যারা সাহিত্যের সাথে জড়িত তারা একে অপরের আত্মার সাথে মিশে যাই খুব সহজে । , মিলে যাই একে অন্যের লেখা এবং সমূহ ভাবনায়। ‘শব্দের মিছিল’ – সেই ভাবনার একটি সুদূরপ্রসারী সম্ভাবনা । আগামীর প্রত্যয়ে তাই আমরা পায়ে পা মিলিয়ে চলছি শব্দের মিছিলে ।
প্রযুক্তি আমাদের সকলকে সান্নিধ্যে এনে দিয়েছি কি অবলিলায়! নবীন-প্রবীন সকলে মিশে গেছি সাহিত্য চর্চায়, শিক্ষায়। যারা নবীন লেখক, তাদের জন্য শিক্ষার দ্বার দ্রুত উন্মুক্ত হয়েছে এই প্রযুক্তির কল্যাণে। লেখার পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে অনন্যমাত্রায়। দ্রুত পাঠকের নিকট নিজস্ব সৃষ্টি এবং পাঠকের মনোভাব উপলব্ধি সহজতর হয়েছে। ভান্ডারে পরিপূর্ণ প্রকৃত , দৈনন্দিন জীবন , রাজনীতি এবং সমাজের চর্চা।
এই সবের পাশাপাশি উদীয়মান লেখকদের আরও চর্চা মুখী হতে , নবীন লেখকদের প্রলুব্ধ করতে, তাদের সঠিক শব্দ প্রয়োগ, প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত করতে প্রবীনদের এগিয়ে আসতে হবে। তার জন্য চাই যোগ্য উপকরণ , আলোচনা-সমালোচনা।
পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে , অধিক সমালোচনা বা পর্যালোচনায় যেন সৃষ্টি অঙ্কুরেই বিনাশ না হয় । ‘প্রতিটি লেখকের সৃষ্টি তার জন্য তার সন্তান সমতূল্য’, তার লেখার কঠিন সমালোচনা তার সন্তানকে অবহেলা করবার শামিল। আলোচনার তীক্ষ্ণতা বা তীব্রতা যেন তার সৃষ্টিশীল মননে বিরূপতা সৃষ্টি না করে। সে যেন গুটিয়ে না যায় তাই যথাযোগ্য আলোচনা এবং উৎসাহ দানের মাধ্যমে একজন লেখককে প্রকৃত সাহিত্যিকে রূপান্তর করবার দ্বায়িত্ব অগ্রজদেরকেই নিতে হবে। অনেক লেখকদের জানবার আগ্রহ আকাশ ছোঁয়া থাকে। অগ্রজদের ভূমিকা সেখানে প্রকৃত সমালোচনার মাধ্যমে উন্মুখ করে দেয়া।
দু’বাংলার সাহিত্য আদান প্রদানের মাধ্যমে আমাদের লেখার প্লট এবং মনন আজ এই প্রযুক্তির দ্বারাই নৈকট্য লাভ করেছে। আমরা উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত। একবার যে সাহিত্য ভালবেসেছে, তার দ্বারা শত বিরূপতায় কলম বা মনন থেমে থাকেনি, থাকতে পারেনা। সঠিক চর্চার মাধ্যমে সে মননের উত্তর উত্তর উন্নয়ন সম্ভব। সেক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উপায় পড়াশোনা। সেই সাথে অগ্রজ লেখকদের লেখা , সমূহ মন্তব্য করা একান্ত প্রয়োজন ।
আত্মার সান্নিধ্যে যারা ( ফেসবুক গ্রুপ ) – সত্যিকার অর্থে এক্ষেত্রে একটি যোগ্য ভান্ডার। ফেসবুক গ্রুপ এবং তার অন লাইন মুখপাত্র ‘’ শব্দের মিছিলে ‘’ প্রচুর কবি সাহিত্যিকের সমাগম। একটু ধৈর্য্য একজন নতুন লেখককে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকে পরিণত করবে। তাই শব্দের মিছিলে সমবেত হয়ে প্রতিটি সৃষ্টিকে কৃষ্টির সাথে উপলব্ধি করে নিজেকে পরিণত করে তুলবার জন্য এ মিছিলে যোগদান করা।
লেখক পাঠকের এই মেলবন্ধন প্রকৃত শিক্ষা ও চর্চার পথে সকল নেতিবাচক বাঁধা অতিক্রম করে মানসিক চিন্তা চেতনার পথ সুগম ও সুদুর প্রসারী করুক। আমার অভিনন্দন সকল সাহিত্যিকের প্রতি, যারা আমাদের শিখিয়ে যান তাদের অহর্নিশ সুকুমার প্রবৃত্তির দ্বারা। আমরা অনুপ্রাণিত হয়ে নবীশ হতে নবধারায় নিজেদের মননশীলতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিখছি।
ঢাকা ।
3 মন্তব্যসমূহ
sundor ekti site . bangla vasha / sahitto proshare valo proyash .
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো নাশিদা খান চৌধুরীর লেখা সম্পাদকীয় ----- আর নবীনের প্রতি ভালবাসা ।
উত্তরমুছুনসম্মানিয়া অতিথি সম্পাদক ও বন্ধু নাশিদা র জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।।
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন