দেবযানী বসু

ww


ফিরবো না জেনে





ক।
মহাদেশের পর মহাদেশ পেরচ্ছে পাহাড়।দলবদ্ধ ময়ালেরা খোলসে বাংলা লিখে জনস্থান ছেড়ে যাচ্ছে। পাপড়িদের মেতে উঠতে দেখে আমরা শিহরিত। আমাদের বুকের গহনে তেতুঁলের যৌগিক ধ্যান। বিকেলের অতি সামান্য সময়ে বইয়ের পাতায় বাদামি ছিদ্র... আর ফিউজমুখী হয়েছে সূর্যমুখী। চোখের পাতায় শিফনের মমতা। জিভে তুলে নিলাম তারাদের ফিসফাস রাতারাতি।আমাকে ডিঙ্গিয়ে যাওয়া চলবে না।

খ।
প্রসবপথে বেরিয়ে আসছে প্লাস্টিক বোতলগর্ভে শুনছি গরমপ্রিয় শ্যাওলাদের নিনাদ। রোজ কতো আকর্ষ প্রকর্ষ জন্মায় বংরাধার শরীরে। বৃক্ষধর্ষণের লোলিটা- কামনায় কুঁকড়েছে আকাশ ও মাটি। গাছমারোগাছ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরুষটির জয়মাল্যে কর্কটজম্বি। শিকড়ে অ্যাসিড আফিম তুঁত হেসে উঠে খুলে দেয় গুগলের অ্যামাজিং ওয়ার্ল্ড। আমাদের আগেপিছে হাজার অ্যাম্বুলান্স চিল্লাচ্ছে বাঁচবে বলে।

গ।
কোমরের ব্যথা চেনা দিতে আসে। চিনলে কদমগাছ রাগ করে। দুরের হুইসল-চাবির ডাক ভয় পায়। দাঁতে দাঁত ঘসায় মেঘ ডেকে ওঠে। বর্ষার শুখোনুন কান্নার ছল খোঁজে। জ্যামিতিক কাটাছেঁড়ায় মন্দারমনি জালেজঞ্জালে একাকার। হেই মিথুনরাশির সাইকেল কি তীব্র হলাহলে পথ চিরছ যে আমরা চব্বিশটি অরার দুঃখ দেখতে পাচ্ছি না। পাশের চিন্ময় আলোটিও ঠকাচ্ছে আমাকে ,কানে পঞ্চম বেদ

ঘ।
ওষুধের পাহাড়প্রীতি বুঝেছি।তারপরও বাজপড়া ওষুধগুলি দম আটকে দিচ্ছে আমার। যে পথে গেলে প্রচুর ফেঁসো আর তুলো পাবো জানি সেখানে আদালতের স্থগিতাদেশ এসে পড়ে। এই বলি সব পাহাড়ের পাদদেশ থাকে না ।  কবেকার খেলনা বৃষ্টি কালচে চোখের নিচে জমেছে। সভ্যযুদ্ধের ভৌতিক কারণগুলি হাওড়া স্টেশনের বড়ো ঘড়িটিকে বড়ো স্ফিংক্স করে দেয়। একমুঠো বাজ মুঠিতে জন্মিয়ে দূরের বৃষ্টিকে এগিয়ে আনে। কোথাও গ্রন্থি ফেলার উৎসব।        



দেবযানী বসু দেবযানী বসু Reviewed by Pd on আগস্ট ১৫, ২০১৫ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.