"কস্তুরী মৃগীর ঘ্রাণ!"
আমরা যারা ভালোবেসে
নারীর মুখে এঁকেছি প্রেমের চুম্বন!
শয্যারাতের গভীরে ডুব
দিয়ে তুলে এনেছি
অমল তৃপ্তির সূর্য্য!
চোখে চোখ রেখে
বলতে শিখেছি-"তুমি সুন্দর
আমি ভালোবাসি"
তারাও বিশুদ্ধ প্রেমিক নই!
শার্টের আস্তিনে
কস্তুরী মৃগীর ঘ্রাণ
ঢেকে রাখে পূর্বপুরুষের
লালিত অধ্যাবসায়!
নারীর চেতনা নয়!
প্রজ্ঞা নয়!
নয় সূর্য্যতপা ঋদ্ধি?
শরীরের ঘ্রাণ মাঘ নিশীথের
রাত্রে অনেক বেশি
মনোময় মনে হয়!
টেনে নেয় উষ্ণ সান্নিধ্যে!
মানুষ প্রকৃতির সাথে
রোজকার সহবাসে
তবে কেবলি রেখে যেতে হবে স্বপ্ন নয়,
সাধনা নয়,
নয় উন্মুক্ত প্রত্যয়!
শুধুই বীর্য পতনের শব্দ?
পৃথিবীর আহ্নিকে তবে
আরও বড়ো দরজা খোলার
স্তব করতে হবে!
নয়তো একদিন মানব ফৄরাবে!
"নবান্নের গান!"
যন্ত্রণার ঝিনুকে মুক্তোর মতো ভালোবাসা ছড়িয়ে রেখেছি! হে অরণ্য
আমার দুচোখে রামধনু
ফোটার দিনে, সমস্ত সবুজ
ভোরের শিশিরে ভিজতে
দিও! অন্তহীন নির্জনতার
বিজন বাসরে দেখ
আমার শিকড়ে কেমন
শুদ্ধতার সাধনা!
বোমারু বিমানের ঝাঁক
তোমার বুকে হয়ত
দগ্ধ দহন পোড়াবে
তবুও এ মাটি আজও
সূর্য্যে সূর্য্যে চলে!
বৃষ্টিস্তনী মেঘের কাছে
নারীর ভালোবাসা আছে!
বোমারু বিমানের নিশান
কিছুই নয় তো তার কাছে!
রাষ্ট্রসঙ্ঘের আষাঢ়ে গল্পে
যত ভীড় বাড়বে ততই
হে অরণ্য, দাবানলের
সমস্ত ক্ষত ধুয়ে যেতে
হবে একদিন!
আমার শরীর ডিনামাইট
হলে জেনো
নারীর বুকে আবার
আপেল ফলবে!
ভোরের সূর্য্যে
গোপন ইস্তাহারে যতই
আগুন জ্বলবে-
নবান্নের এই সংগ্রাম
ঠিক চলবে!
বর্ধমান ।
শ্রীশুভ্র
Reviewed by Pd
on
ডিসেম্বর ১৫, ২০১২
Rating:
Reviewed by Pd
on
ডিসেম্বর ১৫, ২০১২
Rating:

পৃথিবীর আহ্নিকে তবে
উত্তরমুছুনআরও বড়ো দরজা খোলার
স্তব করতে হবে!
নয়তো একদিন মানব ফৄরাবে!
দুটি লেখাই সুন্দর ।