রমা চোঙদার






মেঘলা সন্ধ্যা



আজকের সন্ধাটা প্রতিদিনের মত ছিলনা,
রোজকার মত ছাদে উঠে দেখি পূবাকাশে মেঘ
জমেছে।
কিছুক্ষনের মধ্যেই শীতল হাওয়া এসে-
আড়ষ্ট মনটা উড়িয়ে নিতে চাইল,
পারল না, কারন আমি বন্দী নিজের কাছেই।
হঠাৎ শুভ'র ফোন এলো,
কেমন আছিস সোনাই?
আকাশটা তখন চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে,
মেঘ সরে গেছে ইতোমধ্যে।
ওপার থেকে শুভ বলে উঠলো,
তুই তো ভুলে গেছিস,আমাকে আর ভাবিস না।
আনমনা হয়ে বললাম, যেদিন-
তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছি সেদিন থেকেই ভাবনার
শুরু।
চাইনি আমাদের প্রেমের মৃত্যু হোক,
তাইতো তোমাকে কাছে না টেনে দুরে ঠেলেছিলাম।
জানি একথা শুনলে অভিমান করবে,
শুধু জেনে রাখো আমার ভালোবাসা অন্তহীন,
অনন্ত আকাশে লিখে রেখে যাব।
শুভ ততক্ষণ স্তব্ধ,
বুঝলাম আবেগে ওর শ্বাসঘাত ঘটছে।
কোনরকমে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম,
অনেকদিন তোমার আবৃতি শুনি না-আজ
শোনাও।
এক পৃথিবী চাঁদের আলো, ঠান্ডা হাওয়া শুভদার
কন্ঠে 'হঠাৎ দেখা',
মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো।
এরপর দুজনেই কিছুক্ষন চুপ,
নিরবতায় বোধ হয় গভীর ভালোবাসার বাসনা।
স্তব্ধতার বেড়া টপকে বললাম,
শুভদা বিয়ে করেছো?
ফোনের ওপার থেকে আওয়াজ এলো.... হুম,
একটি মেয়ে আছে আমাদের।
বললাম, কি নাম রেখেছো?
উত্তর এলো... সোনাই।
আমি রিসিভার রেখে দিলাম।
ততক্ষনে চাঁদটা আঁধারী মেঘে ডেকে গেছে,
কিছুক্ষনের মধ্যেই অন্ধকার ছাদে-
ঝিরঝির বৃষ্টি আমার চোখের জলধারা
মিলে একাকার হয়ে গেলো..................

- কলকাতা - 
রমা চোঙদার রমা চোঙদার Reviewed by Pd on জুন ১৪, ২০১৪ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

সুচিন্তিত মতামত দিন

banner image
Blogger দ্বারা পরিচালিত.