ভালো আছো মা? জানো আজকে ভোরবেলায় স্বপ্ন দেখলাম, তুমি সেই ছোট্টবেলার মতো খাবারের থালা নিয়ে আমার পিছন পিছন ‘খেয়ে নে বাবা আমার হাতে যে অনেক কাজ’ বোলে দৌড়চ্ছ। হ্যা হ্যা জানো মা এখন আমি নিজে খেতে শিখে গেছি আর খাবার নষ্ট করিনা। ওই দেখো বিশ্বাস করেনা তোমার বাবাই কি চিরকাল ছোটো থাকবে? এতো আচ্ছা জ্বালা - আরে বাবা তোমার বাবাই অনেক বড় হয়ে গেছে সকালবেলা রান্না করে খেয়ে স্কুলে যায় সে। জানো স্কুলের বাচ্চা গুলো যখন মায়ের হাত ধরে স্কুলে আসে তোমার সেই হাত তা খুব মনে পরে। রোজ ভোরবেলা উঠে আমাকে রেডি করতে স্কুলের জন্য, তার পর পড়া ধরতে ধরতে হাত ধরে স্কুলে নিয়ে আস্তে। লোকে তোমাকে বলতো ‘বাবাই-এর মা ওর জায়গায় তুমি স্কুলের পরীক্ষা গুলো দিয়ে এসো গিয়ে তোমার ছেলে ফার্স্ট হবে।’ আজকে যখন একা একা স্কুলে যাই খুব ইচ্ছে করে যদি একবার তোমার হাত টা ধরে আবার ছোটবেলার মতো স্কুলে যেতে পারতাম।
জানো মা আমার এই দুকামরার ফ্লাটের পাশে একটা খেলার মাঠ আছে সেদিন কতোগুলো বাচ্চা খেলতে খেলতে আমার জানলার কাঁচে বল মেরে কাঁচটা ভেঙে দিলো। তারপর কাচু মাচু মুখ করে বলল ‘কাকু আর হবেনা ভুল করে হয়ে গেছে’ যেন আমি এখুনি ওদেরকে রাগ করে খুব বকবো। আচ্ছা তুমি বোলো মা আমি কোনোদিন কারুর ওপরে রাগ করতে পারি – আজ অবধি তো করেই উঠতে পারলাম না।
যা রাগ যা অভিমান সবই যে তোমারই কাছে করতাম। মনে আছে মা ছোটবেলায় খেলতে গিয়ে যখন চ্যাটার্জি কাকুদের জানলার কাঁচ ভেঙ্গেছিলাম, আর ওরা রাস্তায় তোমাকে কথা শুনিয়েছিল, তুমি বাড়ি এসে উনুন ধরানোর চ্যালা কাঠ দিয়ে আমায় খুব পিটিয়েছিলে, আর আমি যখন রাত্রে অভিমান করে না খেয়ে শুয়ে পরলাম আমায় মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে করতে বলেছিলে ‘ওইটুকু তো চেহারা, তার অভিমান কতো..’ হ্যা হ্যা অভিমান কি মা চেহারায় মাপা যায় - অভিমান তো মা ভালোবাসার ওপরে নির্ভর করে। জানো মা তোমার মতো করে আর কেউ আমাকে শাসন করে না। নিজের ভুল নিজেকেই শোধরাতে হয়, রাগে যখন ঘুম আসে না কেউ আর মাথায় আদর করে হাত বুলিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয় না।
যা রাগ যা অভিমান সবই যে তোমারই কাছে করতাম। মনে আছে মা ছোটবেলায় খেলতে গিয়ে যখন চ্যাটার্জি কাকুদের জানলার কাঁচ ভেঙ্গেছিলাম, আর ওরা রাস্তায় তোমাকে কথা শুনিয়েছিল, তুমি বাড়ি এসে উনুন ধরানোর চ্যালা কাঠ দিয়ে আমায় খুব পিটিয়েছিলে, আর আমি যখন রাত্রে অভিমান করে না খেয়ে শুয়ে পরলাম আমায় মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতে করতে বলেছিলে ‘ওইটুকু তো চেহারা, তার অভিমান কতো..’ হ্যা হ্যা অভিমান কি মা চেহারায় মাপা যায় - অভিমান তো মা ভালোবাসার ওপরে নির্ভর করে। জানো মা তোমার মতো করে আর কেউ আমাকে শাসন করে না। নিজের ভুল নিজেকেই শোধরাতে হয়, রাগে যখন ঘুম আসে না কেউ আর মাথায় আদর করে হাত বুলিয়ে ঘুম পারিয়ে দেয় না।
আচ্ছা মা তুমি এই পাগলটার এতো আব্দার, অত্যাচার কিভাবে সহ্য করতে ? ভগবান যে এত ধৈর্য তোমাকে কি করে দিলো তা সেই জানেন। ভাগ্যিস ভগবান আমাকে বানিয়ে বুঝেছিলেন আমাকে আর কেউ সামলাতে পারবে না, নয়তো ভগবান আমাকে সামলানোর জন্যে তোমাকে পাঠাত না। তুমিও আর আমার মা হতে না। মা তোমার ওপরে হয়তো অহেতুক অনেক রাগ করি অভিমান করি - আচ্ছা মা, তোমার পাগলটা কি তোমার ওপর রাগ – অভিমান টাও করতে পারবে না? তুমিই তো বল, আমি খুব বোকা। আর বোকা মানুষের রাগ বলো, অভিমান বলো সব কিছুই তো বেশি বেশি, তাই না মা? হয়তো মন খুলে কোনোদিন আর মনের কথা বলতেও পারবোনা মা শুধু এটুকু যেন মা তোমাকে অনেক ভালবাসি.....।
আবার বলছি মা আমাকে পাগলই বল আর ছাগলই বল তোমার বাবাই তোমাকে খুব খুব ভালোবাসে মা। বাবাই এর অনেক না পাওয়ার মধ্যে সেরা প্রাপ্তি তুমি যে। তুমি এরকমই ভালো থেকো মা। আমার সোনা মা - মিষ্টি মা – আমার....
জয় ব্যানার্জী
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ২১, ২০১৪
Rating:
Reviewed by Pd
on
নভেম্বর ২১, ২০১৪
Rating:


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন