সময় নাচন
অমোঘ শোকে শুকনো পাতা
মনন ছাড়া
ঠোঁট ছোঁয়ালে ধানের বাড়ি
সবুজ হারা
মেয়ে বেলার নরম মাঠে
দুঃখ যতই
শীতপুকুরে গল্প খোলে
আঙুল ওই।
বিরতিহীন রোদের খেলা
জানলা দিয়ে
খেয়াল করে কে ভেসে যায়
নতুন নিয়ে
বলতো তুই লাল সবুজে
কোন মুহূর্ত?
কোন বিকেলে মাঠ জেনেছে
বালির শর্ত?
জেগে উঠার আশার ছায়া
কেউ দেখে না
ঢেকুর তোলা দিনের বেলা
কেউ নড়ে না
এমনি করে সাঁঝের আগে
মুখের ভাষা
নিঃস্ব হয়ে দেয় বাড়িয়ে
ভয়ের পাশা।
জল নদীতে অসীম কালো
বদলে গিয়ে
আবেগ ভরা সুখের ঘাটে
চোখ জুড়িয়ে
গভীর ঋণে শান্তি প্রিয়
দূর দেয়াল
ভালবাসায় আলোর পথে
বাঁচে খেয়াল।
হাতছানিতে আসবে তুমি
বুকের কাছে?
মনের যত গাঢ় আদর
বাজুক ধাঁচে
এই শহরে কাগজ রেখে
একটু লেখ
আসবে যারা সব হটিয়ে
তাদের দেখ।
উপলব্ধি
অগ্রগামী সম্মুখে নাগরিক ধোঁয়ায়
কবে কোন দুঃখ নেমেছিল
বিবর্ণ সন্ধ্যায়?
ভাতের হাড়ের নিচে কোন নারী বেঁচে মরে আছে
এখনো জানতে মাতৃত্ব-সম্ভার;
দোলে ধুলোবালি, আদরস্মৃতি
আঁকাবাঁকা পথ
আত্মস্বার্থ খোঁজে যে,
সে হয় জরা-জীর্ণ, চূর্ণ-বিচূর্ণ
কান পেতে ঐ শোনো।
আশাবাদী মন
অনেক জন্মের কথা আমি জানি
চিরদিনই প্রার্থনা করি
মৃত্যু সরিয়ে সরিয়েই হোক জীবন
যদি গলায় আওয়াজ থাকে
এই সভ্যতা দেখবে,
পুরুষ শাসন ফুরিয়ে আসছে
ফুরিয়ে আসছে ফু
পৃথিবীর দরজায়
ঝুরো চুল এলোমেলো
অবিরাম জলপ্রপাত;
আঙুলে আঙুলে প্রতিবাদি ঝড়
এত সবুজ, এত নিঃশব্দ, এত সুন্দর
নারীর চোখ যতদূর
তার চেয়ে ঢের বেশি হাতে চলবে
অন্যায়ের মুখাগ্নি প্রস্তুত।
0 মন্তব্যসমূহ
সুচিন্তিত মতামত দিন