঙ্কটে ভাবনার শঙ্খ চিল!
করতে চাইলে অধিকার প্রতিষ্ঠা
সম্পর্কটা তখন টেকানো দায়
মেনে নিলে ধৃষ্টতা-
নড়বড়ে সংসার!
মূক হয়ে থাকার নাম ‘লক্ষ্মী’
বধির হওয়া মানে ‘উদারতা’
দ্রোহকে বন্দি করার নাম ‘সংসারী’
আগুনে পুড়ে ঝলসে যাওয়াকে কি বলে জানো?
ধৈর্যশীলা!
কি বিচিত্র এ দাসত্ব!
সব দায় কি একলার
মাতৃত্বের দায়? প্রতিপালনের দায়?
সব ত্রুটিবিচ্যুতির দায়?
শুনে যাওয়াতেই নাকি সুখ!
বকে যাওয়ার নাম এখানে বখে যাওয়া!
অদৃশ্য কারাগারের আরোপিত সান্ধ্য আইন!
খুলে দেখি অতীত জানালা
চোখের কোনে এসে দাড়ায় এক টুকরো মেঘ
আসব আসব বলে শুকিয়ে যায় জলকণা!
জ্যোৎস্না দেখানের প্রতিশ্রুতি এখন কানামাছি খেলা
চাঁদের আলো; স্বপ্ন কুটির ছোঁয় না
নি:শ্বাসে নি:শ্বাসে হয়না কাটাকুটি খেলা।
মনে পড়ে, বলেছিলে দেখাবে ঝর্ণার নিক্বণ
পড়িয়ে দিবে ভালবাসার উষ্ণ কাঁকন
আকাশ রঙা শাড়িতে আঁকবে সূর্য পাড়
রৌদ্র বৃষ্টিতে দু’জন করবো স্নান
চার দেয়ালের ভিতর ডুব সাঁতার
চিরে চ্যাপ্টা হবে সব গোলাপ পাপড়ি
সমুদ্রের জলে ভেজাবে দু’যুগল পা
ঘুড়ি উৎসবে ভাঙ্গবো আকাশ প্রাচীর
চৈত্রসংক্রান্তির মেলায় দেখাবে চড়কগাছ।
হা! হা! হা!
কি বিচিত্র সংযোজনা!
অবহেলার ষড়যন্ত্রে আমিই এখন চড়কগাছ
দেখার বস্তুও বটে
যা রটে তার একক অংশীদার!
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন