![]() |
| ~ কবি পরিচিতি ~ |
দেবী
ধরিত্রীমায়ের নরম বুক যখন ভরে ওঠে শস্যের ঘ্রাণে,
শরতের সন্ধ্যায়, শঙ্খধ্বনিতে, মঙ্গলদীপের সংবর্ধনায়,
পূজোর জলছাপ -আঁকা আলপনায় ঢাকে আমার উঠোন,
তখনই মনে পড়ে দেবীর কথা, যদিও সে তো আমার কেউ নয়,
গত বছরই তো অবহেলায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি জলে,
নষ্ট রূপ,খসে পড়া কাঠামো, ঝাপসা দৃষ্টির ভেতরে
আমার পূণ্যলোভী জীবনের স্মৃতিতেই সে বন্দী ।
তবু মন কেমন করে,
জানলার বাইরে নষ্টচাঁদ, ঘাসের ওপর ঝরা শিউলী,
প্রদীপহীন তুলসীর জঙ্গলে জোনাকির দল,
খালি পূজোর প্যান্ডেল জুড়ে শিশিরকণার দল,
দেবীপক্ষের রাত্রি ধরে একে একে কুড়িয়ে আনে
শাঁখা-পলা পড়া হাত,আলতারাঙা পা,
সিঁদুরভরা সিঁথি,অভিমানী ঠোঁট,ক্রোধাণ্বিত ত্রিনয়ন,
দেশের যত গন্ডগ্রাম,শহর,মফস্বল,
বন-জঙ্গল,নালা-নর্দমা ঘেঁটে
সিঙ্গুর,নন্দীগ্রাম,কামদুনী,বাসন্তী,
পার্ক ষ্ট্রীট, হাড়োয়ার গলিঘুজি ঘুরে
ঝোপঝাড়,ডাষ্টবিন থেকে আনে কন্যাভ্রূণর দেহাবশেষ,
নিয়ে আসে নারী শরীরের খন্ডাংশ।
ভোরের আলোয় পূজোর খালি মঞ্চে
অল্প অল্প করে জোড়া লাগে ‘জিগ স পাজেল’ –
খাঁজে খাঁজ মিলে যায় কুড়িয়ে পাওয়া
হাত পা গলা গাল কপাল চোখ বুক পেট
একটার সাথে আরেকটা জুড়ে যায়,
আবাহনের মন্ত্রে সম্মিলিত দেবতাদের তেজসম্ভুতা দেবী
জন্মান্তরে ফিরে আসেন।
মৌ দাশগুপ্তা
Reviewed by Pd
on
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪
Rating:
Reviewed by Pd
on
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪
Rating:


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন