অংকন নন্দী






যাবেই যদি যাও

দেখা হবে বলেছিলে বলেই তো এতটা আসা,
পায়ে পায়ে পেরিয়ে গেল কতটা পথ!
ঘড়ির কাঁটা ঘুরল না জানি কতবার- তার অক্ষরেখায়;
সমান্তরাল জীবনটাকে-
তুচ্ছ আবেগের বাহুডোরে বাঁধব বলেই,
ক্রমাগত নিষ্পেষণে রক্তাক্ত করা নিজেকেই- প্রতিবার।
দেখা হবে বলেই হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা-
পৈত্রিক প্রাণ, আর প্রিয় নীলপদ্ম;
যেটা খুশি নিতে পার, অধিকার তোমার!
তোমাতেই বিলীন আমি বলেই-
প্রাণের দাবি ছেড়ে ভালবাসার দাম চুকিয়েছি।
ছোঁব একবার বলেই রাত্রির সবকটা প্রহরে-
খুঁজেছি তোমায় অলিন্দ্যের প্রতি প্রকোষ্ঠে,
খোঁজাই সার!
হয়েছি রক্তাক্ত অকারণ,
তুমি তোমাতেই নিমগ্ন নিজ প্রয়োজনে।
দূরত্বই তোমার আমার মাঝে টেনে দেয় ক্রুর হাতে-
বিভেদের লক্ষণরেখা!
তুমি তোমাতেই যাও রয়ে-
দেখার ওপারে,
নুয়ে পড়া পদ্মের শেষ নিঃশ্বাস টের পাই;
শূন্যে হাতড়ায় হাত মরীচিকায় অগোচরে-
তোমার প্রতিবিম্ব কল্পনায়।
সে যাই হোক-
তবু, স্বপ্নেরা ঘর বাঁধে ফের এসে একই কক্ষপথে,
ঠিক সেখানেই;
যেখানে অবেলায় ছেড়েছিলে হাতখানি- শেষবার!

চট্টগ্রাম ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ