শিল্পী চৌধুরী

পরিচিতি 








" মা "


.
যে দিন মাতৃজঠর থেকে বেরিয়েছিলাম
সেদিন মা তার নিজের কোলে করে রেখেছিল
একবিন্দুও কষ্ট পেতে দেন নি -
অথচ নিজে রাতের পর রাত জেগে কষ্ট করে গেছেন 
সেই মা-ই প্রথম মাটিতে নামিয়ে পরিচয় করিয়েছিলেন 
আরেক মা এর সাথে - তার নাম ধরণী মা ।
মাটি স্পর্শ করিয়ে হাসি মুখে বলেছিলেন - 
এবার হাঁটা থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি 
ধরণী মাই সাথে থাকবে নাকি আমার ,
সেই থেকে দুই-মা এর আঁচলে বড়ো হওয়া 
বাড়ন্ত বয়সের সাথে পরিচয় করালো ধরণী মা 
চেনালো আমার পরিচয়
জানালো আমার পূর্বসূরীদের ইতিহাস ,
দেশকে জানার , পৃথিবীকে চেনার , বোঝার। 
আমার দেশ আমার মাতৃভূমি আমার অহংকার 
আমার মা দিয়েছে আমাকে আমার সম্মান আমার পরিচয় ,
বিনিময়ে সে কিছুই নেয় নি শুধু ভালোবাসা ছাড়া ।
একবার একঝাঁক বিনাশকারী শত্রুদের আগমণে মা কেঁদেছিল ,
ঝড়ের বেগে ছুটে এসে তারা মাকে নগ্ন করে রাস্তায় দাঁড় করাতে চেয়েছিল
বারবার মা এর বুকে আঘাত করছিল - রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তার বুক থেকে 
মা এর কষ্টে সন্তানের শিরা-উপশিরায় প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠল 
গর্জে উঠল আকাশ-বাতাস 
মা কে বাঁচাতে লক্ষ্য কোটি সন্তানের রক্ত বয়ে গেল নদীতে 
কেঁদে উঠল নদী --- চারদিকে হাহাকার --- 
সবুজ ফসলের মাঠ লাল রঙ্গে রাঙ্গালো
মা কেবলই নীরবে কেঁদে গেল 
লক্ষ্য কোটি সন্তানকে হারিয়ে সে বাকরুদ্ধ হয়ে গেল 
সেই সব সন্তানরা নিজেদের প্রানের বিষর্জন দিয়ে মাকে ফিরিয়ে দিল তার সম্মান 
সেই সব শহীদ সন্তানদের বুকে ধারন করে মা আজও দাঁড়িয়ে 
সম্মানের আর অহংকারের সাথে বলে ---
" আমি যে লক্ষ্য কোটি বীর সন্তানের মা "।
এমন মা এর কাছে থেকে আমিও অহংকারী হয়ে বলি,
তোমাকে ভীষন ভালোবাসি মা , তুমিও যে আমার অহংকার ।



শিল্পী চৌধুরী শিল্পী চৌধুরী Reviewed by Pd on ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুচিন্তিত মতামত দিন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.