রাজনৈতিক ভাবে টালমাটাল অবস্থায় এক দেশ সবার প্রথম যা হারায় তা হলো সম্ভ্রম; কোন দেশের শাষন পরিকাঠামো যদি সাংবিধানিক নীতি নিয়মের ভাঙ্গা গড়ায় নিজের ইচ্ছেকে চূড়ান্ত হিসেবে গন্য করে আর জনগনকে ব্যবহার করে দাবার ছকের মতো ভোটাধিকারের আপাত প্রচ্ছদে তাহলে উশৃঙ্খলতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। গরীব আগাছার মতো মরে বাঁচে, মধ্যবিত্ত প্রতিদিন ক্ষয়ে যাওয়া সমাজ স্রোতে মিলে যায়! এমত অবস্থায় যা ঘটতে পারে তা অপ্রীতিকর, আগামী ক্রমশ অনিশ্চয়তার অন্ধকারে আর ঠিক তখনই পরিবর্তনই একমাত্র সমাধানের পথ, আপামর জনসাধারণ সেই অনাগত পরিশুদ্ধির আশায় অপেক্ষার কড়ি গোনে---
যে দেশের শাষনযন্ত্র রাজনৈতিক পরিকঠামোর উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল সে দেশের পরিবর্তনের চাকা অবশ্যই রাজনৈতিক দলকে কেন্দ্র করেই বদলের দৃষ্টান্ত আনবে। আমাদের দেশ ভারতবর্ষে বর্তমান পরিস্থিতিতে তেমন ভাবেই আনতে হবে অবতরনের বিরুদ্ধ প্রতিরোধ; কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমালোচনা না করে অথবা সমর্থন না করে বলা ভালো ঠিক যে যে কারণে অপসংস্কৃতি, অরাজকতা সেই জায়গাগুলোতে ই সদর্থক হতে হবে রাজনৈতিক দলকে, পুরোনো ভাবনা বা নীতির ইতি টেনে নিয়ে আসতে হবে নবীন মতাদর্শকে আর এই দেশের এই সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় শিক্ষিত সদস্যরা ই পাবে প্রাধান্য।
কি করে এই পরিবর্তন বা কার হাত ধরে আসবে যথোপযুক্ত সমাধান! গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এই দায়িত্ব বর্তায় জনসাধারণের উপর তাই আমাদের অর্থাৎ সাধারণকেও ভাবতে হবে দেশের ভবিতব্য গড়বে কারা বা কারা হবে দিক নির্দেশের কান্ডারী। সমূহ পরিবর্তনের সম দায় রাজনৈতিক নেতাদেরকে ঘিরেও; চূড়ান্তভাবে ভোগবাদী রাজনীতির থেকে সরে দাঁড়াতে হবে,খাদ্য শিশু শিক্ষা,চাকরী, উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। আশু পরিবর্তন সময়ে না হলে বড় ধরনের ধস নামবে আর সেই আগুনের আঁচ সবাইকে ই কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
পরিশেষে বলা যায় নিজের দেশের ভালো তেই সবার ভালো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মানুষ এবং সাধারণ তাহলে অপেক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটুক আসুক আকাঙ্খিত সময়।
চন্দ্রিমা গুপ্ত | আকাঙ্খিত সময়
Reviewed by Pd
on
মে ০৯, ২০২২
Rating:
Reviewed by Pd
on
মে ০৯, ২০২২
Rating:

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুচিন্তিত মতামত দিন