মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর







তিরিশ বছর পর নবীন মাঝি


ঘুণেধরা বৈঠায় হাত বুলায় নবীন মাঝি। বৈঠাটি দিয়েই তো সে নদীর ঢেউ ভেংগেছে, কতোবার, কতোদিন, কতোরাত .. হিসেব কে রেখেছে; আনন্দে কিংবা শিহরণে ছলাৎ ছলাৎ করে উঠতো নদী। বশীকরণে বৈঠাটি ছিলো কতোই না কামেল!

এখনো নেশা জাগায় হেঁইও, হেঁইও ... ইচ্ছে হয়।

বৈঠাতেই কি শুধু ঘুণ ধরেছে, নদীর দিকে তাকায় সে। পদ্মার ঢেউ এখন আর কই! মরা গাঙে কি আর বান আসে! শীর্ণ নদী শুয়ে আছে নিস্তেজ বিবমিশায়।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে নবীন মাঝি দাওয়ায় রাখা হুঁকো টানতে শুরু করে।



নেশাখোর



একজন সুখি মহিলার রতিলীলায় ভাসান দিয়ে মুছে ফেলতে চেয়েছিলাম ব্যক্তিগত সব দুঃখের খতিয়ান।

হাতড়াতে হাতড়াতে চলে এসেছি রেড-জোনে, আমাকে আশ্বস্ত করে এক বেশ্যা রমণী হাতে তুলে দিলো এক পেয়ালা মদিরা,"বন্ধু, সুরার নেশায় ওমর খৈয়াম আজো ঘোরে আছে কবর খোয়ারে। নেশা জাগাও দেহে ও মনে, কীসের দুঃখ, কীসের বিলাপ! আমাকে দ্যাখো, নেশায় নেশায় কাটিয়ে দিচ্ছি পিচ্ছিল জীবন। সুখি হতে চাও নেশাখোর হও।"

এরপর থেকেই আমি নেশাখোর সুখি মানব।



পরিচিতি  
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর Reviewed by Pd on মার্চ ২৬, ২০১৫ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.