ব্যানার্জী পর্না






“ফিরে এসো”

আবার স্বপ্ন দেখি
কোনো এক মেঘ বাদলের দিনে
দেখা হবে একান্তে
আকাশে যখন- মেঘেরা মাদল উৎসবে মত্ত থাকবে
নির্জনে নিভৃতে রাতের আকাশে
ফিরে এসো শুধু আর একটিবার
তারাদের সাথী করে শিশিরের ওম জড়িয়ে
ওই ভাঙ্গা আলখেতের আল ঘেঁসে
ইতিহাসের সিঁড়ি বেয়ে
আজও আমাদের জানালায় জমে থাকে ভোরের শিশির বিন্দু
হাত বাড়াই বন্ধুত্বের
অদ্ভুত ভাবে একটা ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়
ছাপ পড়েনা হাতের
শুধু জল হয়ে গড়িয়ে পড়ে গরমে গলে যাওয়া শিশিরবিন্দুগুলো
বুঝি-
না থেকেও থেকে গেছো আমার গভীরে
জানো কি?
“এবেলাতে” তেমন জ্যোৎস্নার ছোঁয়া এখনও লাগেনি
ভরা পূর্ণিমাকে গ্রাস করেছে ঘোর অমাবস্যার নিস্তব্ধতা
হাড়ে মজ্জায় লেগে আছে পোড়া চামড়ার বয়সরেখা
বট অশ্বত্থের মতো হাজারগন্ডা ঝুরি নেমেছে মস্তিষ্কের কোণ থেকে
বলি রেখা চোখের কোণে - ভাঁজ পড়েছে চোয়ালে
একটিবার ইতিহাসের পাতাবেয়ে ফিরে এসো
হাসিটি কিন্তু ঠিক তেমনই আছে
চিনতে অসুবিধে হবেনা
ঘরের জানালায় যে ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়েছে
সেটা পূর্ণতা পাবে তোমার হাতের ছোঁয়ায়
আলো চাইনা- চাইনা কোনো উষ্ণতার ছোঁয়া
শুধু একটি অনুরোধ-
এবার নাহয় কলম ধোরোনা-কবিতার খসখসানি রেখোনা মাঝে
নিঃশব্দে জন্ম নিয়ো বিষবৃক্ষ হয়ে
আমার জানালার কোণে-
গরম হয়ে গলে যাওয়া শিশিরবিন্দু দিয়ে বেড়ে উঠো
দেখবো তোমাকে বিদ্যুতের আলোতে কোনও "মেঘ বাদলের দিনে"
দেওয়াল ফুঁড়ে বেড়ে উঠো আমার জানালা বেয়ে- হিমের পরশ পেয়ে...


কলকাতা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

সুচিন্তিত মতামত দিন