চারুকলা মেঘের কাছে চিঠি
‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’
চারুকলা মেঘ কদমের গন্ধ নিয়ে
বুনে যায় বিরহের বীজধান হৃদয়ের মাঠে ।
পরিত্যাক্ত শিশুর মতোন পড়ে আছি আমি
সীতার শীরর ছোঁয়া রামিগিরি পাহারের
’পর
আলোর নূপুরের মতো
হৃদয় হেরেমে বাজে তোমার বিরহ।
কেমন আছো তুমি পূর্ণিমা রায়
এই গহীন গভীর শ্রাবণে
!
দ্যাখো
বর্ষার আদরে আদরে পৃথিবী হাসে
প্রথম জোয়ারের মতো
তুমি কী এখন সখি জোয়ারের জল,
নাকি অকাল অমাবশ্যা এসে
খেয়েছে তোমাকে
!
চারুকলা মেঘ
ও
চারকলা
মেঘ
পূণির্মা রায়কে চেন নাকি তুমি
?
নাকি দেখো নি কখনো তারে,
প্রজাপতির মতো হৃদয় ছুঁয়ে
উড়তো যে বিএল কলেজে
যার ধারালো চোখের চাহনিতে
খুন হয়ে যেতো
খুলনা শহর।
শোনো তবে মেঘ
আরও বলি,
তোমার
শরীরর
মতো
বিছানো-গোছানো তার চুলের শরীর
ভোরের কাঁচা রোদ ছেনে নেয়া শিশিরের মতো
সে এক বাহারী তনুর তন্বী
যে হাসলে আঁধারের উর্দিফুঁড়ে
হাজার ঝাড়বাতি একসাথে জ্বেলে ওঠে
যে হাসলে হেসে ওঠে বিষন্ন-শহর
অনঙ্গ শরীরে যার ঢেউ করে কেউ একজন
দিয়েছে ঢেলে
ও
মেঘ , চারু কলা মেঘ
আমার প্রিয়ার চোখে জেগে থাকে হাজার ঘাতক
সাবধানো ঠারো
তার চোখে চোখ পড়লে নিমিষেই তুমি মেঘ
খুন হতো পারো ।
ও
মেঘ
মেঘ-পাখি
ও
বিরহ-দহন দিনের বন্ধু আমার,
পথে যেতে যেতে যদি দেখা পাও তার
সিটি কলেজ পিছনে ফেলে
তালতলার বিষন্ন বাড়িতে
দোহাই তোমার মেঘ
তাকে বলো
–এই
পড়ন্ত
বিকেলে
ভোরের সূর্য কোলে নিয়ে বসে আছি আমি ।
আসিফ আলতাফ
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৫, ২০১৫
Rating:
Reviewed by Pd
on
আগস্ট ১৫, ২০১৫
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন