অগ্নিরোধক
পাইকারি দর যদি বলো তাহলে রক্তপাত
গাঁদা পাতার রস ছড়িয়ে দিতেই
বাতাসেরও সেরে যাচ্ছে ক্ষত।
কিছু কিছু ধ্যাতানির পিঠের আরাম
না জেনেই ঘটে যাওয়া আমার অপরাধের
আড়তে চাবিদের ছিদ্রগুলি।
পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু এবং মার্জিত ভাষা
ঠুকে ঠুকে দেখছি আর কতদিন অগ্নিরোধক
চাকরি চলে যাওয়ার ভয় ।
ইষ্টদেব
হয়তো বিনিদ্র শ্লোকগুলো নেমে
এসেছিল - যতক্ষণ পারি ঠেলে
নিয়ে এসেছি বিকল গাড়ি এইমাত্র।
জুতোর নিশানায় হসপিটাল হয়ে উঠলে
গোড়ালি পর্যন্ত বিস্তার সমস্ত
লজ্জাকাহিনীর।
গমখেত লাগোয়া রুটিওয়ালার ধোঁয়া
যেখানে -উন্মুক্ত হস্ চিহ্নের
উচ্চারণজ্ঞান আর
সুদৃঢ় বাঁধাইয়ে প্রত্যয়িত ইষ্টদেব।
পোকা
ঘুমের বাইরে চতুষ্কোন-অপ্রকাশিত
ব্যাথারা মুদ্রিত হয়। যদিও তুলে নিচ্ছি
পোকাহীন চেয়ারের বাঁ হাতের
গল্পগুলো -জুতোর মুখের মতো-
তবুও গড়িয়ে চলে
তে-তলায় গজিয়ে
ওঠে হজমের পাতা-
ঐ ধারালো দাঁতের পাশ কাটিয়ে
পাঞ্জাবি বাঁচিয়ে আমার মাথার উপরে
দুলে ওঠে পোকাদের শুঁড়।
উনিশ-বিশ রশ্মির স্বাদ
তার পরাগ মিলনে বিদ্ধ কাঁটা
পিপড়ের নিশানা ধরে অপেক্ষায় থাকি
বুকে হেঁটে-যেখানে উড়ে আসে
রাস্তার অবধারিত কামড়।
সুকান্ত ঘোষাল
Reviewed by Pd
on
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
Rating:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন